স্পোর্টস ডেস্ক | নরসিংদী প্রতিদিন-
বৃহস্পতিবার, ৬ জুন ২০১৯:
২৪৪ রানের অল্প পুঁজি নিয়েও শেষ পযর্ন্ত লড়াই করেছে টাইগাররা। ম্যাচে কয়েকবার দারুণভাবে ঘুরেও দাঁড়িয়েছিলো। কিন্তু শেষ পযর্ন্ত ম্যাচে জয় তুলে নিতে পারেনি মাশরাফি বাহিনী। নিউজিল্যান্ডের কাছে দুই উইকেটে হেরেছে বাংলাদেশ।
টস হেরে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে একমাত্র সাকিব আল হাসান ছাড়া আর কেউই বড় ইনিংস খেলতে পারেননি। আর তাতে শেষ পর্যন্ত ৪ বল হাতে রেখে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ২৪৪ রানে অলআউট হয়েছে বাংলাদেশ।
দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ৬৪ রান করেছেন সাকিব। এছাড়া সৌম্য ২৫, তামিম ২৪, মুশফিক ১৯, মিঠুন ২৬, মাহমুদউল্লাহ ২০, মোসাদ্দেক ১১, মিরাজ ৮, মাশরাফি ১ ও সাইফুদ্দিন ২৯ রান করেন।
সৌম্য সরকার (২৫) ও তামিম ইকবালের (২৪) পর মুশফিকুর রহিমের (১৯) রান আউটে চাপে পড়া বাংলাদেশকে একপ্রান্ত আগলে রেখে পথ দেখাচ্ছিলেন বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান। তবে ৩১ তম ওভারের দ্বিতীয় বলে গ্র্যান্ডহোমের বলে কট বিহাইন্ড হয়ে সাজঘরে ফিরেছেন ৬৪ রানের দুর্দান্ত এক ইনিংস খেলা সাকিব।
এরপর আর চাপ সামলে উঠতে পারেনি বাংলাদেশ। শেষ দিকে ব্যাট হাতে ঝড়ও তুলতে পারেননি মোসাদ্দেক মাহমুদউল্লাহরা।
এর আগে লন্ডনের কেনিংটন ওভালে টস জিতে বাংলাদেশকে ব্যাট করতে পাঠান কিউই অধিনায়ক কেন উইলিয়ামসন।
কিউইদের পক্ষে ম্যাট হেনরি সর্বোচ্চ ৪টি, বোল্ট ২টি, ফার্গুসন, গ্র্যান্ডহোম ও মিচেল সান্টনার ১টি করে উইকেট নেন।
২৪৫ রানের টার্গেট হলেও নিউজিল্যান্ডের মনে ভয় ধরিয়ে দেয় টাইগাররা। দলীয় ৩৫ রানে কিউইদের ওপেনিং জুটি ভাঙেন সাকিব আল হাসান। মার্টিন গাপটিলকে (২৫) রানে সাজঘরে ফেরান বিশ্বের এই সেরা অলরাউন্ডার। সাকিবের ঘূর্ণিতে ৫৫ রানে কলিন মুনরোকে (২৪) হারায় কিউইরা।
এরপর জুটি বাঁধেন অধিনায়ক কেন উইলিয়ামসন ও অভিজ্ঞ রস টেইলর। দুজনের ১০৫ রানের জুটি জয়ের ভিতটা শক্ত করে নিউজিল্যান্ডের। তবে এক ওভারে উইলিয়ামসন (৪০) ও টম লাথামকে (০) রানে আউট করে ম্যাচ বাংলাদেশের দিকে নিয়ে আসেন মেহেদী হাসান মিরাজ।
টেইলকে ৮২ রানে ফেরান মোসাদ্দেক হাসান সৈকত। এরপর জেমস নিশাম (২৫), কলিন ডি গ্রান্ডহোমের (১৫) দায়িত্বশীল ব্যাটিংয়ে এগোতে থাকে নিউজিল্যান্ড। শেষ দিকে দুজনকে ফিরিয়ে ম্যাচ জমিয়ে তুলে মাশরাফির দল। কিন্তু শেষ রক্ষাটা হয়নি। মিচেল স্যান্টনারের অপরাজিত ১৭ রানের সুবাদে জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় কিউইরা।
বাংলাদেশের হয়ে ২টি করে উইকেট নিয়েছেন সাকিব, সাইফউদ্দীন, মোসাদ্দেক ও মিরাজ।