নিজস্ব প্রতিবেদক | নরসিংদী প্রতিদিন-
সোমবার,২৪ ডিসেম্বর ২০১৮:
নরসিংদী-২ (পলাশ) আসনে বিএনপির প্রার্থী ড. আবদুল মঈন খান প্রচারণা চালানোর সময় পুলিশ বাঁধা দিয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। মঙ্গলবার (২৪ ডিসেম্বর) বিকেলে জিনারদী ইউনিয়নের পারুলিয়া মোড় থেকে পলাশ যাওয়অর পথে আজিজ মেম্বারের বাড়ি এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনার পর সহকারি রিটার্নিং কর্মকর্তা ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ে গেলে যুবলীগ ও ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের হামলায় আহত হয়েছেন মঈন খানের ব্যক্তিগত সহকারি বাহাউদ্দিন ভূঁইয়া মিল্টন। আহতাবস্থায় তাকে ঢাকা মেডিকেলে পাঠানো হয়েছে।
পুলিশ ও দলীয় নেতাকর্মীরা জানান, বিএনপি প্রার্থী ড. আবদুল মঈন খান দুই শতাধিক নেতাকর্মী নিয়ে উপজেলার পারুলিয়া মোড় থেকে পলাশ আসার পথে প্রচারণা চালাচ্ছিলেন। এসময় সড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যাওয়ায় ও বিশৃংখলা সৃষ্টির আশংকায় থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌছে তাদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়। এ ঘটনার পর ড. আবদুল মঈন খান ও তাঁর ব্যক্তিগত সহকারি বাহাউদ্দিন ভূইয়া মিল্টন নরসিংদী-২ (পলাশ) আসনের সহকারি রিটার্নিং কর্মকর্তা ও পলাশ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ভাস্কর দেবনাথের কার্যালয়ের দিকে যান।
মঈন খান সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয়ে প্রবেশ করলেও এসময় রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয়ের বাইরে যুবলীগ ও ছাত্রলীগের একদল নেতাকর্মী লাঠিসোটা নিয়ে মিল্টনের উপর হামলা চালায়। এতে তিনি মাথায় ও নাকে আঘাত পেয়ে গুরুতর আহত হন। পরে তাকে ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার করে প্রথমে পলাশ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও পরে ঢাকা মেডিকেল হাসপাতালে পাঠানো হয়।
এ ব্যাপারে পলাশ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মকবুল হোসেন প্রচারণায় বাঁধা দেওয়ার অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, বিএনপির প্রার্থী ড. আবদুল মঈন খান অনেক নেতাকর্মী নিয়ে শোডাউন করার সময় ব্যাপক যানজট ও বিশৃংখল পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। পরে উনাকে বিষয়টি বুঝিয়ে বললে তিনি নেতাকর্মীদের সরিয়ে দিয়ে চলে যান। পরে ইউএনও কার্যালয়ের সামনে ওনার পিএসের উপর কে বা কারা হামলা চালিয়েছে বলে শুনেছি।