নিউজ ডেস্ক*
নরসিংদী প্রতিদিন,সোমবার,১৯ নভেম্বর ২০১৮;
নারায়ণগঞ্জের আলোচিত সাত খুন মামলার হাইকোর্টের পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশিত হয়েছে। সোমবার (১৯ নভেম্বর) বিকেলে সুপ্রিম কোর্টের ওয়েবসাইটে এ রায় প্রকাশ করা হয়।
গত ১৫ নভেম্বর এই রায়ের কপিতে রায় প্রদানকারী বিচারপতি ভবানী প্রসাদ সিংহ ও বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম স্বাক্ষর করেন।
গত বছরের ২২ আগস্ট সাত খুন মামলায় কাউন্সিলর নূর হোসেন, র্যাব-১১ এর প্রাক্তন অধিনায়ক তারেক সাঈদ মোহাম্মদ, প্রাক্তন র্যাব কর্মকর্তা আরিফ হোসেন, মাসুদ রানাসহ ১৫ জনের মৃত্যুদণ্ড বহাল রাখেন হাইকোর্ট। একইসঙ্গে নিম্ন আদালতে ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত অন্য ১১ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেয়া হয়। এছাড়া নিম্ন আদালতে বিভিন্ন মেয়াদে সাজাপ্রাপ্ত ৯ জনের দণ্ড বহাল রাখেন আদালত।
মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত অন্য আসামিরা হলেন- হাবিলদার এমদাদুল হক, আরওজি-১ আরিফ হোসেন, ল্যান্স নায়েক হীরা মিয়া, ল্যান্স নায়েক বেলাল হোসেন, সিপাহি আবু তৈয়ব, কনস্টেবল মো. শিহাব উদ্দিন, এসআই পুর্নেন্দু বালা, সৈনিক আব্দুল আলীম, সৈনিক মহিউদ্দিন মুন্সী, সৈনিক তাজুল ইসলাম, সৈনিক আল আমিন।
মৃত্যুদণ্ডের সাজা কমে যাদের যাবজ্জীবন হয়েছে তারা হলেন- সৈনিক আসাদুজ্জামান নুর, সার্জেন্ট এনামুল কবীর, নুর হোসেনের সহযোগী মুর্তুজা জামান চার্চিল, আলী মোহাম্মদ, মিজানুর রহমান দিপু ওরফে মিজান, মো. রহম আলী, মো. আবুল বাসার, সেলিম, মো. সানাউল্লাহ ওরফে সানা, ম্যানেজার শাহজাহান, জামাল উদ্দিন।
গত বছরের ১৬ জানুয়ারি দেশব্যাপী আলোচিত এই সাত খুনের মামলায় ২৬ আসামিকে মৃত্যুদণ্ডাদেশ দেন আদালত। বাকি নয় আসামির সবাইকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দেওয়া হয়। পরে ৩০ ও ৩১ জানুয়ারি মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত নুর হোসেন, তারেক সাঈদসহ আসামিরা খালাস চেয়ে হাইকোর্টে আপিল দায়ের করেন।
২০১৪ সালের ২৭ এপ্রিল বেলা দেড়টার দিকে ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ লিংক রোড থেকে অপহৃত হন নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের কাউন্সিলর নজরুল ইসলাম, আইনজীবী চন্দন সরকারসহ সাতজন। তিন দিন পর ৩০ এপ্রিল শীতলক্ষ্যা নদীতে একে একে ভেসে ওঠে ছয়টি লাশ। পরদিন মেলে আরেকটি লাশ। নিহত অন্যরা হলেন- নজরুলের বন্ধু মনিরুজ্জামান স্বপন, তাজুল ইসলাম, লিটন, গাড়িচালক জাহাঙ্গীর আলম ও চন্দন সরকারের গাড়িচালক মো. ইব্রাহীম।
ঘটনার এক দিন পর কাউন্সিলর নজরুলের স্ত্রী সেলিনা ইসলাম বাদী হয়ে আওয়ামী লীগের স্থানীয় নেতা (পরে বহিষ্কৃত) নূর হোসেনসহ ছয়জনের নাম উল্লেখ করে ফতুল্লা মডেল থানায় মামলা করেন।