স্বাস্থ্য প্রতিদিন| নরসিংদী প্রতিদিন-
বুধবার,২৬ ডিসেম্বর ২০১৮:
কিডনিতে পাথর জমা হওয়া মারাত্মক একটি রোগ। সঠিক সময়ে চিকিৎসা না পেলে এটি মৃত্যুর কারণ হতে পারে। চিকিৎসকের মতে, স্টোন মূলত দু’ধরনের। সাধারণ কারণে হওয়া পাথর ও অন্য কোনও অসুখজনিত কারণে হওয়া পাথর। কিছু নিয়ম মেনে চললে এমন অসুখ এড়ানো সম্ভব।
কিডনিতে পাথর থেকে রক্ষা পেতে চিকিৎসকের পরামর্শ:
শরীরের চাহিদা মেনে জল: কিডনির কাজ শরীরের বর্জ্য ছেঁকে শরীরের ক্ষতিকারক টক্সিনকে সরানো। তাই শরীরের চাহিদা অনুযায়ী জল না খেলে কিডনির পক্ষে সে কাজ করা দুঃসাধ্য হয়ে পড়ে। ফলে সে সব বর্জ্য জমে পাথর জমার সম্ভাবনাও বাড়ে।
লবন কম খান: খাবারে অতিরিক্ত লবন, বিশেষ করে কাঁচা লবন খাওয়ার অভ্যাস থাকলে আজই তা বদলান। লবনের সোডিয়ামকে কিডনি সরাতে পারে না। তাই সোডিয়াম সমৃদ্ধ খাবারের মাত্রা বেড়ে গেলে কিডনিতে পাথর জমে।
বদহজম এড়ান: হজমে সমস্যা আনতে পারে এমন খাবার খাবেন না। হজমের গোলমাল কিডনিতে বিরূপ প্রভাব ফেলে। বর্জ্য নিষ্কাশনে বাধা তৈরি হয় ও পাথর জমার সম্ভাবনা বাড়ে।
ব্যথানাশকে না বলুন: অনেকেরই ঘন ঘন ব্যথানাশক ওষুধ খাওয়ার অভ্যাস থাকে। এই ওষুধের অন্যতম পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া কিডনিতে সমস্যা তৈরি করা। কাজেই ঘনঘন এমন ওষুধ খাওয়ার অভ্যাস থাকলে তা বদলান।
প্রস্রাব চেপে রাখবেন না: কিডনির অসুখের অন্যতম কারণ প্রস্রাব চেপে রাখা। এতে সংক্রমণ হওয়ার ভয়ও থাকে।
অসুখজনিত সমস্যা: সাধারণ স্টোন ছাড়াও অক্সালেট স্টোন, ইউরিক অ্যাসিড স্টোন, মেয়েদের ক্ষেত্রে স্ট্রভাইট স্টোন হয়। এ সব অসুখজনিত কারণে স্টোন এড়াতে অসুখের নিয়মিত চেক আপ, নিয়ম মেনে ওষুধ ও খাদ্যগ্রহণ করুন। বারবার মূত্রনালীতে সংক্রমণ থেকে হওয়া স্ট্রভাইট স্টোন এড়াতে চেষ্টা করুন নিয়ম মেনে সংক্রমণের চিকিৎসা করাতে।