ছিদ্দিকুর রহমান ইমন । নরসিংদী প্রতিদিন-
শুক্রবার,০১ ফেব্রুয়ারি ২০১৯:
জাতীয় নির্বাচনের পর উপজেলায় চমক দেখাবে এমনটাই প্রত্যাশা নরসিংদী সদরবাসীর। নরসিংদী সদর উপজেলায় সেই চমকের বাহক হয়ে উঠতে পারে তরুন আওয়ামী লীগ নেতা আনোয়ার হোসেন এমন ধারণা করছে সদরবাসীর।
সারা বিশ্বে করছে আজ তারণ্যের জয়ধ্বনি। বাংলাদেশ এর ব্যাতিক্রম নয়। খোদ দেশের প্রধান মন্ত্রী , বঙ্গবন্ধু কন্যা, জননেত্রী শেখ হাসিনা তরুণদের প্রাধান্য দিয়ে রাজনীতিতে নিয়ে আসছে তরুণ নেতৃত্ব। বিগত একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তারণ্যের প্রতি আস্থা রেখে দেশের মানুষকে উপহার দিয়েছে তরণ নেতৃত্ব। উপজেলা নির্বাচনেও এর অন্যথা হবেনা বলে অনেকের ধারণা। নরসিংদীর সদর উপজেলায় আ’লীগ দলীয় মনোনয়ন প্রত্যাশী হয়ে প্রধান মন্ত্রী , জননেত্রী শেখ হাসিনার আস্থা অর্জণ করতে চান নরসিংদীর তরুণ সমাজের অহংকার, ধুমপান ও মাদক বিরোধী আন্দোলনের অন্যতম সংগঠক মো: আনোয়ার হোসেন ( আনোয়ার কমিশনার) । নরসিংদী জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এই তরুন নেতা ছাত্রজীবন থেকেই আওয়ামী রাজনীতিতে সম্পৃক্ত। তিনি পর পর দুইবার ছাত্রলীগের মনোনীত প্যানেল থেকে মাধবদী কলেজের জিএস নির্বাচিত হন। উন্নয়নের স্বার্থে তরুণ এ নেতাকে চেয়ারম্যান হিসেবে পেতে চায় সদরবাসী।
সর্বমহলে ব্যাপক গ্রহন যোগ্য আনোয়ার হোসেনের পরিবারের প্রায় সকল সদস্যই আ’লীগের রাজনীতির সাথে সম্পৃক্ত। তার পিতা মরহুম হাজী মো: আবু ছাইদ মাধবদী পৌর আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। মা মরহুমা সুফিয়া বেগম ছিলেন নরসিংদী সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের মহিলা বিষয়ক সম্পাদিকা। বড় বোন মোসা: লাভলী আক্তার বদরুনেছা কলেজ শাখা ছাত্রলীগের আহবায়ক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। বর্তমানে তিনি ভৈরব উপজেলা আ’লীগের মহিলা বিষয়ক সম্পাদিকা এবং ভৈরব পৌর কাউন্সিলর ও প্যানেল মেয়র। ছোট ভাই মো: জাকারিয়া নরসিংদী জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ও সদর উপজেলা ছাত্রলীগের একটানা ১৩ বছর সফলতার সাথে সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন। ছাত্র জীবন থেকে আওয়ামী ঘরাণার রাজনীতিতে সম্পৃক্ত হওয়া আনোয়ার হোসেন মাধবদী পৌরসভা গঠিত হওয়ার পর ২০০৩ সালে অনুষ্ঠিত প্রথম পৌর নির্বাচনে তিনি ২ নং ওয়ার্ডের কমিশনার নির্বাচিত হন।
মাধবদী পৌরসভার সফল কমিশনার হিসেবে তিনি সর্বজন স্বীকৃত। রাজনৈতিক জীবনে তিনি ছাত্রলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগসহ দল যখন তার উপর যে দায়িত্ব দিয়েছে তা সফলভাবে পালন করেছে। বর্তমানে তিনি জেলা আ’লীগের সাংগঠনিক সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করছেন। রাজনীতির পাশাপাশি তিনি বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ম্যানেজিং কমিটির বিভিন্ন পদসহ সামাজিক সংগঠনের সাথে জড়িত রয়েছেন। ধুমপান ও মাদকের বিরুদ্ধে তিনি সর্বদা স্বোচ্চার।
