শরীফ ইকবাল রাসেল*
নরসিংদী প্রতিদিন,রোববার, ০৫ আগষ্ট ২০১৮:
আওয়ামীলীগ সভানেত্রী ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, একটি দেশের উন্নয়নের জন্য যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়ন আর বিদ্যুৎ দিতে পারলেই সেই এলাকার আর্তসামাজিক উন্নতি হবে এটা অবদারিত, আর সেটা মাথায় রেখেই দেশের মানুষ যাতে শতভাগ বিদ্যুত পায় সেই ব্যবস্তা করেছি।
যারা দিন রাত পরিশ্রম করে এই বিদ্যুৎ বাড়িয়েছেন তাদের ধন্যবাদ জানিয়ে সকলের উদ্যেশে প্রধানমন্ত্রী আরো বলেন, বিদ্যুৎ ব্যবহারে সকলেই মিতব্যয়ী হবেন। কারন এই বিদ্যুৎ উৎপাদনে অনেক খরচ হয়, সেটা মাথায় রাখতে হবে। যা খরচ হয় আমরা তা নিচ্ছিনা বরং আমরা ভর্তুকি দিচ্ছি। ভর্তুতি দিয়ে জনগনের জীবন মান যাতে উন্নত হয় সেই প্রচেষ্টা চালাচ্ছি। তাই সকলকে বিদ্যুৎ ব্যবহারে প্রয়োজনে নিজহাতে সুইচ অফ করে দেওয়ার অনুরোধ জানান। ফলে বিদ্যুতের বিলও কম হবে।
প্রধানমন্ত্রী আজ রোববার দুপুরে দেশের ৬টি বিদ্যুৎ কেন্দ্র, ২টি গ্রিড উপকেন্দ্র ও ২১টি উপজেলায় শতভাগ বিদ্যুতায়ন কার্যক্রমের উদ্বোধন ঘোষনা করেন।
বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের আয়োজনে উদ্বোধনকৃত ৬টি বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলো হলো, ঘোড়াশাল ৩৬৫ মেঘাওয়াট কম্বাইন্ড সাইকেল বিদ্যুৎ কেন্দ্র, গাজীপুরের কড্ডায় ৩০০ মেঘাওয়াট এইচএফও ভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র, কুমিল্লার দাউদ কান্দিতে ২০০ মেঘাওয়াট এইচএসডি ভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র, কুশিয়ারার ফেঞ্চুগঞ্জে ১৬৩ মেঘাওয়াট কম্বাইন্ড সাইকেল বিদ্যুৎ কেন্দ্র, যশোর নোয়াপাড়ায় ১০০ মেঘাওয়াট এইচএসডি ভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র ও মুন্সিগঞ্জের কমলাঘাটে ৫৪ মেঘাওয়াট এইচএফও বিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে এই প্রকল্পগুলো উদ্বোধন করেন। এরই অংশ হিসেবে নরসিংদী জেলা প্রশাসক সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে নরসিংদী জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল মতিন ভূইয়া, সংসদ সদস্য এড. নুরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ুন, সিরাজুল ইসলাম মোল্লা, জেলা প্রশাসক সৈয়দা ফারহানা কাউনাইন, পুলিশ সুপার সাইফুল্লাহ আল মামুন, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট সুষমা সুলতানা সহ বিদ্যুৎ বিভাগের কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।
এসময় প্রধানমন্ত্রী পলাশ উপজেলার ঘোড়াশাল বিদ্যুৎ কেন্দ্র ও শিবপুর এবং মনোহরদী উপজেলায় শতভাগ বিদ্যুতায়ন উদ্বোধন করেন। সবশেষে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও তার পরিবারের শান্তি কামনা করে বিশেষ দোয়া অনুষ্ঠিত হয়।