বিনোদন ডেস্ক | নরসিংদী প্রতিদিন-
বৃহস্পতিবার, ৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৯:
ক্যাট্রিনাকে ধর্ষণ করা হয়েছে। শুধু তা-ই নয়। তাকে ধর্ষণের পর হত্যা করেছে ধর্ষক। তার নগ্ন শরীর ফেলে গেছে বাথটাবের ভিতর। সেখানে পানিতে ভাসমান অবস্থায় তার দেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। ক্যাট্রিনা রাশিয়ার নামকরা একজন মডেল । ধারনা করা হচ্ছে ২০ বছর বয়সী মডেল ক্যাট্রিনাকে ধর্ষণ করেছে দুই সন্তানের পিতা ৩১ বছর বয়সী এক নরপিশাচ। পুলিশ বলছে, কারিনাকে বাথটাবের পানিতে ডুবিয়ে হত্যা করা হয়েছে। রাশিয়ার ওরেনবার্গ শহরে একটি এপার্টমেন্টে বসবাস করতেন ক্যাট্রিনা।
তার সঙ্গে কোনো যোগাযোগ করতে না পেরে তার মা পুলিশে একটি নিখোঁজ ডায়েরি করেন। এরপর পুলিশ উদ্ধার অভিযান শুরু করে। তার এপার্টমেন্টে গিয়ে বাথটাবের ভিতর ভাসমান অবস্থায় উদ্ধার করে মৃতদেহ। এতে পাওয়া যায় একজন পুরুষের আঙ্গুলের ছাপ। পুলিশ তাও সংগ্রহ করেছে। তবে কে সেই নরপিশাচ তা এখনই প্রকাশ করতে চাইছে না পুলিশ।
রিপোর্টে বলা হয়েছে যে, পরকীয়া সম্পর্ক গড়ে তুলতে চেয়েছিল। এর সূত্রপাত এভাবে ঘটে- ক্যাট্রিনা বিজ্ঞাপন দিয়েছিলেন বাসা ভাড়া দেয়ার জন্য। এক পর্যায়ে তার বাসা দেখতে যায় ওই নরপিশাচ। এ সময় সে তার সঙ্গে সম্পর্ক স্থাপন করতে চায়। কিন্তু তাতে রাজি হন নি ক্যাট্রিনা। ফলে তার ওপর লোলুপ চোখ পড়ে তার। অমনি হামলে পড়ে নৃশংস মনোবাসনা নিয়ে।
ঘটনাস্থলের আলামত দেখে পুলিশ বলছে, ওই নরপিশাচ ক্যাট্রিনাকে ধর্ষণ করেছে। এক পর্যায়ে যখন তার মধ্যে আতঙ্ক দেখা দিয়েছে যে ক্যাট্রিনা পুলিশে যাবে, তখন সে তাকে হত্যা করেছে। তাকে ডুবিয়ে দেয় বাথটাবে। এরপর ওই ফ্ল্যাট ত্যাগ করে। কিন্তু তার আগে সে রেখে গেছে আঙ্গুলের ছাপ।
এ ঘটনায় ওই ধর্ষককে তার বাসা থেকে আটক করেছে পুলিশ। এ সময় সে তার সন্তান ও স্ত্রীকে নিয়ে টেলিভিশন দেখছিল। প্রাথমিক তদন্তে সে ওই মডেলকে ধর্ষণ ও পরে হত্যার কথা স্বীকার করেছে। তার বিরুদ্ধে হত্যার অভিযোগ আনা হয়েছে।