সাব্বির হোসেন | নরসিংদী প্রতিদিন-
সোমবার, ১২ই আগস্ট, ২০১৯:
সকালে ঈদুল আযহার নামাজ ও পশু কোরবানি শেষে ব্যস্থ সময়ের খানিকটা ইতি টেনে ঈদ উৎসবে নরসিংদীর পলাশ উপজেলার ঘোড়াশালে হাজারো মানুষের ঢল নামে। ঈদের দিন(১২ আগস্ট) সোমবার বিকেল থেকেই ঘোড়াশাল শীতলক্ষ্যা নদীর পাড়ের দেশের একমাত্র দু'তলা রেলওয়ে স্টেশন ঘোড়াশাল ফ্ল্যাগ ও পাশের ৩টি সেতুতে বিনোদনপ্রেমীরা ছুটে আসে প্রিয়জনদের সাথে উৎসবমুখর সময় পার করতে।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, সুন্দর মুহুর্ত গুলো ক্যামেরায় বন্দি করতে ব্যস্থ হয়ে পড়েছেন ঈদ উৎসব পালন করতে বিনোদনপ্রেমীরা। রেলওয়ে স্টেশনের সামনে বিভিন্ন খাবার দোকান ও শিশুদের জন্য খেলনার দোকান গুলোতে ছিল উপচেপরা ভিড়। ৩টি সেতুতেও ছিলো চোখে পড়ার মতো লোক সমাগম। অনেকটা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে এখানে জড়ো হয়ে উৎসবে মেতে উঠেছে হাজারও মানুষ।
ঘোড়াশালের নাঈম খান বলেন, সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত পশু কোরবানির কাজ শেষে খানিকটা বিনোদনের জন্য এখানে ছুটে আসলাম। পলাশ উপজেলায় বিনোদনের জন্য এতো বড় স্থান ও মনোরম পরিবেশ না থাকায় এখানে ঘুরতে আসলাম। বিকেলের পরিবেশটাও অনেক ভাল। এ স্থানটির চারপাশের মনোরম প্রাকৃতিক দৃশ্য যে কারো নজর কাড়বে।
ডাঙ্গার শিমু আক্তার জানান, এখানে উৎসবমুখর পরিবেশে পরিবার পরিজন নিয়ে সময় কাটিয়েছি। সন্ধায় যখন পশ্চিমাকাশে সূর্য ঢুবে যাচ্ছিল সেই মুহূর্তটি ছিল সত্যিই অসাধারণ। এখানে উৎসবমুখর পরিবেশে সময় কাটাতে কোন ধরনের সমস্যা হয়নি।উপজেলায় একটি বিনোদন কেন্দ্র থাকলে আমাদের জন্য অনেক ভাল হতো।
চরসিন্দুরের এস এ গাজী জানান, রেললাইনের সেতুর উপর দিয়ে শত শত মানুষ এপার থেকে ওপারে পাড়ি দিচ্ছে। এদের মধ্যে অনেক শিশুকেও দেখা গেছে। এভাবে ঈদ উৎসব পালন করা অনেকটাই ঝুঁকি হয়ে দাঁড়িয়েছে। তাই পলাশ উপজেলায় বিনোদন কেন্দ্র স্থাপন করলে নিরাপদে যেমন বিভিন্ন উৎসব পালন করতে পারবে বিনোদনপ্রেমীরা। অপরদিকে সরকার পাবে, বাড়বে কর্মসংস্থান।
এদিকে মুসলমানদের দুটি ধর্মীয় ঈদ উৎসবের দিন ট্রেন চলাচল বন্ধ থাকায় বিনোদনপ্রেমীরা জড়ো হওয়ায় ট্রেন দুর্ঘটনা থেকে মুক্তি মিললেও অন্যান্য উৎসবে ট্রেন চলাচল চালু থাকায় জীবনের ঝুঁকি থেকে যায়। তাই পলাশ উপজেলা প্রশাসনকে বিভিন্ন উৎসবে এখানে এই জড়ো হওয়ায় নিরাপত্তার বিষয়টি সামনে রেখে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন এমনটিই মনে করেন স্থানীয়দের অনেকেই।