খন্দকার শাহিন,নরসিংদী প্রতিদিন,মঙ্গলবার,২১ আগস্ট ২০১৮: অতিসম্প্রতি নরসিংদীতে মাধবদীর চরাঞ্চল চরদীঘলদী ইউনিয়নে প্রশাসনের উদ্যোগে টেঁটার বদলে ফুল বিনিময়ের মাধ্যমে টেঁটা যুদ্ধের অবসান ঘোষণা করা হয়েছে । কিন্তু থেমে নেই এ ভয়ংকর সংঘর্ষ। আজ মঙ্গলবার (২১ আগস্ট) সকাল ৭টায় পূর্ব শত্রুতার জের ধরে চরদীঘলদী ইউনিয়ন বিনপির সভাপতি নেওয়াজ আলী মেম্বার তার বাহিনী নিয়ে ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি আলমগীরকে হত্যার উদ্দেশ্যে হামলা চালায়। পরে দুগ্রুপের মধ্যে টেঁটাযুদ্ধের ঘটনা ঘটে। এতে আলমগীর সমর্থক একই ইউনিয়নের মাহামুদ আলী (২৮) নামে এক আওয়ামী লীগ কর্মীকে হত্যা করে নেওয়াজ আলী গ্রুপ। এসময় দুপক্ষের অন্তত ২৫ জন আহত হয়েছে । টেঁটাবিদ্ধ হয়ে আহতদের মধ্যে ৭ জনের অবস্থা গুরুতর বলে জানা যায়।
সকাল থেকে থেমে থেমে এ সংঘর্ষ বর্তমানে পুলিশের নিয়ন্ত্রন রয়েছে, এ ঘটনায় একজনকে আটক করেছে বলে নরসিংদী প্রতিদিনকে জানান, নরসিংদীর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শাহরিয়ার আলম।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, আধিপত্য বিস্তার নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে অনন্তরামপুর গ্রামের মিয়াচাঁন ও আলমগীর গ্রুপের বিরোধ চলে আসছিল। এসব বিরোধে দফায় দফায় তাদের সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ ও পাল্টাপাল্টি মামলা চলে আসছিলো। এই বিরোধ নিরসনে মঙ্গলবার দুইপক্ষের মধ্যে সমঝোতা বৈঠক হওয়ার নির্ধারিত দিন ছিলো। বৈঠকে না বসায় এবং সমঝোতা না হওয়ায় সকালে দুই গ্রুপের সমর্থকরা টেঁটা বল্লমসহ দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এতে টেঁটাবিদ্ধ হয়ে ঘটনাস্থলেই একজনের মৃত্যু ঘটে। নিহত মাহমুদ অনন্তরামপুর গ্রামের মোসলেম উদ্দিনের ছেলে।
এসময় আহত হয়েছেন আরও ৩০ জন। আহতদের মধ্যে ৭ জনকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
নরসিংদীর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শাহরিয়ার আলম বলেন, মূলত পূর্ব বিরোধ নিয়ে দুইপক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। সংঘর্ষের পর ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। আহতদের ঢাকা ও নরসিংদীর বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।