খন্দকার শাহিন,নরসিংদী প্রতিদিন,শনিবার, ২৪ নভেম্বর ২০১৮:
নরসিংদীর মাধবদীতে আব্দুল্লাহ বাজার সংলগ্ন ময়না নূর টেক্সটাইল মিলস্ লিমিটেড এর একটি কারখানায় ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে বিদেশি মেশিন, সুতা, কাপড়সহ অন্যান্য মেশিনারিজ পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। শুক্রবার (২৩ নভেম্বর) সন্ধ্যা ছয়টার দিকে অগ্নিকাণ্ডের সুত্রপাত ঘটে। পরে খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের ৭টি ইউনিট প্রায় ২ ঘন্টা চেষ্টা চালিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। এ অগ্নিকাণ্ডে প্রায় ১৫ কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কা করা হচ্ছে।
শাহাজাহান কবীর নামে এক প্রত্যক্ষদর্শী নরসিংদী প্রতিদিনকে জানান, সন্ধ্যা ৬টার দিকে কারখানার ভেতর থেকে ধোঁয়া দেখতে পাওয়া যায়। মূহুর্তেই আগুনের লেলিহান শিখা চারদিকে ছড়িয়ে পড়ে। খবর পেয়ে মাধবদী ফায়ার সার্ভিসের দুটি ইউনিট ঘটনাস্থলে এসে আগুন নিভানোর চেষ্টা করে। আগুনের লেলিহান শিখা ভয়াবহ রূপ নিলে নরসিংদী থেকে তিনটি ও পলাশ থেকে দুটিসহ মোট সাতটি ইউনিট ঘটনাস্থলে এসে প্রায় দুই ঘন্টা চেষ্টা চালিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয়। এরই মধ্যে কারখানায় সংরক্ষিত সুতা, কাপড়সহ অন্যান্য মালামাল ভস্মীভূত হয়ে যায়।
ময়না নূর টেক্সটাইল মিলস্ লিমিটেডের পরিচালক নজরুল ইসলাম নরসিংদী প্রতিদিনকে জানান, আগুন লাগার খবর শুনে তিনি দৌড়ে আসেন। কারখানায় প্রবেশের মুখেই আগুনের ধোঁয়ায় তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন। পরে তাকে মাধবদী প্রাইম জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
তিনি বলেন, শুক্রবার সাপ্তাহিক ছুটির দিন হওয়ায় মিলের ভেতরে কোনো শ্রমিক ছিলো না। তাই আগুন লাগার প্রাথমিক পর্যায়ে কোনো ব্যবস্থা নেয়া যায়নি। পরে আগুন ভয়াবহ রূপ নিলে ফায়ার সার্ভিসের সাতটি ইউনিট ঘটনাস্থলে এসে প্রায় দুই ঘণ্টা চেষ্টা চালিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। কিন্তু এরই মধ্যে আগুনে পুড়ে ২৮টি বিদেশি মেশিন, মালামাল ও মেশিনারি পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। এ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় ১৫ কোটি টাকার ক্ষতির আশঙ্কা করা হচ্ছে।
তিনি আরো জানান, ময়না নূর টেক্সটাইল মিলস্ লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এস এম জসিম উদ্দিন মাহমুদ খবর পেয়ে রাতেই মিলে ছুটে আসেন অগ্নিকাণ্ডে সব পুড়ে ছাই হয়ে গেছে দেখে তিনিও শারীরিকভাবে অসুস্থ হয়ে পড়েন।
নরসিংদী সদর ফায়ার সার্ভিসের উপ-সহকারী পরিচালক সফিকুল ইসলাম ভূঁইয়া জানান, আব্দুল্লাহ বাজার সংলগ্ন কারখানায় আগুনের খবর পেয়ে তাদের তিনটি ইউনিট দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে মাধবদী ও পলাশেরসহ সাতটি ইউনিট দীর্ঘ চেষ্টা চালিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয়। এতে কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি তবে মিলের মালিক অসুস্থ হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে বৈদ্যুতিক শর্টসার্কিট থেকে আগুনের সূত্রপাত হতে পারে।