নিজস্ব প্রতিবেদক | নরসিংদী প্রতিদিন- সোমবার , ২৬ আগস্ট ২০১৯:
নরসিংদীর পলাশ উপজেলার ঘোড়াশাল পৌর এলাকার শীতলক্ষ্যা নদীর ওপর নির্মিত শহীদ ময়েজ উদ্দিন সেতুতে দীর্ঘদিন ধরে অবৈধ সিনএজি অটোরিকশা স্ট্যান্ড বসিয়ে চাঁদা আদায় করছে একটি প্রভাবশালী মহল। প্রতিদিন চাঁদা হিসেবে হাজারো টাকা এই স্ট্যান্ড থেকে আদায় করা হচ্ছে। দৈনিক ৫০ টাকা করে দুই শতাধিক সিএনজি থেকে এসব টাকা আদায় করা হচ্ছে। চাঁদার টাকা সংগ্রহের জন্য সেতুর ওপর একটি ঘরও নির্মাণ করেছে চাঁদাবাজরা।
ঘোড়াশালের এই সেতু দিয়ে ঢাকা-সিলেট রুটে বিভিন্ন যানবাহন চলাচল করছে। সেতুর ওপর অবৈধ স্ট্যান্ডের ফলে এই সড়ক দিয়ে অবৈধভাবে সিএনজি চলাচল করায় প্রায়ই ঘটছে ছোটবড় অনেক দুর্ঘটনা। গাজীপুরের টঙ্গী থেকে ছেড়ে আসা প্রতিটি সিএনজি এই সেতু অতিক্রম করলে স্ট্যান্ড চাঁদা বাবদ চালকদের গুনতে হয় ৫০ টাকা। চালকদের অভিযোগ টাকা না দিতে চাইলে অনেক সময় চাঁদা আদায়কারীদের কাছে মারধরের শিকার হতে হয়। অনেক সময় গাড়ীর চাবিও কেড়ে রেখে দেওয়া হয়।
সরেজমিনে ওই স্ট্যান্ডে গিয়ে দেখা যায়, লাঠি হাতে এক যুবক সেতুর ওপর দাঁড়িয়ে যাত্রীবাহী বিভিন্ন সিএনজিচালিত অটোরিকশা থেকে ৩০ থেকে ৫০ টাকা করে চাঁদা আদায় করছে। জানতে চাইলে চাঁদা আদায়কারী ওই যুবক জানায়, সে এই স্ট্যান্ডের টাকা আদায় করছে। প্রতিদিন তিন ঘন্টা করে সে এখানে ডিউটি করে। বিনিময়ে ৫০০ থেকে এক হাজার টাকা পায়।
অবৈধ এ স্ট্যান্ড পরিচালনায় কে রয়েছে জানতে চাইলে ওই যুবক জানায়, আলী হোসেন নামে এক ব্যক্তি দীর্ঘদিন আগে এই সিএনজি স্ট্যান্ডটি বসায়।
এব্যাপারে আলী হোসেনের সাথে যোগাযোগ করলে তিনি জানান, যাত্রীদের সুযোগ-সুবিধার জন্য এখানে স্ট্যান্ড দেওয়া হয়েছে। সিএনজি চালকদের সিরিয়াল দেওয়ার জন্য কিছু চাঁদা সংগ্রহ করা হয়। চাঁদার টাকা কি করা হয় জানতে চাইলে তিনি জানান, এই টাকার কিছু অংশ বিভিন্ন মহলে খরচ করা হয়। যাতে কোন সমস্যায় না পড়তে হয়। আর বাকি টাকা স্ট্যান্ড বাবদ খরচ করা হয়।
ঘোড়াশাল পৌর মেয়র আলহাজ্ব শরীফুল হক শরীফ জানান, সেতুর ওপর সিএনজি স্ট্যান্ডটি সম্পুর্ণ অবৈধ। স্ট্যান্ডটি উচ্ছেদ করার জন্য থানা পুলিশকে জানানো হয়েছে।
পলাশ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ মোঃ নাসির উদ্দিন জানান, পলাশে কোন অবৈধ স্ট্যান্ড থাকবে না। এ ব্যাপারে প্রয়োজনী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।