নিউজ ডেস্ক,নরসিংদী প্রতিদিন,শুক্রবার,২৬ অক্টোবর ২০১৮:
গাইবান্ধা সদর উপজেলায় রবিদাশ সম্প্রদায়ের একই পরিবারের সাত বছরের দুই শিশু যৌন নির্যাতনের শিকার হয়েছে। শিশু দুটি সম্পর্কে ফুফু ভাতিজি। এ ঘটনায় অভিযুক্ত মুদি দোকানি নুরুন্নবী মিয়া ও ঘটনা ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টাকারী তার ছেলে জহির মিয়ার বিরুদ্ধে সদর থানায় একটি মামলা হয়েছে।

বুধবার (২৪ অক্টোবর) রাতে নির্যাতিত দুই শিশুর একজনের বাবা বাদী হয়ে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলাটি করেন।

ওইদিন দুপুরে সদর উপজেলার চক মামরোজপুর গ্রামের একটি দোকানে নির্যাতনের ঘটনাটি ঘটে। তবে ঘটনার পর থেকে পলাতক রয়েছেন অভিযুক্ত নুরুন্নবী মিয়া ও তার ছেলে জহির। তবে তাদের গ্রেফতারে অভিযান চালাচ্ছে পুলিশ।

বর্তমানে দ্বিতীয় শ্রেণির ছাত্রী ওই শিশু দু’টি গাইবান্ধা আধুনিক সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।

পুলিশ ও নির্যাতিত শিশুদের অভিভাবকদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, বুধবার দুপুরে বাড়ির পাশে শিশু দু’টি খেলা করছিলো। এসময় দোকান ঝাড়ু দেওয়ার কথা বলে তাদের ডেকে নিয়ে যান একই গ্রামের ৬০ বছর বয়সী নুরুন্নবী মিয়া। দোকানের ভেতরে নিয়ে তাদের যৌন নির্যাতন করেন তিনি। পরে শিশু দু’টি বাড়িতে ফেরার পর অসুস্থ হয়ে পড়ে। তখন স্বজনরা তাদের হাসপাতালে ভর্তি করেন।

পরিবারের অভিযোগ, পরিকল্পিতভাবে শিশু দু’টিকে ডেকে নিয়ে নির্যাতন চালান নুরুন্নবী। বাড়িতে আসার পর দু’জন অসুস্থ হয়ে পড়লে ঘটনা জানাজানি হয়। পরে তাদের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। কিন্তু হাসপাতালে ভর্তির পর থেকে অভিযুক্ত নুরুন্নবীর ছেলে জহির তাদের ভয়-ভীতি দেখান। হাসপাতাল থেকে তাদের সরানোরও চেষ্টা করছেন জহির। পরে বাধ্য হয়ে থানায় মামলা করা হয়।

কিন্তু মামলা হলেও পুলিশ তাদের গ্রেফতার করতে পারেনি। দ্রুত তাদের গ্রেফতার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন স্বজনরা।

এ বিষয়ে সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. শাহিনুল ইসলাম জানান, ‘নির্যাতিত শিশুদের প্রয়োজনীয় চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। তাদের অবস্থা এখন ভালো আছে।’

গাইবান্ধা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খান মো. শাহরিয়ার জানান, ‘আসামিদের গ্রেফতারে অভিযান চালানো হচ্ছে। হাসপাতালে শিশু দু’টির মেডিকেল পরীক্ষা আজ সম্পন্ন হবে।’