প্রকাশিত ডেস্ক | নরসিংদী প্রতিদিন-
বৃহস্পতিবার,২০ ডিসেম্বর ২০১৮
আসন্ন একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে চট্টগ্রামের প্রশাসনের জন্য নতুন চ্যালেঞ্জ রোহিঙ্গা ইস্যু। কক্সবাজার থেকে নানাভাবে চট্টগ্রাম চলে আসা রোহিঙ্গারা ইতোমধ্যেই বিভিন্ন অপরাধ কাজে জড়িয়ে পড়ার অভিযোগও আছে। তাই নির্বাচনকে সামনে রেখে তারা বিশৃঙ্খলা ঘটানোর সম্ভাবনা উড়িয়ে দিচ্ছে না প্রশাসন। সঙ্গে আছে রোহিঙ্গাদের ভাড়া করে এনে ভোট কেন্দ্রে অবস্থান করানোর প্রবণতার শঙ্কা।
তবে অতীতের কোনো সংসদ নির্বাচনের সময় এবারের এত সংখ্যক রোহিঙ্গা ছিল না দেশে। তাই এবারের নির্বাচনে রোহিঙ্গারা প্রশাসনের জন্য (বিশেষ করে কক্সবাজার ও চট্টগ্রাম) নতুন বাড়তি একটি কাজ বলে মনে করছেন দায়িত্বশীল কর্মকর্তারা।
প্রসঙ্গত, গত মঙ্গলবার বিকালে চট্টগ্রামে মাঠ পর্যায়ের প্রশাসনের কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় নির্বাচন কমিশনের সচিব হেলালুদ্দীন বলেছেন, ‘কক্সবাজারের ক্যাম্পগুলোতে ১১ লাখ রোহিঙ্গা আছে। তা সম্পূর্ণ সিলগালা করে দিতে হবে। কোনো রোহিঙ্গা বের হতে পারবে না। কারণ তাদের ভাড়া করে নিয়ে বিভিন্ন ভোটকেন্দ্রে ভোট দেওয়ার প্রবণতা থাকতে পারে। রোহিঙ্গা সংশ্লিষ্ট সকল সংস্থাকে বিষয়টি জানিয়ে দেওয়া হবে।’ ইসি সচিবের এ বক্তব্যের পর বিষয়টি সামনে আসে।
চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ ইলিয়াস হোসেন বলেন, ‘রোহিঙ্গার বিষয়টি আলোচনায় আছে। তবে এ নিয়ে আমরা যথেষ্ট সচেতন আছি। নির্দিষ্ট চেকপোস্ট ছাড়াও সেনাবাহিনী, বিজিবি এবং কক্সবাজারের জেলা প্রশাসন এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় সব প্রস্তুতি গ্রহণ করেছে। আশা করছি তাদের কারণে কোনো সমস্যা হবে না।’
চট্টগ্রাম রেঞ্জের ডিআইজি খন্দকার গোলাম ফারুক বলেন, ‘নির্বাচনে ২২ হাজার পুলিশ মাঠে দায়িত্ব পালন করবেন। নির্বাচনী দায়িত্ব পালনের জন্য কক্সবাজার রোহিঙ্গা ক্যাম্প থেকেও দায়িত্বরত পুলিশের একটি অংশ চট্টগ্রামে নিয়ে আসতে হবে। তবে এ সময় রোহিঙ্গা ক্যাম্প থেকে যাতে বের হয়ে কক্সবাজার বা আশপাশের কোথাও বেরিয়ে যেতে না পারে, সেই উদ্যোগ নিতে হবে। এ ব্যাপারে আমরা প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেব।’
খবর: বাংলাদেশ প্রতিদিন, রেজা মুজাম্মেল, চট্টগ্রাম।