নিজস্ব প্রতিবেদক | নরসিংদী প্রতিদিন-
শনিবার ৯ নভেম্বর ২০১৯: বঙ্গোপসারে সৃষ্টি ঘূর্ণিঝড় ‘বুলবুল’ অগ্রসর হচ্ছে বাংলাদেশের দিকে। এটি সুন্দরবন অঞ্চলে আছরে পড়বে। ঘূর্ণিঝড়ের মূল অংশ সন্ধ্যার দিকে আঘাত করলেও বিকেল ৩টার পরপরই ঘূর্ণিঝড়ের অগ্রভাগ উপকূল অঞ্চলে প্রবেশ করবে।
শনিবার (৯ নভেম্বর) দুপুরে রাজধানীর আগারগাঁওস্থ বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদফতর থেকে এ এত্য জানানো হয়েছে।
আবহাওয়া অধিদফতরের জ্যেষ্ঠ আবহাওয়াবিদ রুহুল কুদ্দুস জানান, বিকেল ৩টার পর ঘূর্ণিঝড়টির অগ্রভাগ বাংলাদেশের সুন্দরবন অঞ্চল দিয়ে প্রবেশ করবে। কিছুটা গতি কমলেও এটি বাংলাদেশের আরও ভেতরে প্রবেশ করবে। খুলনা, সাতক্ষীরা, ফরিদপুর, ঢাকা, কুমিল্লা হয়ে ২৪ ঘণ্টা অবস্থান করতে পারে।
ঘূর্ণিঝড়টি অন্তত ১০০ কিলোমিটার অঞ্চল জুড়ে ঘণ্টায় সর্বনিম্ম ১০০ থেকে ১২০ কিলোমিটার গতিতে বাংলাদেশ অতিক্রম করতে পারে বলেও আবহাওয়া অধিদফতরের এই জ্যেষ্ঠ আবহাওয়াবিদ জানান।
এর আগে বেলা সাড়ে ১১টার দিকে তিনি জানান, ইতোমধ্যে বাংলাদেশ উপকূলের ৩১০ কিলোমিটারের মধ্যে প্রবেশ করেছে ঘূর্ণিঝড় বুলবুল। সকাল ৯টার সময় ঘূর্ণিঝড় বুলবুল মংলা সমুদ্র বন্দর থেকে ৩১০ কিলোমিটার, পায়রা থেকে ৩৩৫, কক্সবাজার থেকে ৪৮০ ও চট্টগ্রাম থেকে ৪৯০ কিলোমিটারের মধ্যে অবস্থান করছিল।
এদিকে ঘূর্ণিঝড়ের কারণে মোংলা ও পায়রা বন্দরে দেওয়া হয়েছে ১০ নম্বর মহাবিপদ সংকেত। এ ছাড়া খুলনা ও বরিশালের ৯ জেলায় ১০ নম্বর মহাবিপদ সংকেত দেখিয়ে যেতে বলেছে আবহাওয়া অধিফতর।
ঘূর্ণিঝড় ‘বুলবুল’র আতঙ্কে আতঙ্কিত উপকূলবাসী। খুলনা ও বরিশালের উপকূল অঞ্চলের মানুষরা প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র আশ্রয়কেন্দ্রে আসছেন। তাদের ঢল নেমেছে আশ্রয়কেন্দ্রে। ‘বুলবুল’র ছোবল থেকে বাঁচতে ঘরবাড়ি ছেড়ে তারা আশ্রয় নিয়েছেন সেখানে।
এছাড়াও উপকূল মানুষের আরও আতঙ্ক ছাড়াচ্ছে জলোচ্ছ্বাস। এতোমধ্যেই ওই অঞ্চলে নদীতে দেড় থেকে দুই ফুট পানি বেড়েছে। ঘূর্ণিঝড়ের সঙ্গে ৭ ফুট উচ্চতার জলোচ্ছ্বাস হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।