1. khandakarshahin@gmail.com : Breaking News : Breaking News
  2. laxman87barman@gmail.com : laxman barman : laxman barman
  3. shahinit.mail@gmail.com : narsingdi : নরসিংদী প্রতিদিন
  4. msprovat@gmail.com : ms provat : ms provat
  5. hsabbirhossain542@gmail.com : সাব্বির হোসেন : সাব্বির হোসেন
  6. wp-configuser@config.com : James Rollner : James Rollner
  7. wpapitest@config.com : wpapitest :
বুধবার, ১৩ নভেম্বর ২০২৪, ০১:০৭ পূর্বাহ্ন

বিজ্ঞাপণ দিতে ০১৭১৮৯০২০১০

অস্তিত্ব সংকটে বাংলার বাঁশ শিল্প, দূর্দিনে শিল্পীরা!

ডেস্ক রিপোর্ট | নরসিংদী প্রতিদিন
  • প্রকাশের তারিখ | মঙ্গলবার, ২২ জানুয়ারী, ২০১৯
  • ৪৩৬ পাঠক

নিউজ ডেস্ক | নরসিংদী প্রতিদিন-
মঙ্গলবার,২২ জানুয়ারি ২০১৯:
কেউ তৈরি করছেন চাটাই, কেউ ডালি, কেউ কুলা আবার কেউ বানাচ্ছেন চালন বা খেলনা- নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্য। তাদের ক্লান্তি নেই। বিভিন্ন আকার ও শৈলীতে তৈরি হয় এসব পণ্য। বর্থপালিগাঁও ও তাজপুর রাস্তার পাশ্বে গ্রামটিতেই বাঁশ শিল্পীদের বসবাস। বাঙালির নিত্যপ্রয়োজনীয় ও ঐতিহ্যের সঙ্গে যুক্ত সাংসারিক সামগ্রী তৈরীতে নিপুণ শিল্পী এই গ্রামের অধিকাংশ বাসিন্দা।

যুগ যুগ ধরে এই গ্রামের পরিবারগুলোর নারী-পুরুষ বাঁশ দিয়ে বিভিন্ন নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্য তৈরিতে পারদর্শী। বাঁশের সঙ্গে এসব পরিবারের মানুষের নারীর সম্পর্ক। কিন্তু এই মানুষগুলোর ভাগ্যের পরিবর্তন হচ্ছে না। প্লাস্টিক সামগ্রীর ভীড়ে এক সময়ের ঐতিহ্যবাহী বাঁশশিল্প আজ চরম অস্তিত্ব সংকটে। প্রয়োজনীয় পুঁজি, সঠিক উদ্যোগের অভাব ও উৎপাদিত পণ্য সামগ্রীর নায্যমূল্য না থাকায় অনেকে পাল্টাচ্ছে তাদের পেশা। দারিদ্রতাকে সঙ্গী করে পিতৃপুরুষের ঐতিহ্যবাহী পেশাকে এখনো যারা আগলে ধরে রেখেছেন তারাও রয়েছেন নান সমস্যায়।

বাজারে প্রচলিত প্লাষ্টিক জিনিসের সাথে প্রতিযোগীতায় টিকে থাকতে না পেরে তারা হয়ে পড়েছেন কোণঠাসা। ফলে আবহমান বাংলার এ শিল্পের ঐতিহ্য হারানোর পাশাপাশি ঠাকুরগাঁও জেলার পীরগঞ্জের বাঁশশিল্পীদের ভাগ্যে নেমে এসেছে র্দুদিন। ঠাকুরগাঁও জেলা শহর থেকে প্রায় ৩০ কিলোমিটার দূরে পীরগঞ্জ উপজেলার পল্লী বর্থপালিগাঁও তাজপুর। বর্থপালিগাঁও তাজপুরে ছোট একটি এলাকা জুড়ে তাদের বসতি সেখানকার অধিকাংশ লোকজন হাড়ি বা বাশঁমালি জাতি নামে পরিচিত।

সে গ্রামে না আসলে হয়তো কোনোদিন জানা যেত না নতুন বাঁশ কাটলে এক প্রকার সুগন্ধ পাওয়া যায়। এই কাটা বাঁশের সুগন্ধ ও সোনালী রং পুরো গ্রামের পরিবেশকে দিয়েছে ভিন্নমাত্রা। গ্রামের বাড়ির উঠানে কিংবা বাড়ির উপর দিয়ে চলে যাওয়া মেঠে পথে অথবা বাড়ির পাশে ফাঁকা জায়গায় বসে বাঁশ দিয়ে নানা পণ্য তৈরি করছেন গ্রামের লোকজন। একাধিক বাসিন্দা জানালেন, সকালে অনেককে বের হতে হয় বাঁশ সংগ্রহে। এরমধ্যে বাকীদের শুরু হয় বাঁশ কাটা, চাছা, চাটাই বাঁধা, শুকানো ও বিভিন্ন ধরনের উপকরণ তৈরির কাজ। সংসারের কাজ শেষ করে নারীরাও বসেন বাঁশের কাজে। ছেলে-মেয়েরাও সাধ্যমতো সহযোগিতা করে।

এভাবেই বয়ে যায় সকাল থেকে সন্ধ্যা। বাঁশের কারিগর বলোরাম রায়(৩০) জানালেন, স্ত্রী ও দুই সন্তান নিয়ে তিনি এ কাজ করেন। তবে প্লাস্টিকের বিভিন্ন জিনিস পত্র বাজারে পাওয়া যাওয়াতে বাসের জিনিস মানুষ কম কিনছেন বলে তিনি জানান।
বাড়ির উঠানে বসে কাজ করছিলেন, কারিগর রাধীকা রাণী (সাইকেল রানী) (৩৩) তিনি জানালেন, আগে সহজে বাঁশ সংগ্রহ করা যেত। এখন বাঁশের সংকটসহ দাম বেড়েছে। সে কারণে লাভ কমে গেছে। কারিগর ললিয়া দাস (৫৫) জানান, বাশঁ কারিগরদের প্রধান সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে তাদের তৈরি পণ্য বাজারজাতকরণ।

বর্তমানে তাদের তৈরি পণ্য বাজারজাত করতে স্থানীয়ভাবে পাইকার সৃষ্টি হয়েছে। আর তাদের কাছে এই বাঁশের শিল্পীরা জিম্মি হয়ে পড়েছেন। এই স্থানীয় পাইকারদের কাছে আগাম টাকা নিয়ে বাঁশ শিল্পীরা বাঁশ সংগ্রহ করে পণ্য তৈরি করেন। ফলে কম দামে ওই পাইকাররা এসব পণ্য ক্রয় করে নিয়ে গিয়ে দেশের বিভিন্ন হাট-বাজারসহ নানা স্থানে বিক্রি করেন। যুগের পর যুগ এই বাঁশ শিল্পীদের ভাগ্যের পরিবর্তন না হলেও তাদের এই শ্রম ও শৈল্পীক কাজের পুরো মুনাফাটা লুটে নিচ্ছেন মধ্যসত্ত্বভোগী এই পাইকার গোষ্ঠী।



সংবাদটি শেয়ার করিুন

এই পাতার আরও সংবাদ:-



বিজ্ঞাপণ দিতে ০১৭১৮৯০২০১০



DMCA.com Protection Status
টিম-নরসিংদী প্রতিদিন এর সার্বিক তত্ত্বাবধানে শাহিন আইটি এর একটি প্রতিষ্ঠান-নরসিংদী প্রতিদিন-
Theme Customized BY WooHostBD