লক্ষন বর্মন, নরসিংদী প্রতিদিন, ২০ আগষ্ট সোমবার ২০১৮: ঈদ ঘনিয়ে আসার সঙ্গে সঙ্গে জমে উঠেছে নরসিংদীর কোরবানির পশুর হাটগুলো। ক্রেতা-বিক্রেতার পদচারণায় মুখর জেলার ছোট-বড় ৫৮টি পশুর হাট। স্থানীয় খামারির পাশাপাশি দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে পাইকাররা গরু নিয়ে এসেছেন হাটে।
এখন পর্যন্ত হাটে ভারতীয় গরু না উঠায় স্থানীয় খামারগুলোতে দেশীয় পদ্ধতিতে মোটাতাজাকরণ করা গরুর চাহিদা অনেক বেশি। তবে উপকরণের মূল্য বৃদ্ধির কারণে গত বছরের তুলনায় এবার গরুর দাম বেশী বলে জানিয়েছেন পাইকার ও খামারিরা। এ বছর কোরবানী ঈদকে সামনে রেখে নরসিংদী জেলায় ছোট-বড় সাড়ে ৩ হাজার খামারী দেশীয় পদ্ধতিতে ২৬ হাজারের বেশি পশু মোটাতাজা করেছেন।
তবে হাট গুলোতে গরুর দাম কিছুটা বেশী হলেও হাটে পর্যাপ্ত দেশী গরু উঠায় খুশি ক্রেতারা। জেলার বিভিন্ন স্থান থেকে আসা ক্রেতারা দরদাম করে তাদের পছন্দের গরু কিনছেন হাট থেকে।আর হাট গুলোতে কিছুটা ভিন্নতা এনেছেন নরসিংদী জেলা পুলিশ। এ বছর কোরবানির পশুর হাটগুলোতে ড্রোনের মাধ্যমে হাটগুলো পর্যবেক্ষণ করছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। জেলার বড় বড় হাটগুলোতে পুলিশ সদস্যরা ড্রোনের মাধ্যমে ভিডিও চিত্র ধারণ করে কঠোর নজরদারী জোরদার করেছে। এতে স্বস্তি প্রকাশ করেছে হাটের ক্রেতা-বিক্রেতারা।
নরসিংদীর পুটিয়া গরুর হাটের ক্রেতা মাইনউদ্দিন জানান, এ বছর হাট গুলোতে ভারতীয় গরুর সংখ্যা নেই বললেই চলে। তবে এখানকার স্থানীয় খামারীরা যে পরিমান গরু হাটে এনেছেন তা খুবই লক্ষনীয়। তবে দামটা একটু বেশি। দামটা কিছুটা সহনীয় হলে হয়ত আরও ভালো বেচা কেনা হতো। তবে অন্যান্য বছরের তুলনায় এ বছর পশুর হাটগুলোতে চুরি ছিনতাইয়ের মতো ঘটনা ঘটেনি। আর এর পুরোটাই সম্ভব হয়েছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ড্রোনের মাধ্যমে হাট গুলোকে পর্যবেক্ষন করার কারনে।
গরু বিক্রেতা কামাল মিয়া জানান, আগে হাট গুলোতে স্থানীয় মাস্তানরা চাঁদার জন্য চাপ দিতো। কিন্তু এ বছর পুলিশের বিশেষ তদারকি হিসাবে ড্রোন ব্যবহারের কারনে আমরা কোরবানীর পশু বিক্রি করে নিরাপদে বাড়ি ফিরতে পারছি।
নরসিংদী পুলিশ সুপার সাইফুল্লাহ আল মামুন বলেন, নরসিংদীতে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ড্রোন কার্যকরী ভূমিকা রাখায় এবার কোরবানীর পশুর হাটগুলোতে ড্রোন নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। এতে করে হাটগুলোতে এখনো পর্যন্ত কোন অপ্রীতিকর ঘটনার খবর পাওয়া যায়নি।