নিজস্ব প্রতিবেদক | নরসিংদী প্রতিদিন- সোমবার , ২৬ আগস্ট ২০১৯:
ভারত নিয়ন্ত্রিত জম্মু ও কাশ্মীর ইস্যুতে হস্তক্ষেপ করার জন্য জাতিসংঘ ও মুসলিম বিশ্বের কাছে দাবি জানিয়েছে ২০ দলীয় জোটের শরীক বাংলাদেশ লেবার পার্টি।
সোমবার (২৬ আগস্ট) জাতীয় প্রেসক্লাবে তোফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া হলে কাশ্মীর সংকট বিপন্ন মানবতা শীর্ষক গোলটেবিল বৈঠকে জাতীয় নেতৃবৃন্দ এ দাবি জানান।
গোলটেবিল বৈঠকে বক্তারা বলেন, ‘ভারত নিয়ন্ত্রিত জম্মু ও কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা ও স্বায়ত্তশাসন বিলুপ্ত করে দখলদারিত্বের মতো রাজ্যকে বিচ্ছিন্ন করেছে মোদি সরকার। কেন্দ্রীয় শাসনের আওতায় নিয়ে আসার জন্য ভারতকে কতটা মূল্য দিতে হবে এ নিয়ে বেশ হিসাব-নিকাশ শুরু হয়েছে দেশটির ভেতর ও বাহিরে।’
বক্তারা আরো বলেন, ‘ভারতের সংবিধান থেকে ৩৭০ অনুচ্ছেদ বাদ দেয়ার মধ্য দিয়ে উপমহাদেশব্যাপী আরেকটি বড় জামেলার আভাস পাওয়া যাচ্ছে। অন্যদিকে আসামের নাগরিকপঞ্জি কারণে ৪০ লাখ লোক দেশ থেকে বিতারিত করার পরিকল্পনা করছে। এবং তাদের বাংলাদেশে ফেরত পাঠানোর কথা আছে।’
‘এদিকে সংবিধানকে হাতিয়ার বানিয়ে একদিকে জম্মু ও কাশ্মীরের ভূখণ্ড দখল অন্যদিকে নাগরিক ও মানবিক অধিকার হরণ করে বিপুল সংখ্যক জনগোষ্ঠীকে রাষ্ট্রহীন করা হিন্দুত্ববাদী নীতি একই সূত্রে গাঁথা। বাংলাদেশের জনগণ যদি অত্যাসন্ন বিপর্যয় থেকে রক্ষা পেতে চায় তাহলে অবিলম্বে কাশ্মীরি জনগণের লড়াই এবং মানবিক নাগরিক ও রাষ্ট্রীয় অধিকারবঞ্চিত ভারতীয়দের সাথে একাত্ম হতে হবে।’
বক্তারা বলেন, ‘ভারতের উগ্রনীতি কেবল কাশ্মীর পাকিস্তানের সীমিত থাকছে না, এর টার্গেটে পরিণত হচ্ছে বাংলাদেশ ও চীনের মতো প্রতিবেশী দেশও। ভারতের পত্রিকাসহ গণমাধ্যমে বক্তব্য এখন বাংলাদেশে লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত হচ্ছে তার সুস্পষ্ট ইঙ্গিত আসা শুরু হয়েছে। দুই দিন আগের ১৯ আগস্ট ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসের একটি সচিত্র খবর প্রকাশ করা হয়েছে। সেখানে ত্রিপুরায় এগারোটি স্থানে সভা করে দাবি করা হয়েছে পার্বত্য চট্টগ্রামকে ভারত যেন তার অংশ করে নেয়।’
নেতৃবৃন্দরা আরও বলেন, ‘নয়াদিল্লি সীমান্ত ইস্যুতে খুবই বেপরোয়া একতরফা ব্যবস্থা গ্রহণ করে। তাদের এই একতরফা ব্যবস্থার কারণে প্রতিবেশী দেশগুলো হুমকির মুখে পড়বে। এবং কাশ্মীর ইস্যু নিয়ে যাতে ভবিষ্যতে বড় কোনো বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি না হয় তার জন্য জাতিসংঘ ও মুসলিম বিশ্বকে এগিয়ে আসতে হবে।’
২০ দলীয় নেতা ও লেবার পার্টির চেয়ারম্যান ডা. মোস্তাফিজুর রহমান ইরান এর সভাপতিত্বে বৈঠকে আরও উপস্থিত ছিলেন সাবেক মন্ত্রী মোস্তফা জামাল হায়দার, বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ড. সুকোমল বড়ুয়া, ব্যারিস্টার হায়দার আলী, ন্যাশনাল ডেমোক্র্যাটিক পার্টির চেয়ারম্যান ক্বারী মো. আবু তাহের, ইসলামী ঐক্য আন্দোলনের আমীর মুহাম্মদ ঈসা শাহেদী, খেলাফতে মজলিসের যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা আহমদ আলী কাসেমী, কৃষক দলের সদস্য লায়ন মিয়া মোহাম্মদ আনোয়ার, কে এম রকিবুল ইসলাম রিপন, লেবার পার্টির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব ফারুক রহমান প্রমুখ।