বিনোদন ডেস্ক | নরসিংদী প্রতিদিন-
মঙ্গলবার,৩০ জুলাই ২০১৯:
গান গেয়ে দুই বাংলার মানুষের মন জিতে নিয়েছেন মাঈনুল আহসান নোবেন। ধারণা করা হচ্ছিল- এবার ভারতের টেলিভিশন চ্যানেল জি বাংলায় প্রচারিত জনপ্রিয় সঙ্গীতবিষয়ক রিয়েলিটি শো ‘সারেগামাপা’র চ্যাম্পিয়ন হবেন বাংলাদেশের এই তরুণ। কিন্তু শেষতক চ্যাম্পিয়ন হলেন অঙ্কিতা। আর নোবেল হলেন দ্বিতীয় রানারআপ। গত রবিবার রাতে গ্র্যান্ড ফিনালের অনুষ্ঠানে নোবেলকে দ্বিতীয় রানারআপ ঘোষণার পর থেকেই এপার-ওপার দুই বাংলার মানুষের মধ্যেই এই নিয়ে প্রতিক্রিয়া তৈরি হয়। শুরু হয় গুঞ্জন, সমালোচনা আর বিচার প্রক্রিয়া নিয়ে বিতর্কও।
বাংলা ভাষাভাষিদের সবচেয়ে বড় এই রিয়েলিটি শোতে এবার যৌথভাবে প্রথম রানারআপ হয়েছেন গৌরব ও স্নিগ্ধজিৎ। মাঈনুল আহসান নোবেলের সঙ্গে যৌথভাবে দ্বিতীয় রানারআপ হয়েছেন প্রীতম। আর ফাইনালে ওঠা আরেক প্রতিযোগী সুমনকে দেয়া হয়েছে কালিকাপ্রসাদ ভট্টাচার্য স্মৃতি পুরস্কার।
তবে নোবেল চ্যাম্পিয়ন না হতে পারায় বিচারকদের সমালোচনা করে হতাশা ও ক্ষোভ ঝেড়েছেন বাংলাদেশের নোবেল ভক্তরা। অনেকেই বিচার প্রক্রিয়ায় এপার ও ওপার বাংলার বৈষম্য নিয়েও প্রশ্নও তুলেছেন।
তবে ভিন্নভাবেই ভাবছেন নোবেল। এ বিষয়ে তরুণ এই কণ্ঠযোদ্ধা বলেন, ‘সারেগামাপা আমার জন্য একটা দীর্ঘ জার্নি। এই জার্নিতে আমি অনেক কিছু শিখেছি, জেনেছি এবং ভক্তসহ সবার ভালোবাসা পেয়েছি। আমি সবার প্রতি কৃতজ্ঞ। বিচার প্রক্রিয়া কিংবা আমার রানারআপ হওয়া নিয়ে কোনও মন্তব্য করতে চাই না। শুধু বলব, আমরা বাংলাদেশের সবাই একেকটা নোবেল। আমরা দেখিয়ে দিয়েছি। তাই আমরা সবাই চ্যাম্পিয়ন। সবার ভালোবাসা ও দোয়া নিয়ে সামনে পথ চলতে চাই।’
যীশু সেনগুপ্তের উপস্থাপনায় এবারের গ্র্যান্ড ফিনালে বিচারক ছিলেন মোনালী ঠাকুর, শান্তনু মৈত্র, শ্রীকান্ত আচার্য। গ্র্যান্ড ফিনালের মঞ্চে প্রতুল মুখোপাধ্যায়ের ‘আমি বাংলায় গান গাই’ গানটি গেয়ে গোল্ডেন গিটার পান নোবেল।