নিজস্ব প্রতিবেদক | নরসিংদী প্রতিদিন-
রবিবার,০৯ জুন ২০১৯:
নরসিংদীর পলাশে পুলিশের উপর হামলার অভিযোগে উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি শেখ মো. রাজনসহ ৬ নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় রবিবার (৯ জুন) দুপুরে উপজেলার চরসিন্দুর পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ ও উপপরিদর্শক (এসআই) প্রদীপ কুমার দাস বাদী হয়ে একটি মামলা দায়ের করলে তাদেরকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে বিকেলে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়।
পুলিশ ও ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, শনিবার (৮ জুন) বিকেলে পলাশের চরসিন্দুর সেতুর টোলপ্লাজা এলাকায় গাজীপুরের কাপাসিয়া উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি কাইয়ুম মিয়াসহ কয়েকজন ঘুরতে যায়। সেখানে স্থানীয় কয়েকজন বখাটের সঙ্গে ওই ছাত্রলীগ নেতার কথা কাটাকাটি হয়। এ ঘটনায় কাপাসিয়া ছাত্রলীগের সভাপতি কাইয়ুম পলাশ উপজেলা ছাত্রলীগের দ্বারস্থ হন। সন্ধ্যায় পলাশ উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি শেখ মো. রাজন উভয় পক্ষকে নিয়ে মীমাংসা করতে বৈঠকে বসেন। বৈঠকের এক পর্যায়ে ছাত্রলীগ সভাপতি রাজন স্থানীয় হৃদয় নামের এক বখাটেকে মারধোর করেন। এসময় চরসিন্দুর পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ ও উপপরিদর্শক (এসআই) প্রদীপ কুমার দাস ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে ছাত্রলীগের সভাপতি রাজনকে মারধোরে বাঁধা দিয়ে তাকে আটক করেন এবং উপস্থিত ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের উপর লাঠিচার্জ শুরু করেন। এতে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা ক্ষিপ্ত হয়ে পুলিশের উপর হামলা চালায়। এঘটনায় পুলিশ শেখ মো. রাজনসহ ছাত্রলীগ নেতা সুমন, শফিকুল, রাহিম ও শুভকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়।
পরে রবিবার দুপুরে এসআই প্রদীপ কুমার দাস বাদী হয়ে ১১ জনের নাম উল্লেখ করে ও অজ্ঞাত ১০/১২ জনকে আসামি করে পলাশ থানায় একটি মামলা দায়ের করে আটককৃতদের গ্রেপ্তার দেখান। পরে রবিবার বিকেল সাড়ে ৫ টার দিকে গ্রেপ্তারকৃতদের নরসিংদী জেলা জজ আদালতে হাজির করে ৭ দিনের রিমান্ডের আবেদন জানায় পুলিশ। কিন্তু পুলিশ গ্রেপ্তারকৃতদের নির্ধারিত সময়ের মধ্যে আদালতে হাজির করতে না পারায় শুনানী হয়নি। পরে আদালতের অনুমতিক্রমে গ্রেপ্তারকৃতদের কারাগারে পাঠায় পুলিশ।
এ ব্যাপারে উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক আপেল মাহমুদ শাহীন বলেন, পুলিশের সঙ্গে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের ভুল বোঝাবুঝি হয়েছে। কিন্তু পুলিশ ছোট ঘটনাটিকে বড় করে উপস্থাপন করে মামলা দিয়েছে।
পলাশ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মকবুল হোসেন মোল্লা বলেন, ছাত্রলীগের সভাপতি এক ছেলেকে ধরে মারধোর করছিল। সেখানে চরসিন্দুর পুলিশ ক্যাম্পের সদস্যরা বাঁধা দিলে ছাত্রলীগের সভাপতি রাজনের প্ররোচনায় তার অনুসারী ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা পুলিশের উপর হামলা করেছে। এ ঘটনায় এসআই প্রদীপ কুমার দাস বাদী হয়ে একটি মামলা দায়ের করেছেন। এ ঘটনায় ৬ জনকে গ্রেপ্তার করে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।