নিজস্ব প্রতিবেদক | নরসিংদী প্রতিদিন- বুধবার, ১৭ জুলাই ২০১৯:
গাজীপুর নগরীর কোনাবাড়ীতে পারিজাত এলাকায় ধসে পড়লো নির্মাণাধীন মসজিদের চারতলার ওয়াল। মঙ্গলবার (১৬ জুলাই) বিকেলে বৃষ্টির সময় ওই ঘটনা ঘটে। এলাকাবাসীর অভিযোগ কোন নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করে নিজের মনগড়া ভাবে গড়ে তুলেছেন এই মসজিদটি।
এই মসজিদটি যিনি করেছেন তিনি হচ্ছেন আলোচিত সেই ব্যক্তি, সাবেক কোনাবাড়ী জাতীয় পার্টির সভাপতি, মোঃ আব্দুল বারেক ভান্ডারী। যে কিনা কিছুদিন আগে জনগণের চলাচলের পথে বাঁধা সৃষ্টি করেছিলেন লোহার গেট দিয়ে। পরে বিষয়টি গণমাধ্যমে প্রচার হলে নজরে আসে গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের মেয়র মোঃ জাহাঙ্গীর আলমের। একদিন পরেই মেয়রের নির্দেশেই উচ্ছেদ করা হয় লোহার গেটটি।
জানতে চাওয়া হয় বারেক ভান্ডারীর কাছে এই মসজিদটি করার সময় সিটি কর্পোরেশনের অনুমতি আছে কিনা এবং বিল্ডিং কোড মানা হয়েছে কিনা, ইঞ্জিনিয়ার দ্বারা ড্রয়িং করা আছে কিনা। তিনি বলেন, আমি সব কিছু মেনে বিল্ডিং করেছি। এই মসজিদটি ৭ তলা ফাউন্ডেশনের প্লানিং আছে কিন্তু ৬ তলা পর্যন্ত করবো।চারতলার কাজ চলতে ছিলো গতকাল মঙ্গলবার অতিরিক্ত বৃষ্টির কারণে ওয়াল ভেঙ্গে পড়ে যায়। আল্লাহর রহমতে কারো কোন ক্ষয়ক্ষতি হয়নি।
কিন্তু সাস্থানীয় কাউন্সিলর মোঃ সেলিম রহমান বলছেন ভিন্ন কথা। তিনি বলেন,আমাকে না জানিয়ে সিটি কর্পোরেশনের অনুমতি ছাড়া তিনি এই মসজিদটি করেছেন। কার কাছ থেকে তিনি অনুমতি নিয়েছেন আমি জানিনা। মসজিদ আল্লাহর ঘর আমরা মুসলমান সবাই মসজিদে নামজ পড়ি। মসজিদের পাশে রয়েছে পারিজাত সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়। যদি আজকে একটা দূর্ঘটনা ঘটতো এর দায়ভার কে নিতো।
এবিষয়ে কথা হয় গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের আঞ্চলিক কেন্দ্র ৭ এর সিভিল ইঞ্জিনিয়ার মোঃ তারেক হাসানের সাথে তিনি বলেন, আমি ঘটনা স্থল পরিদর্শন করেছি। তিনি আরো বলেন,রানা প্লাজা ধসের পর গাজীপুর সিটি কর্পোরেশন সাত বছর যাবত কোন বিল্ডিংয়ের টেন্ডার বা অনুমতি দিতে পারেনি। মামলা চলার কারণে রাজউকেরও আওতার বাহিরে ছিলো বিষয়টি। যারকারনে কোন টেন্ডার দিতে পারতোনা। আর এই সাত বছরে কোনাবাড়ী কাশিমপুর এলাকায় গড়ে উঠেছে অনুমোদনহীন অসংখ্য বিল্ডিং। তারা কোন বিল্ডিং কোড না মেনেই করছেন এই বিল্ডিং গুলো। তিনি বলেন, বর্তমানে আমরা রাস্তার কাজ করতেছি রাস্তার মধ্যে যে, বিল্ডিং পড়তেছে আমরা সেই বিল্ডিংয়ের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিচ্ছি। বারেক ভান্ডারীকে তিনি বলেন,আপনি কোন ইঞ্জিনিয়ার দ্বারা ড্রয়িং করেছেন সমস্ত কাগজ পত্র নিয়ে অফিসে আসেন। তবে বারেক ভান্ডারী প্লান পাশ না করেই বিল্ডিং করেছেন। ইঞ্জিনায়ার তারেক হাসান বলেন, কোন মসজিদ, মাদ্রাসা মন্দির নির্মাণের প্লান করতে টাকা পয়সা লাগেনা। তিনি স্থানীয় কাউন্সিলের অনুমতিও নেননি।