নিউজ ডেস্ক | নরসিংদী প্রতিদিন-
সোমবার,১১ ফেব্রুয়ারি ২০১৯:
ইডেন কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ মাহফুজা চৌধুরী পারভীনকে শ্বাসরোধে খুন করা হয়েছে। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশ বিষয়টি জানতে পেরেছে।পরে ময়নাতদন্তেও বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া গেছে। সোমবার ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে মাহফুজা চৌধুরীর ময়নাতদন্ত সম্পন্ন করা হয়।
ময়নাতদন্তকারী চিকিৎসক ঢামেকের ফরেনসিক বিভাগের প্রধান ডা. সোহেল মাহমুদ জানান, শ্বাসরোধে মাহফুজা চৌধুরীকে খুন করা হয়েছে। দুই বা ততোধিক ব্যক্তি এই হত্যাকাণ্ডে অংশ নিয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। পুলিশের ধারণা বাসার দুই গৃহকর্মী এই হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত থাকতে পারে। ঘটনার পর থেকে তাদের খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না।
পুলিশের রমনা বিভাগের উপকমিশনার মারুফ হোসেন সরদার গণমাধ্যমকে জানানন, প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে, গৃহকর্মী রেশমা ও স্বপ্না এই হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে। হত্যার পর ওই বাসা থেকে স্বর্ণালঙ্কার ও টাকা-পয়সা লুট করে নিয়ে গেছে তারা। বাড়িটির নিচতলায় সিসি ক্যামেরার ফুটেজে দেখা গেছে, বিকেল ৫টা ৬ মিনিটে দুই গৃহকর্মী লিফট থেকে নেমে বেরিয়ে যাচ্ছে।
এদিকে মাহফুজা চৌধুরী পারভীন হত্যার ঘটনায় রাজধানীর নিউমার্কেট থানায় মামলা হয়েছে। মামলায় বাসার দুই গৃহকর্মীসহ অজ্ঞাতপরিচয় কয়েকজনকে আসামি করা হয়েছে। সোমবার সকালে মাহফুজা চৌধুরীর স্বামী ইসমত কাদের চৌধুরী এ মামলা করেন। মামলার আসামিরা হল-রূপা ওরফে রেশমা ও স্বপ্না। অজ্ঞাতপরিচয় কয়েকজনকেও মামলায় আসামি করা হয়েছে।
এ তথ্য যুগান্তরকে নিশ্চিত করেছেন নিউমার্কেট থানার উপপরিদর্শক আতিকুর রহমান। তিনি জানান, সকালে মাহফুজা চৌধুরীর স্বামী মামলাটি করেন। মামলার দুই আসামি গা ঢাকা দিয়েছে। তাদের খুঁজছে পুলিশ।
মাহফুজা চৌধুরীর স্বামী ইসমত কাদির জানান, এলিফ্যান্ট রোডের সুকন্যা টাওয়ারের ১৫ ও ১৬ তলার ডুপেক্স ফ্ল্যাটে স্ত্রীকে নিয়ে তিনি থাকতেন। তাদের দুই ছেলে দেশের বাইরে থাকেন। রোববার সকাল ১০টার দিকে তিনি ব্যক্তিগত কাজে বাইরে যান। ওই সময় বাসায় রেশমা ও স্বপ্নাসহ তিনজন গৃহকর্মী ছিল। সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে বাসায় ফিরে ১৬ তলার কলিং বেল চাপলেও কেউ দরজা খুলছিল না। পরে ১৫ তলার কলিং বেল চাপলে বৃদ্ধা গৃহকর্মী দরজা খোলেন। তখন তিনি ১৬ তলায় গিয়ে দেখেন খাটের ওপর মাহফুজার নিথর দেহ পড়ে আছে। লাশ কম্বল দিয়ে ঢাকা ছিল। পাশেই পড়ে ছিল বালিশ।
স্বজনরা জানান, গত মাসেই স্বপ্না ও রেশমা নামে দুইজন গৃহকর্মী এই বাসায় কাজে যোগ দেয়। স্বপ্নার গ্রামের বাড়ি কিশোরগঞ্জের ইটনায় আর রেশমার গ্রামের বাড়ি ফরিদপুরের বোয়ালমারি। ঘটনার পর থেকে তারা দুজন পলাতক রয়েছে।