নিউজ ডেস্ক,নরসিংদী প্রতিদিনি,রবিবার,০৫ আগস্ট ২০১৮:
জিগাতলায় আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের সঙ্গে পুলিশ ও ছাত্রলীগ-যুবলীগের ত্রিমুখী সংঘর্ষ। ছবি: যুগান্তর
নিরাপদ সড়কের দাবিতে টানা সপ্তম দিনের মতো আন্দোলনে নেমেছে দেশের বিভিন্ন স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীরা। এর মধ্যে রাজধানীর জিগাতলায় আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের সঙ্গে পুলিশ ও ছাত্রলীগ-যুবলীগের ত্রিমুখী সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
এর মধ্যে শিক্ষার্থীরা দাবি করে, তাদের চারজন শিক্ষার্থীকে ধর্ষণ করা হয়েছে আর বেশ কয়েকজনকে আটক করা হয়েছে। এটি ছিল মূলত গুজব বলে দাবি করেছেন ছাত্রলীগের নতুন সাধারণ সম্পাদক গোলাম রাব্বানী।
সংঘর্ষ থেমে গেলে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের নির্দেশে ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় নেতারা আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের তাদের ধানমণ্ডির কার্যালয়ে নিয়ে আসেন। প্রায় ৬/৭ জনের এই প্রতিনিধিদল পুরো কার্যালয় ঘুরে দেখে জানিয়েছে, সেখানে কাউকে অবরুদ্ধ করে রাখা হয়নি। আওয়ামী লীগের দলীয় কার্যালয়ে কোনো লাশ পাওয়া যায়নি। কিংবা কোনো ধর্ষণের ঘটনা ঘটেনি।
শিক্ষার্থীরা বলেন, এটা একটা গুজব। তবে তারা দাবি করেন, অনেক শিক্ষার্থীই গুরুতর আহত হয়েছে।
সংঘর্ষ সম্পর্কে ধানমণ্ডি আইডিয়াল কলেজের বিজ্ঞান বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র কাজী হাসিবুর রহমান তুর্য যুগান্তরকে বলেন, সকাল থেকেই সায়েন্সল্যাব মোড়ে আমরা অবস্থান নিয়ে শান্তিপূর্ণ আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছিলাম।
জোহরের নামাজের পর কে বা কারা বলে যে, রাজধানীর জিগাতলায় শিক্ষার্থীদের ওপর ছাত্রলীগ হামলা চালাচ্ছে। কথাটি শুনে উপস্থিত সবাই উত্তেজিত হয়ে যাই। এরপর সব ছাত্র জিগাতলা মোড়ে আসি। এরপরই ধাওয়া-পাল্টাধাওয়ার ঘটনা ঘটে।
সরেজমিন ঘটনাস্থলে গিয়ে জানা গেছে, দুপুর ১২টা থেকে বিকাল ৫টা পর্যন্ত সাধারণ শিক্ষার্থী এবং পুলিশ ছাত্রলীগের ত্রিমুখী সংঘর্ষ চলে। এ সময় উভয়পক্ষের কমপক্ষে ২০-২৫ জন আহত হয়।
এরমধ্যে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের একজন চোখে বড় ধরনের আঘাত পেয়েছে। পাশাপাশি কয়েকজন ছাত্রীও আহত হয়েছে। ছাত্রলীগ-যুবলীগের কয়েকজন আহতের খবরও পাওয়া গেছে। আহতদের রাজধানীর পপুলার, জাপান-বাংলাদেশ হাসপাতালসহ বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।
এদিকে সংঘর্ষের পর শিক্ষার্থীদের সংঙ্গে একাত্মতা ঘোষণা করেন ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সংসদের সাধারণ সম্পাদক গোলাম রব্বানী বলেন, তোমাদের এই যৌক্তিক আন্দোলনের সঙ্গে আমরা একমত। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ইতিমধ্যেই তোমাদের সব দাবি মেনে নিয়েছেন। এগুলো বাস্তবায়ন হতে একটু সময় প্রয়োজন।
সূত্র: যুগান্তর