নিজস্ব প্রতিবেদক | নরসিংদী প্রতিদিন –
শুক্রবার, ২৭ সেপ্টেম্বর ২০১৯ :
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মহাসচিব অধ্যক্ষ ইউনুছ আহমাদ বলেন, ডাকসু হলো বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের অধিকার ও স্বার্থরক্ষার একটি প্রতিষ্ঠান। একই সাথে বিশ্ববিদ্যালয়ের উন্মুক্ত পরিবেশে বহুমত-পথের মিথস্কিয়ায় গণতান্ত্রিক রাজনীতি চর্চার একটি প্রতিষ্ঠান। তিন দশক পরে কলংকিত নির্বাচনের মাধ্যমে গঠিত ডাকসুর নেতৃবৃন্দ এই ঐতিহাসিক প্রতিষ্ঠানটিকে কলংকিত করছে। ক্যাম্পাসে ধর্মভিত্তিক ছাত্র রাজনীতি নিষিদ্ধ করার প্রস্তাব পাশ করে ডাকসু একটি অসাংবিধানিক ও অধিকার বহির্ভূত সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ক্যাম্পাসে কে কোন মত ও পথের রাজনীতি করবে তা নির্ধারণ করার এখতিয়ার ডাকসু রাখে না।
আজ (২৭ সেপ্টেম্বর) শুক্রবার প্রেসক্লাবের সামনে ডাকসু কর্তৃক ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ধর্মীয় সংগঠনের নামে ইসলামী রাজনীতি নিষিদ্ধ করার অপচেষ্টার প্রতিবাদে ইসলামী শাসনতন্ত্র ছাত্র আন্দোলন-এর কেন্দ্রীয় কমিটির ব্যবস্থাপনায় বিক্ষোভ মিছিল ও মিছিলপূর্ব সংক্ষিপ্ত সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
বিক্ষোভপূর্ব সমাবেশে ইশা ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় সভাপতি শেখ ফজলুল করীম মারুফ বলেন, মুক্ত চিন্তার সূতিকাগার বিশ্ববিদ্যালয়ে ধর্মের মতো সর্ববাদি আদর্শভিত্তিক ছাত্র রাজনীতি নিষিদ্ধ করা একটি স্বৈরাচার মূলক আচরণ। ভাবতে আশ্চর্য লাগে, স্বৈরাচার বিরোধী গৌরবময় অতীত সমৃদ্ধ একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের সংগঠন ডাকসু নিজেই স্বৈরাচারী আচরণ করছে। তিনি ডাকসু নেতৃবৃন্দের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেন, ধর্ম ও ইসলাম বাংলাদেশের মানুষের হাজার বছরের ইতিহাস ঐতিহ্য ও অনুভূতির সাথে সম্পৃক্ত। মানুষের অনুভূতিকে আঘাত করে ডাকসুর মতো একটি সর্বজন সমন্বিত প্রতিষ্ঠানকে কলংকিত করবেন না।
সমাবেশে ইসলামী যুব আন্দোলনের কেন্দ্রীয় প্রচার সম্পাদক মুহাম্মাদ ইলিয়াছ হাসান বলেন, ডাকসুর অধিকাংশ দায়িত্বে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের নেতৃবৃন্দ রয়েছে। ছাত্রলীগের অভিভাবক সংগঠন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ এর অবস্থানও ধর্মীয় রাজনীতির বিরুদ্ধে নয়। সেখানে ডাকসুতে কারা ধর্মীয় রাজনীতির বিপক্ষে সিদ্ধান্ত নেয় তা খতিয়ে দেখতে হবে।