1. khandakarshahin@gmail.com : Breaking News : Breaking News
  2. laxman87barman@gmail.com : laxman barman : laxman barman
  3. shahinit.mail@gmail.com : narsingdi : নরসিংদী প্রতিদিন
  4. msprovat@gmail.com : ms provat : ms provat
  5. hsabbirhossain542@gmail.com : সাব্বির হোসেন : সাব্বির হোসেন
মঙ্গলবার, ০৭ মে ২০২৪, ০৬:০৫ পূর্বাহ্ন

বিজ্ঞাপণ দিতে ০১৭১৮৯০২০১০

এবার বিশ্ববিদ্যালয়ে গোপন খাস কামরার সন্ধান, শিক্ষার্থীদের যৌন নির্যাতন

ডেস্ক রিপোর্ট | নরসিংদী প্রতিদিন
  • প্রকাশের তারিখ | মঙ্গলবার, ২৭ আগস্ট, ২০১৯
  • ২০৭ পাঠক

নিজস্ব প্রতিবেদক | নরসিংদী প্রতিদিন- মঙ্গলবার, ২৭ আগস্ট ২০১৯:
জামালপুরের ডিসি আহমেদ কবীরের অফিস কক্ষে খাস কামরাকাণ্ডের পর এবার পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে ব্যবসায় প্রশাসন বিভাগের সভাপতির কক্ষে গোপন খাস কামরার সন্ধান পেয়ে বিক্ষোভ করেছে শিক্ষার্থীরা।

মঙ্গলবার (২৭ আগস্ট) দুপুরে ওই বিভাগের বর্তমান ও সাবেক সভাপতির বিরুদ্ধে নারী শিক্ষার্থীদের যৌন নির্যাতনের অভিযোগ তুলে বিক্ষোভ করেন তারা। পরে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ওই কামরার খাটসহ আসবাবপত্র বের করে দেয়।

বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা জানান, ব্যবসায় প্রশাসন বিভাগের বর্তমান সভাপতি আমিরুল ইসলাম ও সাবেক সভাপতি ড. কামরুজ্জামান বিভিন্ন সময়ে বিভাগের নারী শিক্ষার্থীদের প্রলোভন ও ভয়ভীতি দেখিয়ে যৌন নির্যাতন করেন। বিষয়টি ওপেন সিক্রেট হলেও সামাজিক সম্মান ও শিক্ষা জীবনের কথা ভেবে ভুক্তভোগীরা লিখিত অভিযোগ করতে সাহস পায়নি। সভাপতির কক্ষে খাট পেতে গোপন খাস কামরা তৈরির বিষয়টি সম্প্রতি জানাজানি হলে শিক্ষার্থীরা বিক্ষুব্ধ হয়ে ওঠে। মঙ্গলবার দুপুরে তারা ব্যবসায় প্রশাসন বিভাগের সভাপতির কক্ষে গিয়ে চ্যালেঞ্জ করলে ওই গোপন খাস কামরায় সুসজ্জিত বিছানা সন্ধান মেলে। এ সময় তাদের তোপের মুখে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন কামরা থেকে তরিঘরি করে খাটসহ আসবাবপত্র বের করে দেয়।

নামপ্রকাশ না করার শর্তে ব্যবসায় প্রশাসন বিভাগের কয়েকজন শিক্ষার্থী অভিযোগ করেন, ব্যবসায় প্রশাসন বিভাগের বর্তমান ও সাবেক সভাপতি নিয়মিত ও সান্ধ্য কোর্সের নারী শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন সময়ে জোরপূর্বক তাদের ওই কক্ষে ডেকে নিতেন। বিষয়টি নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে ক্যম্পাসে কানাঘুষা হলেও কোন তোয়াক্কা না করেই, তাদের অপকর্ম চালয়ে যান তারা।

পাবিপ্রবি ছাত্রলীগের সভাপতি মাহমুদ চৌধুরী আসিফ বলেন, ‘শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন সময়ে অভিযোগ করেছেন ওই দুই শিক্ষকের অপকর্মের কথা। বিষয়টি গুরুত্ব না দিলেও আজ অফিস কক্ষে এ ধরনের সুসজ্জিত বিছানা পাতা গোপন খাস কামরা দেখে অভিযোগ সত্য বলেই মনে হচ্ছে। অফিস কক্ষে গোপন বিছানার কি প্রয়োজন তা আমার বোধগম্য নয়। নারী শিক্ষার্থীদের যৌন হেনস্তার মতো স্পর্শকাতর অভিযোগের তদন্ত সাপেক্ষে জড়িত শিক্ষকদের বিচার দাবী করছি।’

ব্যবসায় প্রশাসন বিভাগের সভাপতি ড. আমিরুল ইসলাম নিজের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ বলেন, ‘নৈশ ও নিয়মিত কোর্সের ক্লাশ নেওয়ার জন্যে ক্যম্পাসে শিক্ষকদের দীর্ঘসময় অবস্থান করার করতে হয়। পূর্বের সভাপতি বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের অনুমতি সাপেক্ষে বিশ্রাম কক্ষ তৈরী করেন। যা শুধুমাত্র বিশ্রামের জন্যেই ব্যবহার করা হয়েয়ে থাকে। অনৈতিক উদ্দেশ্যে বিশ্রামকক্ষ তৈরী করা হয়নি।’

অভিযুক্ত আরেক শিক্ষক ব্যবসায় প্রশাসন বিভাগের সাবেক সভাপতি ড. কামরুজ্জামান বলেন, ‘প্রশ্নপত্র প্রনয়ণসহ বিভিন্ন গোপন কাজের জন্যে কক্ষটি তৈরি করা হয়েছিল। কখনও কোন নারী শিক্ষার্থী যৌন হেনস্তার অভিযোগ করেনি। অভ্যন্তরীণ শিক্ষক রাজনীতির কারণে ছাত্রদের দিয়ে মিথ্যা অভিযোগ করা হচ্ছে।

তবে অন্যান্য বিভাগে এ ধরনের খাস কামরা না থাকলেও ব্যবসায় প্রশাসন বিভাগে কি প্রয়োজনীয়তা জানতে চাইলে তিনি কোন সদুত্তর দিতে পারেননি।

এ বিষয়ে পাবিপ্রবির প্রক্টর ড. প্রীতম কুমার দাস বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয় নীতিমালায় বিভাগীয় সভাপতির কক্ষে এ ধরনের খাট বিছানোর সুযোগ আছে কিনা আমার জানা নেই। তবে শিক্ষার্থীদের অভিযোগের প্রেক্ষিতে কথিত ওই খাস কামরা থেকে আমরা খাটসহ আসবাবপত্র বের করে দিয়েছি। এ ব্যাপারে লিখিত অভিযোগ পেলে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা নেবেন।’

খাস কামরার বিষয়ে পাবিপ্রবি ভিসি ড. রোস্তম আলীর সাথে কথা বলার জন্যে মুঠোফোনে চেষ্টা করা হলে তিনি ফোন রিসিভ না করে পরবর্তীতে ফোন বন্ধ করে দেন।



সংবাদটি শেয়ার করিুন

এই পাতার আরও সংবাদ:-



বিজ্ঞাপণ দিতে ০১৭১৮৯০২০১০



DMCA.com Protection Status
টিম-নরসিংদী প্রতিদিন এর সার্বিক তত্ত্বাবধানে শাহিন আইটি এর একটি প্রতিষ্ঠান-নরসিংদী প্রতিদিন-
Theme Customized BY WooHostBD