স্পোর্টস ডেস্ক,শনিবার,২৯ সেপ্টেম্বর ২০১৮: শেষ পযর্ন্ত অধরাই রেয়ে গেল এশিয়া কাপের শিরোপা। পারলেন না মাশরাফি। হেরে গেলেন আরো একবার। তবে কম রানের ইনিংসেও অসহায় আত্মসমর্পণ করেনি টাইগাররা।
শেষ বলে ম্যাচ জিততে ১ রান প্রয়োজন ছিলো ভারতের। মাহমুদুল্লাহর বলে ১ রান নিয়ে এশিয়া কাপের ফাইনালে ভারতের জয় নিশ্চিত করেন ব্যাটসম্যান কেদার যাদব। ফলে বাংলাদেশকে ৩ উইকেটে হারিয়ে এশিয়া কাপের শিরোপা জিতে নেয় ভারত।
শিরোপা নির্ধারনী ম্যাচে টস হেরে প্রথমে ব্যাট করে লিটন দাসের সেঞ্চুরিতে ২২২ রান সংগ্রহ করে বাংলাদেশ। লিটন ১১৭ বলে ১২১ রান করেন। জবাবে ৫০ ওভার ৭ উইকেটে ২২৩ রান করে ম্যাচ জিতে ভারত।
প্রথমে ব্যাট হাতে নেমে দলকে দারুণ সূচনা এনে দেন বাংলাদেশের ওপেনার লিটন দাস ও মেহেদি হাসান মিরাজ। লিটনের সাথে জুটি বেঁধে বড় সংগ্রহই এনে দেন মিরাজ। ২১তম ওভারের পঞ্চম বলে বিচ্ছিন্ন হতে হয় লিটন ও মিরাজকে। ব্রেক-থ্রু এনে দিতে পারদর্শী ভারতের অফ-স্পিনার কেদার যাদব বিদায় দেন মিরাজকে। ৩টি চারে ৫৯ বলে ৩২ রান তুলে মিরাজ আউট হলে ১২০ রানে প্রথম উইকেট হারায় বাংলাদেশ।
উড়ন্ত সূচনাটাকে ধরে রাখতে পারলো না বাংলাদেশ। কিন্তু না, উড়ন্ত শুরুর পরও মিডল অর্ডারের ব্যর্থতায় ২২২ রানেই গুটিয়ে যায় বাংলাদেশ। অর্থাৎ শেষ ৯ উইকেটে ১০২ রান যোগ করতে পারে বাংলাদেশ।
জয়ের জন্য ২২৩ রানের খেলতে নেমে দ্রুত রান তোলার চেষ্টা করেন ভারতের দুই ওপেনার রোহিত শর্মা ও শিখর ধাওয়ান। পঞ্চম ওভারের চতুর্থ বলে ধাওয়ানের পথে বাঁধা হয়ে দাড়ান বাংলাদেশের বাঁ-হাতি স্পিনার নাজমুল ইসলাম। মিড-অফে সৌম্য সরকারকে ক্যাচ দেয়ার আগে ৩টি চারে ১৪ বলে ১৫ রান করেন ধাওয়ান।
তিন নম্বরে নামা আম্বাতি রাইদুকে ক্রিজে বেশিক্ষণ থাকতে দেননি বাংলাদেশ অধিনায়ক মাশরাফি। ৭ বলে ২ রান করে ফিরেন রাইদু। দলীয় ৮৩ রানে রোহিতকে শিকার করে বাংলাদেশকে খেলায় ফেরার সুযোগ করে দেন রুবেল হোসেন। ৩টি করে চার ও ছক্কায় ৫৫ বলে ৪৮ রান করেন রোহিত। কার্তিককে লেগ বিফোর ফাঁদে ফেলেন মাহমুদুল্লাহ। ১টি করে চার ছক্কায় ৬১ বলে ৩৭ রান করেন কার্তিক। ধোনিকেও প্যাভিলিয়নে ফেরত পাঠান কাটার মাস্টার মুস্তাফিজুর রহমান।
ধোনিকে বিদায়ের কিছুক্ষণ পর পায়ের ইনজুরিতে পড়ে প্যাভিলিয়নে ফিরেন কেদার যাদব। সিঙ্গেলসের উপরই বেশি নির্ভর করেন জাদেজা ও ভুবেনশ্বর। ফলে ম্যাচ জয়ের পথেই হাটতে থাকে ভারত। শেষ ৪ ওভারে ১৮ রান দরকার পড়ে টিম ইন্ডিয়ার।
শেষ ওভারে বাংলাদেশের হয়ে বল হাতে আসেন মাহমুদুল্লাহ। ওভারের পঞ্চম বলে ১ রান নেন কুলদীপ। এরপর শেষ বলে ১ রান নিয়ে ভারতকে শিরোপার স্বাদ দিয়েছেন যাদব।
বাংলাদেশের পক্ষে ২টি করে উইবেট নেন মুস্তাফিজুর ও রুবেল এবং ১টি করে উইকেট নেন নাজমুল-মাশরাফি-মাহমুদুল্লাহ। ম্যাচ সেরা হয়েছেন বাংলাদেশের লিটন। সিরিজ সেরা হন ভারতের ধাওয়ান।