সাব্বির হোসেন | নরসিংদী প্রতিদিন-
শনিবার,১৭ আগস্ট ২০১৯:
ঈদের ছুটি শেষে কর্মস্থলে পৌঁছেতে ঝুঁকি নিয়ে রাজধানীতে ফিরছেন যাত্রীরা। পরিবার-পরিজনের সঙ্গে ঈদ আনন্দ কাটিয়ে প্রচন্ড ভিড় ঠেলে ঢাকায় ফিরছেন কর্মজীবী মানুষও। বাস-লঞ্চে তেমন ভিড় দেখা না গেলেও ট্রেনে প্রচন্ড ভিড় দেখা গেছে।
সিলেট, চট্রগ্রাম ও আখাউড়া থেকে ঢাকামুখী আন্তঃনগর ও লোকাল ট্রেন স্টেশনগুলোতে কিছুটা বিলম্বে প্রবেশ করায় দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে যাত্রীদের।
ছুটির শেষ দিনে ভিড় এড়াতে অনেকেই শুক্রবার সকাল থেকেই ঢাকার উদ্দেশে পাড়ি জমিয়েছেন। তবে ১৪ আগস্ট সরকারি প্রতিষ্ঠানে ঈদের ছুটি শেষ হলেও কার্যত ১৮ আগস্ট রবিবার ঈদের পর প্রথম কর্মদিবস, তাই শনিবার ভোর থেকেই ঢাকায় ফেরা ট্রেনে ছিল উপচে পড়া ভিড়। কোথাও যেন তিল ধারণের ঠাঁই নেই।
প্রচন্ড ভিড় এর কারনে যাত্রীদের চোখে মুখে ছিল কষ্টের ছাপ। পেছনে ফেলে আসা প্রিয়জনের সঙ্গে কাটানো আনন্দক্ষণের রেশ শেষ হয়নি এখনো। কর্মস্থলে যোগ দেওয়ার তাড়াহুড়ো নিয়ে অনেকে শুক্রবার রাজধানী ঢাকায় পৌঁছেছেন।
শনিবার(১৭ আগস্ট) সকালে নরসিংদী ও ঘোড়াশাল ফ্ল্যাগ রেলওয়ে স্টেশনে গিয়ে দেখা যায়, ঢাকায় ফিরতে অপেক্ষা করছে শত শত যাত্রী। ট্রেন স্টেশনে পৌছা মাত্র এসব যাত্রীরা প্রচন্ড ভিড় ঠেলে গাড়িতে উঠতে দেখা গেছে। অনেকেই ট্রেনের ভিতর জায়গা না পেয়ে ছাঁদে ও ইঞ্জিনে জীবনের ঝুঁকি নিয়েই উঠতে দেখা গেছে।
শিবপুর থেকে আসা ট্রেন যাত্রী এস. এ গাজী নরসিংদী প্রতিদিনকে জানান, ঈদের ছুটি শেষে আজই আমার প্রথম অফিস। ট্রেনে প্রচন্ড ভিড় হবে জেনেই খুব সকালে নরসিংদী রেলওয়ে স্টেশনে ট্রেনের জন্য অপেক্ষা করি। কিন্তু ট্রেন স্টেশনে আসার পরে এ ভিড়ের কারনে ট্রেনে উঠতে পারিনি। পরবর্তীতে আরেকটি ট্রেন আসলে সেটিতে অনেক কষ্ট করে উঠতে হয়েছে। এবারের ঈদে লম্বা ছুটি ছিল। প্রিয়জনদের সাথে আনন্দঘন সময় কাটাতে পেরেছি তাই এমন দুর্ভোগ তেমন কষ্ট মনে হয়নি।
নামে প্রকাশো অনিচ্ছুক এক যাত্রী নরসিংদী প্রতিদিনকে জানান, অনেক চেষ্টা করেছি ট্রেনের ভিতর উঠার জন্য। সেখানে জায়গা না পেয়ে বাধ্য হয়েই ট্রেনের ইঞ্জিনে উঠতে হল।
এদিকে ট্রেনের ছাদ ও ইঞ্জিনে উঠা যাত্রীদের নামিয়ে দিতে ঢাকার বাহিরের স্টেশন গুলোতে রেলওয়ের নিরাপত্তা কর্মীরা তেমন কোন পদক্ষেপ না নিলেও তেজগাঁও রেলওয়ে স্টেশনে ট্রেন পৌছা মাত্র নিরাপত্তা কর্মীরা তাদের নামিয়ে দিতে তৎপর হতে দেখা যায়। তেজগাঁও স্টেশনে অনেক যাত্রী নেমে যাওয়ায় ট্রেন অনেকটায় ফাঁকা হয়ে যায়।