নিজস্ব প্রতিবেদক★
নরসিংদী প্রতিদিন,শনিবার,০৩ নভেম্বর ২০১৮: নরসিংদীর পৌর মেয়র ও শহর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক লোকমান
হোসেন হত্যা মামলার মূল পরিকল্পনাকারি মোবারক হোসেন মোবাকে অস্ত্র
মামলায় পুণরায় ২ দিনের রিমান্ডে নিয়েছে পুলিশ। শুক্রবার (০২ নভেম্বর) দুপুরে
জেলা জজ আদালতের বিচারক অনামিকা চৌধুরীর আদালত তাঁর রিমান্ড মঞ্জুর
করেন। জেলা গোয়েন্দা পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) রুপন কুমার সরকার
এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
জেলা গোয়েন্দা পুলিশের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, গত বুধবার বিকেলে
জেলা গোয়েন্দা পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) রুপন কুমার সরকার বাদি
হয়ে মোবারকের বিরুদ্ধে অস্ত্র আইনে একটি মামলা দায়ের করেন। এ ঘটনায়
ওইদিনই তাকে আদালতে এনে ১০ দিনের রিমান্ডের আবেদন করে পুলিশ।
অতিরিক্ত চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট শামীমা আক্তার ওই আবেদনের
প্রেক্ষিতে অস্ত্র আইনের মামলায় মোবারক হোসেনকে ২ দিনের রিমান্ড দেয়
এবং লোকমান হোসেন হত্যা মামলায় কারাগারে পাঠানো নির্দেশ দেয়। দুই
রিমান্ডে জিজ্ঞাসাবাদে তাঁর কাছ বেশকিছু তথ্য পাওয়া যায়। তদন্তের
স্বার্থে আপাতত তা প্রকাশ করা সম্ভব হচ্ছে না। আরও বিশদ তথ্যের জন্যে
শুক্রবার দুপুরে জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট অনামিকা চৌধুরীর আদালতে
হাজির করে পুণরায় ৭ দিনের রিমান্ডের আবেদন জানায় পুলিশ। এরই
প্রেক্ষিতে আদালত দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
মেয়র লোকমান হোসেন হত্যা মামলার অভিযোগপত্রের গ্রেপ্তারি পরোয়ানাভুক্ত
আসামি মোবারক হোসেন ওরফে মোবা লোকমান হত্যাকা-ের এক সপ্তাহ
আগে থেকে মালয়েশিয়ায় পলাতক ছিলেন। লোকমান হত্যা মামলার
অভিযোগপত্র অনুযায়ী ওই হত্যাকা-ের মূল পরিকল্পনাকারি ছিলেন মোবারক।
গত ২৫ অক্টোবর মালয়েশিয়া থেকে দেশে ফিরে পলাতক অবস্থায় ছিলো।
নরসিংদীতে তাঁর মালিকানাধীন একটি জমি বিক্রি করতেই দেশে এসে
আত্মগোপনে ছিলো মোবারক। নজরদারী ও তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় জেলা
গোয়েন্দা পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) রুপন কুমার সরকার ও জাকারিয়া
আলমের নেতৃত্বে ৩০ অক্টোবর রাতে অভিযান চালিয়ে রাজধানির বনানীর
ডিওএইচএসের একটি বাসা থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করে। মোবারক
হোসেনকে গ্রেপ্তারের পর তাঁর দেওয়া তথ্য মতে প্রথমে ঢাকায় এবং পরে
নরসিংদীতে তাঁর নিজ বাড়িতে অভিযান চালানো হয়। পরে তার দেয়া
তথ্যমতে শহরের পশ্চিম ব্রাহ্মন্দী মহল্লাস্থ তার শ্বশুরের বাসায় অভিযান চালায়
গোয়েন্দা পুলিশ। এসময় ওই বাসা থেকে ৭ রাউন্ড গুলি ও ২টি পিস্তল উদ্ধার করা
হয়।
উল্লেখ্য, ২০১১ সালের ১ নভেম্বর পৌর মেয়র লোকমান হোসেনকে জেলা
আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে গুলি করে হত্যা করে সন্ত্রাসীরা। এ হত্যার ঘটনায়
নিহতের ছোট ভাই বর্তমান মেয়র কামরুজ্জামান বাদি হয়ে ১৪ জনের
বিরুদ্ধে একটি হত্যা মামলা করেন।