ধর্ম ডেস্ক | নরসিংদী প্রতিদিন-
রবিবার, ০১ সেপ্টেম্বর ২০১৯:
প্রশ্ন: অনেক স্বামী- স্ত্রী নিজেদের মাঝে অনেক ফ্রি। তাই একে অপরকে নাম ধরে ডাকাডাকি করে থাকে। তো আমার জানার বিষয় হচ্ছে এই ভাবে একে অপরকে নাম ধরে ডাকাডাকি করার বিষয়ে ইসলাম কী বলে?
এ বিষয়ে ভারতের ঐতিহ্যবাহি দীনি বিদ্যাপীঠ দারুল উলুম দেওবন্দ এক ফতোয়ায় বলছে, স্বামীর নাম ধরে ডাকা ‘বেয়াদবি’ এবং ‘মাকরুহ’।
‘আমরা সবসময় শুনে এসেছি যে, স্বামীর নাম মুখে আনলে গোনাহ হয়। কিন্তু ইদানীং অনেককেই স্বামীকে নাম ধরে ডাকতে দেখা যায়। বিষয়টি আসলে কী, জানতে চাই।’- জৈনক ব্যক্তির এমন প্রশ্নে দারুল উলুম দেওবন্দ ঐ ফতোয়া প্রদান করে।
দারুল উলুম দেওবন্দ জানায়, ‘স্বামীর নাম ধরে ডাকা ‘বেয়াদবি’ এবং ‘মাকরুহ’। বরং স্ত্রী স্বামীকে সম্মান ও শ্রদ্ধার সহিত ডাকবে। তবে প্রয়োজনের সময় স্বামীর নাম নিতে কোনো সমস্যা নেই। যেমন, কেউ স্ত্রীকে জিঙ্গেস করল যে আপনার স্বামীর নাম কি?, তখন প্রশ্নকারীকে স্বামীর নাম বলা যাবে। ’
ফাতাওয়া রহীমিয়াতে আছে, স্বামী স্ত্রীকে নাম ধরে ডাকতে পারবে এতে কোনো অসুবিধা নেই। কিন্তু স্ত্রীর স্বামীর নাম ধরে ডাকা ইসলামের দৃষ্টিতে এক প্রকার অসৌজন্যতা, তাই এমনটা করা মাকরূহ বা অনুচিত। [রহীমিয়া ২-৪১৩]
ইসলামি স্কলারদের মতে, ‘স্বামীর নাম মুখে আনলে বা প্রয়োজনে কখনো তাকে নাম ধরে ডাকলে গোনাহ হয় না। কিন্তু স্বামী যেহেতু নারীর প্রধান এবং পরম অভিবাবক-মুরব্বি অতএব নিজ পিতা-মাতা, চাচা, মামা ও শিক্ষকের ন্যায় স্বামীকেও নাম ধরে ডাকা শোভনীয় নয়।
আমাদের মুসলিম সমাজে স্বামীর নাম মুখে না আনার বিষয়টি সম্ভবত এ সম্মান ও শ্রদ্ধার ভিত্তিতেই চালু হয়েছে। স্বামীর নাম মুখে আনায় গোনাহ না হলেও অসমীচীনতাজনিত ত্রুটি অবশ্যই হয়। অবশ্য ক্ষেত্রভেদে এ অশোভনীয়তার বিধি শিথিলযোগ্য।’