স্পোর্টস ডেস্ক | নরসিংদী প্রতিনিধি-
সোমবার,১৫ জুলাই ২০১৯:
একেই বলে নাটকীয়তা! নির্ধারিত সময় খেলার পর নিউজিল্যান্ড ও ইংল্যান্ডের মধ্যকার ম্যাচটি টাই হয়। তাতে ইতিহাসের প্রথমবারের মতো ওয়ানডে ম্যাচে সুপার ওভার দেখে বিশ্ব। মজার ব্যাপার সেই সুপার ওভারও টাই হয়। কিন্তু ম্যাচে বেশি বাউন্ডারি মারায় ম্যাচ জিতে নিল ইংল্যান্ড। এতে প্রথমবারের মতো বিশ্বকাপ শিরোপা জিতলো ইংল্যান্ড।
সুপার ওভারে প্রথমে ব্যাট করতে আসে ইংল্যান্ড। ম্যাচে শতরানের জুটি করা দুই ব্যাটসম্যান জস বাটলার ও বেন স্টোকস আসেন ব্যাটিংয়ে। নিউজিল্যান্ডের হয়ে বল করেন ট্রেন্ট বোল্ট। সুপার ওভারে স্কোরবোর্ডে মোট ১৫ রান যোগ করে ইংল্যান্ড।
লক্ষ্য তাড়ায় নিউজিল্যান্ডের হয়ে ব্যাট করতে আসেন অফফর্মে থাকা মার্টিন গাপটিল ও জেমস নিশাম। প্রথমেই ওয়াইড দেন বোলার জোফরা আর্চার। প্রথম বলে নিশামের ব্যাট থেকে আসে ২ রান। দ্বিতীয় বলে দারুণ এক ছক্কা হাঁকান তিনি। তৃতীয় ও চতুর্থ বলে নেন ২ রান করে। শেষ ২ বলে দরকার ৩ রানের। পঞ্চম বলে সিঙ্গেলের বেশি আসেনি। শেষ বলে দরকার ছিল ২ রানের। কিন্তু ১ রানের বেশি নিতে পারেননি গাপটিল। রান আউট হন তিনি। ততক্ষণে জয়ের আনন্দে ফেটে পড়ে পুরো ইংল্যান্ড।
এর আগে রবিবার (১৪ জুলাই) লর্ডসে হালকা বৃষ্টির কারণে ১৫ মিনিট দেরিতে শুরু হওয়া ম্যাচে টস জিতে ব্যাটিংয়ে নামে নিউজিল্যান্ড। তবে ইংলিশ পেসারদের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ের নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৮ উইকেট হারিয়ে ২৪১ রান তোলে কিউইরা।
শুরুর দিকে মার্টিন গাপটিলের বিদায়ের পর আরেক ওপেনার হেনরি নিকোলস ও অধিনায়ক কেন উইলিয়ামসন মিলে ৯৮ বলে ৭৪ রানের জুটিতে নিউজিল্যান্ডকে গড়ে দেন বড় সংগ্রহের ভিত। কিন্তু বাকি ব্যাটসম্যানরা কাজে লাগাতে পারেননি সুযোগ। পাঁচে নামা টম ল্যাথামের কল্যাণে আড়াইশোর কাছাকাছি পৌঁছাতে পারে নিউজিল্যান্ড।
নিকোলস ৫৫, ল্যাথাম ৪৭ ও উইলিয়ামসন ৩০ রান করেন। ইংল্যান্ডের পক্ষে সফল বোলার ওকস ও প্লাঙ্কেট। দুজনেই নেন সমান ৩টি করে উইকেট। সেমিফাইনালে জয়ের নায়ক ওকসের খরচা ৩৭ রান। প্লাঙ্কেট দেন ৪২ রান। ১টি করে উইকেট দখল করেন মার্ক উড ও জোফরা আর্চার।
জবাবে ২৪তম ওভারে দলীয় ৮৬ রানের মধ্যে ৪ উইকেট হারায় ইংল্যান্ড। দলকে চাপে ফেলে একে একে বিদায় নেন জেসন রয়, জো রুট, জনি বেয়ারস্টো ও অধিনায়ক ইয়ন মরগান।
এরপর জুটি বাঁধেন বেন স্টোকস ও জস বাটলার। পঞ্চম উইকেটে তারা যোগ করেন ১৩০ বলে ১১০ রান। দুজনেই তুলে নেন হাফসেঞ্চুরি। এই জুটিতে মারমুখী ভূমিকায় থাকা বাটলারের অবদান ৬০ বলে ৫৯ রান।
৪৫তম ওভারে লোকি ফার্গুসনের স্লোয়ার ডেলিভারিতে বদলি ফিল্ডার টিম সাউদির হাতে ক্যাচ দিয়ে আউট হন বাটলার।
একপ্রান্ত আগলে বুঝেশুনে ব্যাটিং করতে থাকা স্টোকসকে সঙ্গ দিতে পারেননি ক্রিস ওকস। এক ওভার পর ফের বল হাতে নিয়ে নিজের তৃতীয় উইকেটের দেখা পান ফার্গুসন। ওই ওভারে মাত্র ৫ রান দেন এই কিউই পেসার।
জিমি নিশামের করা ৪৯তম ওভারের তৃতীয় বলে ফিরে যান লিয়াম প্লাঙ্কেট। ওভারের শেষ বলে আবার উল্লাস নিশামের। বোল্ড হন জোফরা আর্চার।
নাটকের শেষ অঙ্কটা মঞ্চায়ন হয় ম্যাচের শেষ ওভারে। পুরো ৫০ ওভার ওভার খেলে ইংল্যান্ড অলআউট হয় ২৪১ রানেই। স্টোকস অপরাজিত থাকেন ৯৮ বলে ৮৪ রানে।