রাজনৈতিক মাঠে সর্বদা উজ্জ্বল এ নেতা বিভিন্ন আন্দোলন সংগ্রামসহ দলীয় কর্মকান্ডে সব সময় সামনে থেকে নেতাকর্মীদের উৎসাহ ও প্রেরণা জুগিয়েছেন। রাজনীতিতে সর্বদা অগ্রভাগে থাকলেও দল থেকে পাননি কিছুই। বঞ্চিত হয়েছে সব কিছু থেকেছেন। তিনি ২০১১ সালে মাধবদী পৌর নির্বাচনে মেয়র পদে প্রার্থী হলেও নির্বাচনের মাত্র ৭ দিন আগে জেলার উচ্চ পর্যায়ের দলীয় নেতাদের অনুরোধে তিনি নির্বাচন থেকে সরে যান। দলীয় স্বার্থে নির্বাচন থেকে সরে আসলেও দলীয় নেতৃবৃন্দ তাকে দেওয়া কথা রাখেননি। পরবর্তী নির্বাচনেও তিনি প্রার্থী হলে সে সময়ও তাকে বঞ্চিত করা হয়। বিগত জেলা পরিষদ নির্বাচনেও তিনি প্রার্থী হতে চাইলে দলীয় নেতাদেও অনুরোধে তিনি তা থেকে বিরত থাকেন।
আনোয়ার হোসেন এলাকার সাধারণ মানুষের বিভিন্ন দু:খ-দুর্দশায় সর্বদা তাদের পাশে গিয়ে দাঁড়ান এবং তার সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেন। অর্থাভাবে কোন শিক্ষার্থীর পরিবার যদি শিক্ষার ব্যয়ভার চালাতে না পারে তবে তিনি স্ব উদ্যোগে ওই শিক্ষাথীর ব্যয় বহন করেন। এমন নজির অগণিত। এলাকার মানুষ দু:সময়ের বন্ধু হিসেবে তাকে জানেন ও মানেন।
নরসিংদী সদর উপজেলার মাধবদী পৌর এলাকার বাসিন্দা দরিদ্র রিক্শা চালক হাছেন আলী বলেন, ‘গরিব রিক্শা ওয়ালা আমি ঠিক মত সংসার চালাতে পারিনা। লেহাপড়ার খরচ্যা চালাইতে না পাইরা ছোড পোলাডার লেহাপড়া বন্ধ কইর্যা কামে ঢুকাইয়া দেই। কিন্তু আনোয়ার ভাই আমার সেই পোলা লেহাপড়াসহ সকল খরচের ভার নিয়া তারে আবার আইন্যা ইস্কুলে ভর্তি কইর্যা দেয়। আমার সেই পোলা অহন ইস্কুল পাশ দিয়া কলেজে পড়তাছে। আমাগো লাইগ্যা আনোয়ার ভাই ফেরেস্তা।’
শুধু গরিব অসহায়দের প্রতিই নয় তিনি দলীয় নেতাকর্মীদের দু:সময়ে তাদের পাশে এসে দাঁড়িয়েছেন। সব সময় তৃণ মুলের নেতাকর্মীদের খোঁজখবরসহ তাদের যোগাযোগ রক্ষা করে চলেছেন। তাইতো তৃণমূল জড়িপে তিনি অন্যান্য মনোনয়ন প্রত্যাশীদের চেয়ে এগিয়ে রয়েছেন।
নরসিংদী সদরের চরাঞ্চলীয় চারটি ইউনিয়নে তিনি সমান জনপ্রিয়। চরবাসীর শিক্ষার মানোন্নয়নে তিনি নিরলস কাজ করে যাচ্ছেন। নরসিংদী সদর উপজেলার চরদিঘলদী এলাকার ষাটোর্ধ বৃদ্ধ মোমিন মিয়া বলেন, ‘আনোয়ার কমিশনার আমগো চরের পোলাপানের লেখাপড়ার জন্য স্কুল প্রতিষ্ঠাসহ লেখাপড়ার বিষয়ে সব সময় খবরাখবর নেয়। আমাগো বিপদে-আপদে সে ছুটে আসে। তাকে উপজেলা চেয়ারম্যান হিসেবে পেলে আমাগো চরে মাইস্যের উপকারই অইব।’
নির্বাচন নিয়ে ভাবনা কি এ বিষয়ে জানতে চাইলে আনোয়ার হোসেন বলেন, আমি একজন প্রার্থী। দলীয় হাইকমান্ড আমাকে যোগ্য মনে করে মনোনয়ন দিলে আমি তাদের আস্থা রাখতে পারব ইনশাল্লাহ।
চেয়ারম্যান হিসেবে নির্বাচিত হলে সদর উপজেলাকে ঢেলে সাজাবার প্রত্যয় ব্যক্ত করে বলেন, ’আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় থাকলেও দলীয় চেয়ারম্যান না থাকায় অনেক উন্নয়ন কর্মকান্ড বঞ্চিত হয়েছে সদরবাসী। আমি চেয়ারম্যান নির্বাচিত হলে সকল উন্নয়ন কর্মকান্ডে সদর উপজেলাকে সম্পৃক্ত করবো।’