নিউজ ডেস্ক | নরসিংদী প্রতিদিন-
মঙ্গলবার,১২ ফেব্রুয়ারি ২০১৯:
মানিকঞ্জের সাটুরিয়া থানার দুই পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে তরুণীকে ধর্ষণের প্রমাণ পেয়েছে তদন্ত কমিটি। ওই তরুণীকে দুই দিন আটকে রেখে ধর্ষণ করে তারা। এ ব্যাপারে মানিকগঞ্জ পুলিশ সুপারের নির্দেশে একটি তদন্ত কমিটি গঠিত হয় এবং তদন্তের শুরুতেই অভিযোগের প্রাথমিক সত্যতা পাওয়া যায়। এ ঘটনায় সাটুরিয়া থানায় ধর্ষণ মামলা হয়েছে।
সোমবার(১১ ফেব্রুয়ারি) রাতে সাটুরিয়া থানায় অভিযুক্ত ওই দুই পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে মামলাটি করেন ভুক্তভোগী ওই তরুণী। মামলার আসামিরা হলেন সাটুরিয়া থানায় উপ-পুলিশ পরিদর্শক (এসআই) সেকেন্দার হোসেন ও সহকারী উপ-পুলিশ পরিদর্শক (এএসআই) মাজহারুল ইসলাম।
তদন্ত টিমের প্রধান মানিকগঞ্জ সদর সার্কেল অতিরিক্ত পুলিশ সুপার হাফিজুর রহমান সাংবাদিকদের জানান, সাটুরিয়া থানার দুই পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে অভিযোগের বিষয় নিয়ে সোমবার দিনভর তদন্ত চালান তারা। এ সময় নির্যাতনের শিকার ওই তরুণী ঘটনার বর্ণনা দেন। প্রাথমিক তদন্তে তার অভিযোগের সত্যতা পাওয়া গেছে।
এ বিষয়ে সাটুরিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আমিনুল ইসলাম মামলা রুজুর সত্যতা নিশ্চিত করেন। তিনি সাংবাদিকদের বলেন, ধর্ষণের শিকার ওই তরুণী বাদী হয়ে সাটুরিয়া থানায় উপ-পুলিশ পরিদর্শক সেকেন্দার হোসেন ও সহকারী উপ-পুলিশ পরিদর্শক মাজহারুল ইসলামকে আসামি করে মামলা করেন। আসামিরা বর্তমানে পুলিশ লাইনে সংযুক্ত রয়েছেন। তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।
ভুক্তভোগী তরুণী অভিযোগ করেন, সাটুরিয়া থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) সেকেন্দার হোসেন তার খালার কাছ থেকে পাঁচ বছর আগে এক লাখ টাকা নেন। লাভসহ ফেরত দেওয়ার কথা বলে এই টাকা নিয়েছিলেন। কিন্তু বারবার ফেরত চেয়েও টাকা পাওয়া যাচ্ছিল না। ওই পাওনা টাকা আনতে বুধবার বিকালে খালার সঙ্গে তিনি সাটুরিয়া থানায় যান। সেখানে সেকেন্দার হোসেনের সঙ্গে দেখা হলে তিনি দুজনকে নিয়ে সাটুরিয়া ডাকবাংলোয় যান। কিছুক্ষণ পরে সেখানে উপস্থিত হন একই থানার আরেক এএসআই মাজহারুল ইসলাম। এরপর তাকে ও তার খালাকে আলাদা ঘরে নিয়ে আটকে রাখে পুলিশের ওই দুই কর্মকর্তা। একপর্যায়ে ওই তরুণীকে অস্ত্রের মুখে ইয়াবা সেবনে বাধ্য করা হয়। পরে একাধিকবার ধর্ষণ করা হয়। গত শুক্রবার সকাল পর্যন্ত আটকে রেখে তাদের দুজনকে ডাকবাংলো থেকে বের করে দেয় তারা।
তিনি গত রবিবার দুপুরে মানিকগঞ্জ পুলিশ সুপারের কাছে লিখিত অভিযোগ করেন। এরপর তাৎক্ষণিকভাবে অভিযুক্ত দুই কর্মকর্তাকে থানা থেকে প্রত্যাহার করে পুলিশ লাইনে সংযুক্ত করার নির্দেশ দেন পুলিশ সুপার।
খবর: যুগান্তর