নিউজ ডেস্ক,নরসিংদী প্রতিদিন,রবিবার, ২ সেপ্টেম্বর ২০১৮: ৪০তম বিসিএসে প্রায় ২ হাজার ক্যাডার নিয়োগ দেয়া হবে। এর মাধ্যমে প্রশাসন ক্যাডারে ২শ’ জন, পুলিশে ৭৫ জন, পররাষ্ট্রে ২৫, ইকোনমিক ক্যাডারে ৪৫, কর ক্যাডারে ২৪ জন, অডিটে ২২, শিক্ষায় দুই শতাধিক, আনসারে ১২। দীর্ঘদিন পর এই বিসিএসের মাধ্যমে কাস্টমস ক্যাডারে ৩২ জন ক্যাডার নেয়ার সুপারিশ করেছে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়।
এ ছাড়া সেপ্টেম্বরের দ্বিতীয় সপ্তাহের মধ্যে ৩৯তম বিশেষ বিসিএসের প্রিলিমিনারির ফল প্রকাশ করা হবে। এই বিশেষ বিসিএসে ৪ হাজার ৫৪২ জন সহকারী সার্জন আর ২৫০ জন সহকারী ডেন্টাল সার্জন নেয়া হবে।
৩ আগস্ট ৩৯তম বিসিএসের প্রিলিমিনারি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। রাজধানীর ৩২টি কেন্দ্রে এই বিশেষ বিসিএস পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছে। এতে প্রায় ৩৭ হাজার ৫৮৩ চাকরিপ্রত্যাশী অংশ নেন। পরীক্ষায় উপস্থিতির হার ছিল ৯৩ শতাংশ এবং বহিষ্কার করা হয়েছে চাকরিপ্রত্যাশী দুই পরীক্ষার্থীকে। ৩৯তম বিশেষ বিসিএসে এমসিকিউ ধরনের লিখিত পরীক্ষা নেয়া হয়েছে। এতে ২০০ নম্বরের প্রশ্নের উত্তর দিতে হয়েছে চাকরিপ্রার্থীদের।
মেডিকেল সায়েন্স বা ডেন্টাল সায়েন্স বিষয়ে ১০০ নম্বরের পরীক্ষা ছাড়াও বাংলা, ইংরেজি, বাংলাদেশ বিষয়াবলি ও আন্তর্জাতিক বিষয়াবলিতে ২০ নম্বর করে এবং মানসিক দক্ষতা ও গাণিতিক যুক্তিতে ১০ নম্বর করে মোট ২০০ নম্বরের দুই ঘণ্টার এমসিকিউ ধরনের লিখিত পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। প্রতি এমসিকিউ প্রশ্নের সঠিক উত্তরের জন্য ১ নম্বর দেয়া হবে। তবে প্রতিটি ভুল উত্তরের জন্য কাটা হবে শূন্য দশমিক ৫০ নম্বর। লিখিত পরীক্ষায় পাস নম্বর পিএসসি নির্ধারণ করবে। এ ছাড়া ১০০ নম্বরের মৌখিক পরীক্ষা হবে। মৌখিক পরীক্ষার পাস নম্বর ধরা হয়েছে ৫০। এ প্রসঙ্গে সরকারি কর্ম কমিশন (পিএসসি) চেয়ারম্যান মোহাম্মদ সাদিক মানবকণ্ঠকে বলেন, সিদ্ধান্ত অনুসারে সেপ্টেম্বরের দ্বিতীয় সপ্তাহের মধ্যে ৩৯তম বিশেষ বিসিএসের প্রিলিমিনারির ফল প্রকাশ ও ৪০তম বিসিএসের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হবে।
৩৮তম বিসিএসে রেকর্ড পরিমাণ ৩ লাখ ৮৯ হাজার ৪৬৮ জন প্রার্থী আবেদন করেন। এর আগে ৩৭তম বিসিএসে অংশ নেন ২ লাখ ৪৩ হাজার ৪৭৬ জন পরীক্ষার্থী। সরকারি চাকরি, বিশেষ করে বিসিএসের ক্ষেত্রে তরুণদের আগ্রহ আগের থেকে বেড়েছে। তাই ৪০তম বিসিএসেও আবেদন ৩ লাখ ছাড়িয়ে যেতে পারে।
৩৮তম বিসিএসের মাধ্যমে জনপ্রশাসনে ২ হাজার ২৪ জন ক্যাডার কর্মকর্তা নিয়োগ করা হবে। প্রশাসন ক্যাডারে ৩শ’, পুলিশ ক্যাডারের ১শ’টি পদসহ ৩৮তম বিসিএসে সাধারণ ক্যাডারে মোট ৫২০টি, কারিগরি ও পেশাগত ক্যাডারে ৫৪৯টি এবং শিক্ষা ক্যাডারে ৯৫৫টি পদ ছিল।
অন্যদিকে ৩৮তম বিসিএসের মতোই ৪০তম বিসিএসেও লিখিত পরীক্ষার প্রতিটি খাতা ২ জন পরীক্ষক মূল্যায়ন করবেন। তাদের নম্বরের ব্যবধান ২০ শতাংশের বেশি হলে তৃতীয় পরীক্ষকের কাছে খাতা পাঠানো হবে। এর ফলে পরীক্ষার্থীদের মেধা যথাযথভাবে মূল্যায়িত হবে বলে মনে করছে পিএসসি। এই বিসিএস থেকে বাংলাদেশ বিষয়াবলির ২০০ নম্বরের লিখিত পরীক্ষায় আলাদা করে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ে ৫০ নম্বরের প্রশ্ন রাখা হবে। কেউ চাইলে ইংরেজিতেও এই বিসিএস দিতে পারবেন। ৭ বিভাগের পাশাপাশি এবার নতুন বিভাগ ময়মনসিংহেও পরীক্ষা নেয়া হবে।