সফুরউদ্দিন প্রভাত | নরসিংদী প্রতিদিন-
শনিবার, ২৭ জুলাই ২০১৯:
নদী দূষণ ও দখলকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর হুশিয়ারি উচ্চারণ করে স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী মোঃ তাজুল ইসলাম এম পি বলেছেন, অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনকভাবে দীর্ঘদিন পর্যন্ত নদী সঠিকভাবে সংরক্ষণ না করার কারণে অনেক দূষণ ও ক্ষতগ্রস্ত হয়েছে। এ সকল নদী উদ্ধার করার জন্য আমাদের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার একটি সুনির্দিষ্ট সিদ্ধান্তে পরিপ্রেক্ষিতে নদীগুলোর দূষণরোধ ও নাব্য বৃদ্ধির জন্য কাজ শুরু করা হয়েছে। নদী দখল ও দূষণমুক্ত এবং নাব্য ফিরিয়ে সরকারের পক্ষ থেকে যা যা করা দরকার সব ধরনের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। ইতিমধ্যে অনেক অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করে নদী জায়গা দখলমুক্ত করার কাজ অব্যাহত রয়েছে।
শনিবার বিকেলে নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজার উপজেলা পরিষদ সম্মেলন কক্ষে ‘মেঘনা নদী দূষণ ও দখল রোধ বিষয়ক এক উচ্চ পর্যায়ের মতবিনিময় শেষে স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায়মন্ত্রী মোঃ তাজুল ইসলাম এমপি সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নে জবাবে এসব কথা বলেন।
এসময় উপস্থিত ছিলেন, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের মুখ্য সমন্বয়ক (এসডিজি বিষয়ক) আবুল কালাম আজাদ, নারায়ণগঞ্জ-২ (আড়াইহাজার) আসনের সংসদ সদস্য নজরুল ইসলাম বাবু, স্থানীয় সরকার বিভাগের সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ, ঢাকা ওয়াসার এমডি প্রকৌশলী তাকসিম খান। এছাড়াও মতবিনিময় সভায় উপস্থিত ছিলেন নারায়ণগঞ্জের জেলা প্রশাসক জসিম উদ্দিন, নরসিংদীর জেলা প্রশাসক ফারহানা কাউনিয়া,
এলজিইডি মন্ত্রী মোঃ তাজুল ইসলাম এম পি বলেন, মেঘনা নদীর পাড়েও বেশকিছু শিল্প কারখানা স্থাপিত হয়েছে, সেগুলোর মাধ্যমে যাতে নদীদূষণ না করতে পারে সেজন্য দ্রুত পদক্ষেপ নেয়ার বিষয়ে মতবিনিময় সভায় আলোচনা হয়েছে।
এক প্রশ্নের জবাবে এলজিইডি মন্ত্রী বলেন, ডেঙ্গু প্রতিরোধে সরকার সব ধরনের ব্যবস্থা গ্রহন করেছে। তাই আতঙ্কিত না হয়ে বাড়ির ছাদের টবে কিংবা অন্য কোন কিছুতে যাতে অতিরিক্ত পানি জমে না থাকে সেদিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। নিয়মিত পরিষ্কার করলে মশা বংশ বিস্তার করতে পারে না। এ ব্যপারে সকলকে সচেতন হতে হবে।
পরে মন্ত্রী উপজেলার বিশনন্দী ফেরীঘাটে মেঘনা নদীতে ঢাকা ওয়াসা কর্তৃক বাস্তবায়নাধী ডিইএমডব্লিউএসপি প্রকল্প এবং সায়েদাবাদ পানি শোধানাগার ফেজ-৩ প্রকল্পের কার্যক্রম পরিদর্শন করেন।