ডাক্তার প্রতিদিন | মঙ্গলবার, ১৮ ডিসেম্বর ২০১৮:
তীব্র এই শীতে শুধু জীবনযাত্রায় নয়, স্বাস্থ্যের ওপরও বিরূপ প্রভাব পড়ে। সবচেয়ে বেশি সমস্যা হয় শিশু, বৃদ্ধ ও রোগীদের। এই সময় মানুষের সর্দি-কাশি, টনসিলাইটিস, নিউমোনিয়া সহ শ্বাসতন্ত্রের বিভিন্ন রোগ, অ্যাজমা বা শ্বাসকষ্ট, আর্থ্রাইটিস বা বাতব্যথা, হার্টের সমস্যার প্রকোপ বেড়ে যায়। বিশেষ করে শিশুদের অ্যাজমা, নিউমোনিয়া, কোল্ড ডায়রিয়া ও ব্রংকিওলাইটিসসহ নানা রোগের প্রাদুর্ভাব দেখা দেয়।
এখন শিশুদের ব্যাপারে বাড়তি সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে। তাই শিশুকে ঠাণ্ডা আবহাওয়া থেকে দূরে রাখুন। প্রয়োজনে মাথায় সব সময় সুতি কাপড়ের স্কার্ফ বা টুপি পরিয়ে রাখবেন। শিশু যাতে নিজে নিজেই পরনের কাপড় খুলে ফেলতে না পারে সেদিকে লক্ষ্য রাখুন।
বেশি সময় খালি গায়ে রাখা হলে ঠাণ্ডা লেগে যেতে পারে। এ কারণে প্রস্রাব-পায়খানা বা গোসল করানোর পর শিশুদের দ্রুত গরম কাপড় পরিয়ে দিন। আক্রান্ত ব্যক্তির সংস্পর্শে শিশুকে আসতে না দেওয়াই ভালো। শিশু আক্রান্ত হলে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
যেহেতু এই তীব্র শীতে শিশুরা নিউমোনিয়া ও ব্রংকিওলাইটিসহ নানা রোগে খুব সহজেই আক্রান্ত হয়, সেহেতু তাদের এই সময়টাতে শীত উপযোগী কাপড় পরিধান করাতে হবে। গরম কাপড় দিয়ে শিশুদের মাথা ঢেকে রাখলে শরীরের সঠিক তাপমাত্রা বজায় থাকবে।
রুম হিটার ব্যবহার করতে পারেন। তবে লম্বা সময় ধরে রুম হিটার ব্যবহার করলে ত্বক শুষ্ক হয়ে যেতে পারে। সম্ভব হলে ৫ বছরের কম বয়সী শিশুদের ঘর থেকে বাইরে বের না করাই উত্তম।