লাইফস্টাইল ডেস্ক | নরসিংদী প্রতিদিন-
বৃস্পতিবার,২৫ এপ্রিল ২০১৯:
ধূমপানের অভ্যাস প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে ফুসফুসের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর। এছাড়া বাতাসে বাড়তে থাকা দূষণের কারণেও ফুসফুস ক্ষতিগ্রস্ত হয়। ধীরে ধীরে কমতে থাকে ফুসফুসের কার্যক্ষমতা। এমন কিছু খাবার বা মশলা রয়েছে যেগুলি দূষণ বা ধূমপানের ক্ষতিকর প্রভাব থেকে ফুসফুসকে রক্ষা করতে অনেকটা কার্যকরী। এ কারণে বিশেষজ্ঞরা ফুসফুস সুস্থ রাখতে ধূমপানের অভ্যাস ছাড়ার পাশাপাশি খাদ্যতালিকায় এসব খাবার রাখার পরামর্শ দিয়েছেন। যেমন-
ব্রকলি : দেখতে অনেকেটা ফুলকপির মতো সবুজ রঙের এই সবজিটি ফুসফুসের জন্য দারুণ উপকারী। এতে থাকা ভিটামিন সি, ফাইবার, আয়রন, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট শরীরকে সামগ্রিকভাবে সুস্থ রাখে। ভিটামিন সি শরীরের পরিপাকতন্ত্রকে ঠিক রাখে। এ কারণে নিয়মিত ব্রকলি খেলে শরীরে রক্ত সঞ্চালন ঠিক থাকবে। সেই সঙ্গে ফুসফুসে নিকোটিনের খারাপ প্রভাবও কমে যাবে।
কমলা : সিগারেটে থাকা নিকোটিন শরীরে ভিটামিন সি-এর পরিমাণ কমিয়ে দেয়। এই ঘাটতি পূরণ করতে কমলা দারুণ কার্যকরী। নিকোটিনের কারণে শরীরে যে ক্লান্তি এবং অস্বস্তি তৈরি হয়, কমলায় উপস্থিত ভিটামিন সি তা অনেকেটা কাটিয়ে দেয়।
মধু: মধুতে থাকা বিভিন্ন ভিটামিন, উৎসেচক এবং প্রোটিন শরীর থেকে নিকোটিন বের করে দেওয়ার পাশাপাশি ধূমপানের ইচ্ছাকেও নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে। এ কারণে প্রতিদিন নির্দিষ্ট পরিমাণ মধু খেলে ধূমপানের অভ্যাস কাটাতে সুবিধা হয়।
পালং শাক: পালং শাকে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন, ফাইবার ও খনিজ রয়েছে। এগুলো শরীর থেকে নিকোটিন বের করে দিতে সাহায্য করে।
বাঁধাকপি: অ্যান্টি-অক্সিডেন্টসমৃদ্ধ বাঁধাকপি রক্ত পরিষ্কার করে শরীরকে সুস্থ এবং তরতাজা রাখতে সাহায্য করে।
আঙুরের রস: আঙুরের রস ফুসফুসকে টক্সিন-মুক্ত করতে অত্যন্ত কার্যকর। শুধু তাই নয়, আঙুরের রস ধূমপানের ইচ্ছাও কমাতে সাহায্য করে।
মুলা: আয়ুর্বেদিক চিকিৎসা অনুযায়ী, ১ গ্লাস মুলার রসের সঙ্গে পরিমাণ মতো মধু মিশিয়ে দিনে ২ বার করে নিয়মিত খেতে পারলে ধূমপানের ইচ্ছা অনেকটাই কমে যায়।
মরিচ : একাধিক গবেষণায় দেখা গেছে, যদি নিয়মিত কাঁচা মরিচ খাওয়া যায় তাহলে ফুসফুসের কার্যক্ষমতা বৃদ্ধি পায়।
আদা: ধূমপানের অভ্যাস ছাড়াতে আদার রস অত্যন্ত কার্যকর। নিয়মিত আদা চা বা কাঁচা আদা খেলে ধীরে ধীরে ধূমপানের ইচ্ছে কমে যায়। সূত্র : জি নিউজ