জহিরুল ইসলাম | নরসিংদী প্রতিদিন-
বুধবার,২৭ মার্চ ২০১৯:
নরসিংদী জেলার পলাশ উপজেলায় সামাজিক সংগঠন পলাশের পাপড়ির উদ্যোগে মহান স্বাধীননতা দিবস ও সামাজিক সংগঠন পলাশের পাপড়ির ১ বছর পুর্তি উপলক্ষে বিনা মূল্যে রক্তের গ্রুপ নির্ণয়ের আয়োজন করা হয় ।পলাশের পাপড়ি সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা শেখ রাসেল মাহমুদের সভাপতিত্বে সকাল ৯টায় শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা এবং ফাতেহা পাঠের মাধ্যমে অনুষ্ঠানের আরম্ভ করা হয়।
উক্ত অনুস্টানটি দুপুর পর্যন্ত সকল সেচ্ছাসেবী মিলে কাঠালিয়াপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থী ও এলাকার মানুষের জন্য বিনামূল্যে রক্তের গ্রুপ নির্নয় কার্যক্রম পরিচালনা করে পলাশের পাপড়ি।
সারাদিন ব্যাপী এই সংগঠনটি কাঠালিয়াপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়,ফৌজি আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়,ফৌজি মাদ্রাসা ছাত্রছাত্রীদের এবং এলাকার বিভিন্ন বয়সী মানুষের বিনামূল্যে রক্তের গ্রুপ নির্ণয়ও স্বেচ্ছায় রক্তদান ও উৎসাহী করন কর্মসূচী পালন করেন।
কর্মসূচীতে বিদ্যালয় ও এলাকার সাধারণ মানুষ তাদের নিজেদের রক্তের গ্রুপ জানতে পারে।রক্তের গ্রুপ জানার পর অনেকজন স্বেচ্ছায় রক্তদানের আগ্রহ প্রকাশ করেছেন।
এই সময় উপস্থিত ছিলেন কাঠালিয়াপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শামীমা সুলতানা বিদ্যালয়ের সকল শিক্ষক- শিক্ষিকা ছাত্রছত্রী অবিভাবক ও পলাশের পাপড়ির সকল সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
এসময় বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শামীমা সুলতানা বলেন বাংলাদেশে রক্তের সমস্যা সমাধানে নিজেদের রক্তের গ্রুপ জানার কোন বিকল্প নেই। এইভাবে নিজেদের রক্তের গ্রুপ জানলে বাংলাদেশের রক্তের সমস্যা সমাধান হবে বলে আশা প্রকাশ করেন।
পলাশের পাপড়ি একটি অরাজনৈতিক ও অলাভজনক সামাজিক সংগঠন।
অনুস্টান শেষে উপস্থিত সকলে মিলে কেককেটে পলাশের পাপড়ির বর্ষপুর্তি উৎযাপন করেন।
জানা যায়, সংগঠনটি ২০১৮ সালের ২৬ মার্চ প্রতিষ্ঠিত হয়। প্রতিষ্ঠার পর থেকে বিভিন্ন সামাজিক কাজ যেমন-মাদক দূরীকরণ ও সচেতনতা তৈরী,বাল্য বিবাহ প্রতিরোধ, শিহ্মাবৃত্তি ও শিক্ষা উপকরণ প্রদান,চিকিৎসার আর্থিক অনুদান,সেচ্ছাশ্রমে গ্রামীণ রাস্তা মেরামত ও নির্মাণ,শীতবস্ত্র বিতরণ, বৃক্ষরোপনসহ জনসচেতনতা মুলক নানা প্রকার কার্যক্রম সম্পূর্ন সেচ্ছাশ্রমের ভিত্তিতে পরিচালনা করেন পলাশের পাপড়ি সংগঠন। পলাশের পাপড়ির বড় একটি অর্জন গ্রামীণ পর্যায়ে পিছিয়েপড়া ছাত্রছাত্রীদের স্কুলমুখী করা।
এ লক্ষে সংগঠনটি বিভিন্ন কর্মসুচী পালনকরে আসছে। শিক্ষার্থীর মাঝে বৃত্তি প্রদান, টিফিন বিতরণ, পোশাক দেয়াসহ বিভিন্ন উপহারের মাধ্যমে তাদেরকে উৎসাহিত করা।