একটি সন্তান ঘরকে আলোকিত করবে, নিজেদের জীবনকে রাঙাবে এমনটাই আশা করেন প্রত্যেক দম্পতি। একটি সংসারে নতুন অতিথি আসার আগে অনেক প্রস্তুতির প্রয়োজন পড়ে, প্রেগন্যান্সি থেকে শুরু করে ডেলিভারি এমনকি সন্তানটি স্বাবলম্বী হওয়া পর্যন্ত।
সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো গর্ভাবস্থা। নারীর স্বাস্থ্য ও খাদ্য অভ্যাস অন্যতম। প্রেগন্যান্সির সময় ফল ও শাকসবজি খাওয়ার গুরুত্ব খুব বেশি। কিন্তু এসময় কিছু ফল ও শাকসবজি এড়িয়ে চলাই ভালো। এ প্রতিবেদনে গর্ভবতী নারীদের যেসব ফল খাওয়া উচিত নয় তা উল্লেখ করা হলো।
আনারস
আনারস বা আনারসের জুস খাওয়া গর্ভপাতের কারণ হতে পারে। আনারসের মধ্যে রয়েছে ব্রোমেলেইন। এটি গর্ভপাতের জন্য দায়ী। তাই গর্ভাবস্থায় এই খাবার এড়িয়ে যাওয়া ভালো।
আঙুর
আঙুরে প্রচুর পরিমাণে রেসভিরাট্রোল থাকে। এই কেমিক্যালটি মা হতে যাওয়া নারীদের জন্য বিষাক্ত হতে পারে। গর্ভবতী নারীদের পরিপাকতন্ত্র দুর্বল। তাদের দুর্বল পরিপাকতন্ত্র কালো আঙুরের খোসা হজম করতে পারে না। বেশি পরিমাণে আঙুর খেলে অ্যাসিডিটি, বমিভাব ও বমি হতে পারে। অত্যধিক আঙুর খেলে পাতলা পায়খানা অথবা ডায়রিয়া হতে পারে।
পেঁপে
কাঁচা ও অর্ধপাকা পেঁপের ল্যাটেক্স জরায়ু সংকোচন ও অকালে প্রসব বেদনার কারণ হতে পারে। কাঁচা পেঁপে শরীরের তাপমাত্রা বাড়াতে পারে। কাঁচা পেঁপের পাপাইন ভ্রুণকে সহায়তাকারী ঝিল্লিকে দুর্বল করতে পারে। কাঁচা পেঁপের পাপাইন হলো একটি কমন অ্যালার্জেন যা বিপজ্জনক অ্যালার্জিক রিয়্যাকশন সৃষ্টি করতে পারে।
তিলের বীজ
গর্ভবতী নারীদের তিলের বীজ বেশি খাওয়া উচিত নয়। তিলের বীজ মধুর সঙ্গে মিশিয়ে খেলে গর্ভপাত হতে পারে। তাই এই খাবারও এড়িয়ে যান।
প্রাণীর লিভার
লিভার বেশ স্বাস্থ্যকর খাবার। এতে ভিটামিন-এ ভরপুর রয়েছে। তবে গর্ভের শিশুর জন্য এটি বেশ ঝুঁকিপূর্ণ খাবার। মাসে এক বা দুবার খেলে এটি বেশি ক্ষতি করবে না। তবে প্রতিদিন খেলে ভ্রূণের জন্য ক্ষতিকর হতে পারে।
অ্যালোভেরা
অ্যালোভেরা চুল, ত্বক এবং হজমের জন্য ভালো। তবে গর্ভাবস্থায় অ্যালোভেরা জুস খাওয়া এড়িয়ে যাওয়া উচিত। এটি গর্ভপাত ঘটাতে পারে।
সজনে
এতে রয়েছে ভিটামিন, আয়রন ও পটাশিয়াম। এগুলো শরীরের জন্য ভালো। তবে এতে আলফা সিটোসটেরল নামে এক ধরনের উপাদানও রয়েছে, যা গর্ভাবস্থায় গ্রহণ করা ক্ষতিকর। এটি গর্ভপাত ঘটাতে পারে।
কাঁকড়া
অনেকে কাঁকড়া খেতে পছন্দ করেন। এর মধ্যে রয়েছে উচ্চ পরিমাণ ক্যালসিয়াম। তবে গর্ভাবস্থায় বেশি কাঁকড়া খাওয়া এড়িয়ে যাওয়া উচিত। এটি জরায়ুকে সংকুচিত করে অভ্যন্তরীণ রক্তপাত ঘটায়। এ ছাড়া এতে উচ্চমাত্রায় কোলেস্টেরল রয়েছে। এটিও গর্ভবতী নারীর জন্য ক্ষতিকর।