শেখ মানিক | নরসিংদী প্রতিদিন –
মঙ্গলবার, ২২ অক্টোবর ২০১৯ :
নরসিংদী শিবপুর পৌরসভার ৪নং ওয়ার্ডের শিবপুর পশ্চিম পাড়ার হুমায়ূনের বাড়ীর তিন পাশে ময়লা-আবর্জনার ডাস্টবিনে পরিনত হয়েছে। এ অবস্থা থেকে পরিত্রাণ পেতে ভুক্তভোগী সুরুজ মিয়া আবারও পৌর প্রশাসকের সুদৃষ্টি কামনা করেন।
গত বছর মার্চ মাসে ময়লা-আবর্জনা ফেলা থেকে পরিত্রাণ পেতে পৌর প্রশাসকের কাছে অভিযোগ করেন প্রতিবেশি মৃত হাজী তাইজ উদ্দিনের ছেলে মোঃ সুরুজ মিয়া।
অভিযোগের বিবরণে জানা যায়, সুরুজ মিয়ার বাড়ীর ভাড়াটিয়াদের জানালার সামনে ময়লা-আবর্জনাসহ বাথরুমের ময়লা পানি, ভাতের মার, মাছ, হাঁস মুরগির নাড়ি-ভুড়ি তরকারি অখাদ্য ভাঙ্গা কাঁচের টুকরো ফেলে রাখে ময়লা পঁচার চরম দূর্গন্ধে রাস্তা দিয়ে চলাচল এবং বসতবাড়িতে থাকা অসম্ভব হয়ে যায়। তাছাড়া হুমায়ূনের বাড়ীর বাথরুমের জমে থাকা পানিতে সাধারন মশাসহ ডেঙ্গুর বাহক এডিস মশার বংশবিস্তারে সহায়ক হতে পারে বলে অভিযোগে উল্লেখ করেন। তৎকালীন পৌর প্রশাসক অভিযোগের প্রেক্ষিতে তদন্তের মাধ্যমে নির্দেশ দিয়েছিলেন বাড়ির চারপাশ পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখার জন্য কিন্তু হুমায়ূন তা এপর্যন্ত করননি।
গতকাল সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, দেয়ালের সঙ্গে লাগানো বাথরুমের পানিতে বহু দিনের পুরোনো ময়লা ভরে আছে আর পানির উপর বাসছে মশা, মাছিসহ বিভিন্ন ধরনের পোকামাকড়। তাছাড়া ডাবের খোসা, চিপসের প্যাকেট, বোতলসহ নানা ধরনের ময়লা আবর্জনা দেখে মনে হয়েছে ডাস্টবিন।
এ বিষয়ে হুমায়ুনের সাথে কথা বললে তিনি জানান, সুরুজ মিয়ার সাথে আমার জমি সংক্রান্ত বিরোধ চলছে। বিরোধ নিষ্পত্তি হলেই আমি আমার বাড়ির চারপাশে সীমানা প্রাচীর দিয়ে রাখবো। আমি ময়লা-আবর্জনা বাইরে আর ফেলবো না।
এ বিষয়ে স্থানীয় এলাকাবাসী জানান, আমরা দীর্ঘদিন যাবৎ হুমায়ূনকে ময়লা-আবর্জনা এভাবে উন্মুক্ত স্থানে না ফেলার জন্য বাধা নিষেধ করে আসছি কিন্তু আমাদের কথা রাখেনি।
এবিষয়ে অভিযোগকারী মো. সুরুজ মিয়া জানান, হুমায়ুনের সাথে আমার বাড়ির পাশের সম্পত্তি নিয়ে দীর্ঘদিন যাবৎ বিরোধ চলছে। আমি যাতে উক্ত জমি না যাই সে জন্য সে এভাবে ময়লা আবর্জনা ফেলে রাখে। এ থেকে পরিত্রাণ পেতে আবারও পৌর প্রশাসক মহোদয়ের সুদৃষ্টি কামনা করছি।