নিজস্ব প্রতিবেদক | নরসিংদী প্রতিদিন-
মঙ্গলবার,২৫ ডিসেম্বর ২০১৮::
নারায়ণগঞ্জ-২ (আড়াইহাজার) আসনে বিএনপির প্রার্থী নজরুল ইসলাম আজাদ নির্বাচনী প্রচারণার জন্য আড়াইহাজারের সর্বস্থরে নির্বাচনী মাঠ চষে বেড়াচ্ছেন। তিনি এলাকায় এলাকায় ভোটারদের কাছে লিফলেট বিতরণ এবং ভোটারদের কাছে ধানের শীষের পক্ষে ভোট চাইছেন
গণসংযোগকালে তিনি জানান, আওয়ামী লীগের পায়ের তলায় মাটি নেই। প্রচারণায় বের হলেই আমাদের নেতাকর্মীদের ওপর আওয়ামী লীগ সশস্ত্র হামলা করছেন। ধানের শীষের পোষ্টার নামিয়ে পুড়িয়ে দিচ্ছে।
তাদের প্রতি মানুষ মুখ ফিরিয়ে নিয়েছেন। হুমকী ধমকী দেয়াটাই এখন আওয়ামী লীগের এখন পুঁজি। কোন প্রকার রক্ষচক্ষুকে আপনারা ভয় পাবেন না। সুষ্ঠু নির্বাচন হলে তাদের পরাজয় নিশ্চিত। তাই তারা ভোটারদের ভয়ভীতি দেখাচ্ছেন।
৩০ ডিসেম্বর আপনারা স্বতঃর্স্ফূতভাবে কেন্দ্রে যাবেন। আপনারা বীরের জাতি। বাঁধা দিলে আপনারা শান্তিপূর্ণভাবে তা প্রতিরোধ গড়ে তুলবেন। মনে রাখবেন আপনার একটি ভোট ‘গণতন্ত্র মুক্তি’ আন্দোলনের মা বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির সনদ।
জাতির এই ক্লান্তিকালে কেউ ঘরে বসে থাকবেন না। স্বৈরাচারি এই শাসকের বিদায়ী ঘন্টা ভেজে গেছে। আপনারা জেগে উঠুন। মুক্তির এই বার্তা চারিদিকে ছড়িয়ে দিন। জয় আমাদের নিশ্চিত ইনশাআল্লাহ্।
রোববার (২৩ ডিসেম্বর) আড়াইহাজার উপজেলার খাগকান্দা এলাকায় এক পথসভায় তিনি এসব কথা বলেন। এ ছাড়াও নজরুল ইসলাম আজাদ স্থানীয় ব্রাহ্মন্দী, মাহমুদপুর, উচিৎপুরা, জাঙ্গালিয়া ও খাগকান্দা ইউনিয়নসহ বিভিন্ন এলাকায় গনসংযোগকালে ভোটারদের কাছে ভোট প্রার্থনা করেন। এবং সরকারের বিভিন্ন অসঙ্গতির চিত্র তুলে ধরেন। এসময় স্থানীয় বিএনপির বিভিন্ন অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীর ঢল নামে।
গনসংযোগে উপস্থিত ছিলেন জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি লুৎফর রহমান আব্দু, থানা বিএনপির নেতা আনোয়ার হোসেন অনু, আবদুল মতিন, থানা যুবদলের আহবায়ক জুয়েল আহম্মেদ, থানা বিএনপির ক্রিড়া সম্পাদক আবুল কালাম ভূঁইয়া, স্বেচ্ছাসেবক দলের আহবায়ক মঞ্জুর হোসেন মোল্লা, যুগ্ম-আহবায়ক মনিরুজ্জামান খান, জেলা যুবদলের সাবেক সিনিয়র সহ-সভাপতি ছালাউদ্দিন মোল্লা, যুবদলের যুগ্ম-আহবায়ক আজহারুল হক লাভলু, যুবদলের যুগ্ম-আহবায়ক মাছুম শিকারী, গোপালদী পৌরসভা বিএনপির সভাপতি হোসেন আলী, আড়াইহাজার মহিলা দলের সভানেত্রী পারভীন আক্তার ও ছাত্রদল নেতা রাজিব প্রমুখ।
পথ সভায় আজাদ আরো বলেন, আওয়ামী লীগের দশ বছরের এই শাসন আমলে মিথ্যা মামলা এবং নির্যাতন ছাড়া তারা জনগণকে কিছুই দিতে পারেনি। তারা সংবাদপত্রের গলা টিপে ধরেছে। উন্নয়নের নামে একদিকে করা হয়েছে লুটপাট। অপরদিকে সারাদেশ পরিণত করা হয়েছে কারাগারে।
তাদের কিছু এমপি ও মন্ত্রী দশ বছরে ব্যাংক লুটপাট, সংখ্যালঘুদের জমি দখল ও দুর্নীতি করে কোটিপতি হয়েছেন। পুলিশ দিয়ে তারা রাষ্ট্রক্ষমতায় টিয়ে রয়েছেন।
এতে আইনের শাসন বিলুপ্ত হয়ে গেছে। পুলিশ নীরব ভূমিকা পালন করে যাচ্ছেন। তবে এতো নির্যাতনের পরও আমাদের আন্দোলন ও প্রচারণা থেমে নেই।