নিজস্ব প্রতিবেদক। নরসিংদী প্রতিদিন-
বৃহস্পতিবার ১৬ মে ২০১৯:
নরসিংদী জেলা প্রশাসন আয়োজিত ৪র্থ জাতীয় উন্নয়ন মেলায় স্থাপিত “জব কর্নার” এর মাধ্যমে চাকুরি প্রাপ্তদের মাঝে আনুষ্ঠানিক নিয়োগপত্র বিতরণ করা হয়েছে। আজ (বৃহস্পতিবার) দুপুরে নরসিংদী জেলা প্রশাসন সম্মেলন কক্ষে জেলা প্রশাসক ও জেলা ম্যাজিস্ট্রেট সৈয়দা ফারহানা কাউনাইন প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে সদ্য চাকুরিপ্রাপ্ত ৫০ জন ব্যক্তির মাঝে নিয়োগপত্র প্রদান করেন।
চতুর্থ জাতীয় উন্নয়ন মেলা-২০১৮-তে জেলা প্রশাসন নরসিংদী এর একটি অন্যতম প্রয়াস ছিলো ‘জব কর্নার’ স্থাপন। জেলা প্রশাসক ও জেলা ম্যাজিস্ট্রেট সৈয়দা ফারহানা কাউনাইনের স্বীয় চিন্তাপ্রসূত এইজব কর্নারের মূল লক্ষ্য ছিলো শিল্প অধ্যুষিত নরসিংদী জেলায় বেকারত্বের হার কমানো। উন্নয়ন মেলার সমাপনী দিনেই জেলা প্রশাসক মহোদয় চেম্বার এন্ড কমার্স, নরসিংদীর সহযোগিতায় ১২জন চাকুরী প্রত্যাশীকে বিভিন্ন শিল্প প্রতিষ্ঠানের নিয়োগপত্র হস্তান্তর করেন।
এরই ধারাবাহিকতায় উন্নয়ন মেলায় জব কর্নার হতে সংগৃহীত সিভির মধ্য থেকে যোগ্যতা অনুযায়ী যাচাই-বাচাই পূর্বক ২১১ জনকে প্রাণ আরএফএল গ্রপ প্রাথমিকভাবে নিয়োগ প্রদান করে। প্রায় তিন মাস পর নিয়োগপ্রাপ্ত প্রার্থীরা চাকুরির প্রাথমিক ধাপ (শিক্ষানবিশকাল) সফলভাবে সম্পন্ন করায় ২১১ জন প্রার্থীকেই গত ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৯ প্রাণ আরএফএল পাবলিক স্কুলে এক অনাড়ম্বরপূর্ণ অনুষ্ঠানের মাধ্যমে নিয়োগপত্র তুলে দেন নরসিংদীর জেলা প্রশাসক ও জেলা ম্যাজিস্ট্রেট সৈয়দা ফারহানা কাউনাইন।
পরবর্তীতে আরও ১১টি শিল্প প্রতিষ্ঠানের কর্নধারগণের সাথে আলোচনাপ্রসূত ফলাফল হিসেবে আরও ৯৬জন সহ এ পর্যন্ত মোট ৩১৯ জনকে চাকুরি প্রদান করা হয়েছে।
জেলা প্রশাসক ও জেলা ম্যাজিস্ট্রেট সৈয়দা ফারহানা কাউনাইন বলেন, জেলা প্রশাসনের এই মহতী উদ্যোগ ও সংশ্লিষ্ট শিল্পপ্রতিষ্ঠানসমূহের এই সহযোগিতা অনেক পরিবারের মুখে হাসি ফুটিয়েছে। তিনি বলেন, প্রতি বছর আয়োজিত উন্নয়ন মেলা তথা এ সংক্রান্ত জাতীয় আয়োজনের এই “জব কর্নার” স্থাপিত হবে এবং নরসিংদীতে যারা যোগ্য প্রার্থী আছেন তাদেরকে চাকুরী প্রদান করা হবে। তিনি আরও বলেন, উন্নয়ন মেলার পাশাপাশি প্রয়োজনে আলাদা ভাবে “জব ফেয়ার” আয়োজনের মাধ্যমেও প্রত্যাশী ও যোগ্য প্রার্থীদের চাকুরি দেওয়া হবে। উদ্যোগটিকে টেকসই করার লক্ষ্যে ইতোমধ্যেই একটি মোবাইল অ্যাপ তৈরি করা হয়েছে যার মাধ্যমে চাকুরি প্রার্থীরা সংশ্লিষ্টবিভিন্ন শিপ্রতিষ্ঠানে আবেদন করতে পারবে।
উল্লেখ্য যে, ইতোমধ্যেই এই উদ্যোগটি সমগ্র দেশের জেলা প্রশাসনে সমাদৃত হয়েছে এবং এইউদ্যোগ গ্রহণে কক্সবাজার এবং যশোর জেলা প্রশাসনকে উদ্বুদ্ধ করেছে এবং তারা সেই লক্ষ্যে কাজ শুরু করেছে।
সর্বশেষ আজ আরো ৫০ জন্য ব্যক্তিকে জেলার বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে চাকরীর নিয়োগ পত্র প্রদান করা হয়।