খন্দকার শাহিন | নরসিংদী প্রতিদিন-
বুধবার,০৯ জানুয়ারি ২০১৯:
নরসিংদী সদর উপজেলার মাধবদীতে ঝাড়ফুঁক ও পানি পড়া দিয়ে সর্বরোগের চিকিৎসা দিচ্ছেন নুরালাপুর ইউনিয়নের শ্যামতলী গ্রামের বৃদ্ধ লাল মিয়া কবিরাজ। এ সেবা নিতে প্রতিদিনই মানুষের ঢল নামে তার বাড়ির আঙ্গীনায়।
স্থানীয়রা জানান, কবিরাজের ঝাড়ফুঁক দেওয়া পানিতেই সেরে যাবে যেকোনো রোগ, পূরণ হবে মনোবাসনা, সমাধান মিলবে হাজার মুশকিলের। লোক মুখে এমন খবর পেয়ে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে প্রতিদিন ছুটে আসছে মানসিক রোগী, প্রতিবন্ধী, প্যারালাইসিস বাত ব্যথা, নারী-পুরুষসহ হাজার হাজার মানুষ। সব ধররের রোগের আরোগ্য লাভও করছেন বলেও জানান তারা।
লাল মিয়ার ছেলে শাজাহান বলেন, প্রায় আড়াই মাস আগে স্বপ্নে পাওয়া অলৌকিক ক্ষমতার মাধ্যমে ঝাড়ফুঁকের চিকিৎসা শুরু করেন তার বাবা। প্রথমে তার চিকিৎসায় পাশের বাড়ির এক নারী কঠিন রোগ ও মানসিক সমস্যার সমাধান হয়। বিষয়টা জানাজানি হলে ঝাড়ফুঁক ও পানি পড়া নিতে তাদের বাড়িতে দেশের দূরদূরান্ত থেকে প্রতিদিন পাঁচ হাজারের মত মানুষ ভিড় জমায়। বিনিময়ে কোনো টাকা পয়সা নেন না তারা। তার বাবাকে স্থানীয়রা সহযোগিতা করেন।
পাশের গ্রামের আজিজুল ইসলাম বলেন, সহায় সম্বলহীন বৃদ্ধ লাল মিয়া ঝাড়ফুঁক ও পানি পড়ার মাধ্যমে সর্বোরোগের চিকিৎসা দিচ্ছেন। এর উপকার পেয়ে প্রতিদিন হাজার হাজার মানুষ আসছে। তিনিও পানি পড়া নিতে এসে সহযোগিতা করছেন। সপ্তাহে শুক্রবার বন্ধ থাকে এ কবিরাজের চিকিৎসা। কুমিল্লা থেকে আসা রোকেয়া বেগম কোমরে বাত ব্যথা সারাতে এখানে এসেছেন। এটা তার চিকিৎসার দ্বিতীয় দিন। তিনি বলেন, দেখি আল্লাহ কি করেন। অনেকে ভালো বলেছে ওই বিশ্বাস থেকেই এখানে আসা।’
রাহেলা নামে এক বৃদ্ধা দীর্ঘনিঃশ্বাস ফেলে বলেন, ‘বাবারে অনেক দূর থেকে ফজরের সময় এসেছি কবিরাজ বাড়িতে। দুপুর হয়ে যাচ্ছে এখনও লাইনে আছি। আমার অসহ্য কোমর ব্যথা। পানি পড়া খেয়ে দেখি আল্লাহ কি করেন।’
এ ব্যাপারে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান খাদেমুল ইসলাম ফয়সাল জানান, বিষয়টি শুনেছি। তবে খোঁজ নিতে ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখব।