নিজস্ব প্রতিবেদক | নরসিংদী প্রতিদিন-
বৃহস্পতিবার ২৯ আগস্ট ২০১৯:
নরসিংদীর শিবপুরে উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি হারুনুর রশীদ খানের বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন করেছে সংসদ সদস্য জহিরুল হক ভুইয়া মোহন ও তার অনুসারীরা। গত ২৭ আগস্ট দৈনিক প্রথম আলো ও স্থানীয় কিছু পত্রিকায়, “শিবপুরের সাংসদ জহিরুল হক ভুইয়া মোহন মুক্তিযোদ্ধা নন, দাবী উপজেলা চেয়ারম্যানের” শিরোনামে একটি সংবাদের প্রতিবাদে (২৯ আগস্ট) বৃহস্পতিবার দুপুরে নরসিংদীর শিবপুরে সাংসদ মোহনের ব্যক্তিগত কার্যালয়ের সামনে সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।
শিবপুর উপজেলা আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি আজিজুর রহমান খান ভুলু’র সভাপতিত্বে সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য রাখেন, যুগ্ম সম্পাদক আসাদুজ্জামান আসাদ।
লিখিত বক্তব্যে প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদ জানিয়ে মোহন অনুসারীরা বলেন, উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি হারুনুর রশীদ খান ছিলেন ভারতে শরনার্থী ক্যাম্পে, তিনি কি করে জানবেন, কে প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধা ? এখানে অনেক মুক্তিযোদ্ধা উপস্থিত আছেন তাদের কাছ থেকে শুনুন।
মুক্তিযোদ্ধাদের বক্তব্যে আব্দুল বাতেন বিএসসি বলেন, জহিরুল হক ভুইয়া মোহন আমার অধীনে মুক্তিযুদ্ধ করেছিলো। উপজেলা চেয়ারম্যান ছিলো ভারতে সে কিভাবে মুক্তিযোদ্ধা হয়। পরে উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডের সাবেক ডেপুটি কমান্ডার মোতালিব খান, তার বক্তব্যের বিরোধীতা করে বলেন, হারুনুর রশীদ খানও প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধা। তিনি ভারতে প্রশিক্ষন নিয়েছিলেন। ভারতের প্রেরিতন শরনার্থী প্রশিক্ষণে হারুনুর রশীদ খানের নাম তালিকাভূক্ত আছে। তাই উনাকে আমি মুক্তিযোদ্ধা অস্বীকার করতে পারবো না।
সংবাদ সম্মেলনের শেষ মুহুর্তে সেখানে হাজির হন সংসদ সদস্য জহিরুল হক মোহন। এসময় সাংসদ মোহন তার বক্তৃতায় শিবপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি হারুনুর রশীদ খানকে উদ্দেশ্য করে বলেন, আমি টি আর কাবিখার হিসেব কারো কাছে দিতে বাধ্য নই। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা চাইলে আমি হিসেব দিবো। আমার ও আমার পরিবারের বিরুদ্ধে কটুক্তি করে শিবপুরে এক মিনিট অবস্থান করার মতাে কারো ক্ষমতা নেই। আপনি আমার আত্মীয় হওয়ার সুবাদে এবং উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি হওয়ায় আপনার বিরুদ্ধে এখনো কোন মামলা করিনি।
এসময় সংবাদ সম্মেলনে মুক্তিযোদ্ধাসহ জেলার বিভিন্ন ইলেকট্রনিক ও প্রিন্ট মিডিয়ার সংবাদকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য ২৬ আগষ্ট শিবপুর উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি ও উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান হারুনুর রশীদ খান সংবাদ সম্মেলন করে, সাংসদ জহিরুল হক ভুইয়া মোহন কোন মুক্তিযোদ্ধা নন, ক্ষমতার অপব্যবহার করে লাল মুক্তিবার্তায় নাম তালিকাভূক্ত করিয়েছেন এবং ১ কোটি ৫ লাখ টাকার টিআর ও কাবিখা’র ৯৫০ টন চাল গম আত্মসাৎ করার অভিযোগ করে, সাংসদের প্রতি চ্যালেঞ্জ করেছিলেন।