আহমাদুল কবির | নরসিংদী প্রতিদিন-
মঙ্গলবার,২৫ ডিসেম্বর ২০১৮::
মালয়েশিয়ার বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে কর্মরত বিদেশী কর্মীদের মূল বেতন থেকে ২০ শতাংশ কেটে রাখার প্রস্তাবা দেয়া হয়েছে ব্যবসায়ী মালিকদের। ১৫ ডিসেম্বর শনিবার এ প্রস্তাবটি দিয়েছেন দেশটির মানবসম্প্রদ মন্ত্রী এম. কুলাসেগারান।
তিনি বলেন,’এটি বাস্তবায়ন হলে মালিক ও শ্রমিক উভয়পক্ষের জন্যই লাভজনক হবে। বিদেশী কর্মীর ভিসার মেয়াদ শেষে নিজ দেশে ফিরে যাওয়ার সময় সঞ্চিত বেতনের অংশ ফেরত দেওয়া হবে। ফলে মালিকের কাছ থেকে পালিয়ে যাওয়ার প্রবণতাও কমে আসবে।’
তবে এটি বাস্তবায়ন হলে বিদেশী কর্মীদের নিয়োগকর্তাদের ভবিষ্যতে সমস্যায় পড়ার আশংকা করছে ফেডারেশন অব মালয়েশিয়ান ম্যানুফ্যাকচারারস (এফএমএম)। সেই সমস্যাগুলো মোকাবেলায় প্রস্তাবটি বোঝার জন্য আরো বিস্তারিত জানানোর আহবান জানিয়েছে সংগঠনটি। এফএমএম এর সভাপতি দাতুক সোহা থিয়ান লাই বলছেন, ’শ্রমিকদের অর্থ সঞ্চয়, পালিয়ে যাওয়া থেকে সুরক্ষা, স্বল্পমেয়াদী বৈদেশিক বিনিময় হ্রাসের মতো কিছু ইতিবাচক ফলাফল হতে পারে। তবে আরও কিছু দিক বিবেচনা করা উচিত।’
১৮ ডিসেম্বর তিনি এক বিবৃতিতে এ মন্তব্য করে বলেন,‘কর্মীদের সমবিধিবদ্ধ অবদান হিসেবে বিদেশী কর্মী নিয়োগের আইনে সংশোধন করা উচিত। বেতনের ২০ শতাংশ কাটার প্রস্তাবনাটি উচ্চমাত্রার হতে পারে কি না। কারণ, বিদেশী কর্মীরা নিজ দেশে ঋণ পরিশোধের জন্য প্রতিশ্রুতি বদ্ধ থাকে।’
থিয়ান লাই এ ব্যাপারে আরো বলেন,’কর্তন করা অর্থ ব্যাংকের সঞ্চয় হিসাবে সুদ আছে কি না সে সম্পর্কেও সরকারকে মেকানিজম এবং মানদন্ড বিবেচনা করতে হবে। কোনো পালিয়ে যাওয়া শ্রমিকের সঞ্চয় বাজেয়াপ্ত করার বৈধতা এবং মানবাধিকার দৃষ্টিভঙ্গির বিষয়টির উপরও নজর দেওয়া প্রয়োজন বলে মনে করেন তিনি।’
এ দিকে বিদেশী কর্মীদের মূল বেতনের ২০ শতাংশ কাটার এ প্রস্তাবনা বিবেচনার জন্য মন্ত্রিসভায় জমা দেওয়ার আগে একটি পর্যালোচনা কমিটির সভা হওয়ার প্রয়োজন আছে বলে মনে করছে ফেডারেশন অব মালয়েশিয়ান ম্যানুফ্যাকচারারস (এফএমএম)।