নিজস্ব প্রতিবেদক | নরসিংদী প্রতিদিন-
সোমবার, ২২ এপ্রিল ২০১৯:
দুই দিনব্যাপী ‘বিপিও সামিট বাংলাদেশ-২০১৯’। রবিবার ( ২১ এপ্রিল) সকালে রাজধানীর প্যান প্যাসিফিক সোনারগাঁওয়ে এই সামিটের উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রীর তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তিমন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (আইসিটি) প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের সচিব এনএম জিয়াউল আলম, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি অধিদপ্তরের মহাপরিচালক (অতিরিক্ত সচিব) এবিএম আরশাদ হোসেন, বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব কলসেন্টার অ্যান্ড আউটসোর্সিংয়ের (বাক্য) সভাপতি ওয়াহিদ শরীফ, সাধারণ সম্পাদক তৌহিদ হোসেনসহ খাতসংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞ ও পেশাজীবীরা উপস্থিত ছিলেন।
দেশীয় ও আন্তর্জাতিক বাজারে বিজনেস প্রসেস আউটসোর্সিং বা বিপিও খাতের অবস্থানকে তুলে ধরতে এ আয়োজন। বিপিও সামিটে এবার দুই দিনে মোট ১৩টি সেমিনার অনুষ্ঠিত হবে। সেমিনারে ৪০ জন স্থানীয় ও ২০ জন আন্তর্জাতিক বক্তা অংশ নিচ্ছেন।
আয়োজনে সহযোগিতা করেছে বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব সফটওয়্যার অ্যান্ড ইনফরমেশন সার্ভিসেস (বেসিস), বাংলাদেশ কম্পিউটার সমিতি (বিসিএস), বাংলাদেশ উইমেন ইন টেকনোলজি (বিডব্লিউআইটি), আইএসপি অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (আইএসপিএবি) ও বাংলাদেশ মোবাইল ফোন ইমপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন (বিএমপিআইএ)।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অফ কলসেন্টার অ্যান্ড আউটসোর্সিংয়ের (বাক্য) সভাপতি ওয়াহিদ শরীফ বলেন, ২০১৫ সালে বিপিও সেক্টর সম্পর্কে জনগণের তেমন কোনও ধারণা ছিলো না। তিনবারের বিপিও সামিট আয়োজনের ফলে এখন সবাই এ বিষয়টি সম্পর্কে অবগত। বিপিও খাতে উন্নয়নের জন্য এ সামিট গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
আয়োজন সম্পর্কে সাধারণ সম্পাদক তৌহিদ হোসেন জানান, সব শ্রেণির মানুষের চাকরির সুযোগ রয়েছে বিপিও সেক্টরে। আমরা এ সামিটে তা তুলে ধরার চেষ্টা করবো।
তিনি বলেন, বিপিও সেক্টরে দেশের যে কোনও জায়গায় বসে কাজ করার সুযোগ রয়েছে। বিপিও সামিটে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে দক্ষ তরুনদের এনে চাকরির দেওয়ার ব্যবস্থা রয়েছে। প্রযুক্তি ক্ষেত্রে বাংলাদেশের রফতানি অসীম সম্ভবনা রয়েছে। এ যাত্রা বর্তমান সরকারের আমলে শুরু হয়েছে। আগে আমরা প্রযুক্তি পণ্য আমদানীকারক দেশ ছিলাম, বর্তমানে আমরা উৎপাদন ও রফতানি করছি।
বাক্যের পক্ষ থেকে জানানো হয়, বিপিও সামিট বাংলাদেশ-২০১৯ আয়োজন সফল করার জন্য দেশব্যাপী পাবলিক ও প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পেইনের আয়োজন করা হয় এবং বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে ক্যাম্পেইন চলাকালীন প্রচারণার মাধ্যমে সিভি সংগ্রহ করা হয়।