নিজস্ব প্রতিবেদক | নরসিংদী প্রতিদিন –
শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০১৯ :
কথিত নারী নির্যাতন ও যৌতুক দাবির এক ঘটনায় আসামীকে না পেয়ে তার ভগ্নীপতি মাধবদী বাজারের ব্যবসায়ীকে তুলে নেয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এসময় ওই ব্যবসায়ীর পরিবারের অন্যান্য সদস্যদেরও পুলিশ হেনস্তা করেছে বলে ভুক্তভোগীরা নরসিংদী প্রতিদিনকে জানায়। গতকাল বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে নরসিংদী সদর উপজেলার মাধবদী পৌর শহরের টাটাপাড়া মহল্লায় এ ঘটনা ঘটে।
ভুক্তভোগী পরিবার জানায়, নারায়ণগুঞ্জ রুপগঞ্জের বরপা বাগান বাড়ি এলাকার মেয়ে মনিরা ইসলাম নিপাকে ভালোবেসে বিয়ে করে মাধবদীর নওয়াপাড়া এলাকা আঃ হালিমের ছেলে আশরাফুল হক বিপ্লব। বিয়েতে নিপা নিজেকে কুমারী দাবী করে। কিন্তু বিয়ের কিছুদিন পর থেকেই তার একাধিক বিয়ের খবর আসতে থাকে।
এছাড়াও তার বেপরোয়া জীবনযাপন ও নানারকম অনৈতিক কার্যকলাপের প্রেক্ষিতে বিপ্লব ও নিপার মধ্যে দ্বন্দ্ব শুরু হয়। একপর্যায়ে স্থানীয় চেয়ারম্যান ও প্রশাসনের লোকদের উপস্থিতিতে দেনমোহরের ৫লাখ টাকা ও ৩মাসের ভরনপোষণ বাবদ ৬০ হাজার টাকাসহ মোট ৫লাখ ৬০ হাজার টাকায় তাদের মধ্যে আপোষে বিবাহ বিচ্ছেদ সম্পন্ন হয়। বিবাহ বিচ্ছেদের দুইমাস পর চলতি মাসে বিপ্লবকে নিপা লোকজন দিয়ে তুলে নিয়ে গিয়ে রুপগঞ্জের গাউছিয়া এলাকায় একিটি ফ্লাটে আটকে রেখে বেধরক মারপিট করে। পরে খালি কাবিননামায় স্বাক্ষর নিয়ে ছেড়ে দেয়া হয় বলে বিপ্লব অভিযোগ করেন। পরিবর্তীতে নিপা দশ লাখ টাকা কাবিনে পুনরায় বিপ্লব তাকে বিয়ে করেছে বলে দাবি করে। এতে তার প্রতারণা থেকে মুক্তি পেতে নরসিংদীর বিজ্ঞ আদালাতে একটি মামলা করেন বিপ্লব। এ ঘটনার পর চতুর নিপা উল্টো বিপ্লব ও তার পরিবারের বিরুদ্ধে যৌতুক ও নারী নির্যাতনের অভিযোগ এনে রুপগঞ্জ থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। পরে বৃহস্পতিবার রাতে রূপগঞ্জ থানার এসআই নাজিমুদ্দিনের নেতৃত্বে একদল পুলিশ বিপ্লবকে ধরতে এসে তাকে না পেয়ে তার ব্যবসায়ী ভগ্নীপতি পলাশকে ধরে নিয়ে যায়।
এব্যপারে রূপগঞ্জ থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) নাজিমুদ্দিন নরসিংদী প্রতিদিনকে জানায়, নিপার অভিযোগের প্রেক্ষিতে মাধবদী থানা পুলিশের সহযোগিতায় একজনকে আটক করা হয়। তবে আসামীকে চিনতে না পারায় ভুলবশতঃ তার ভগ্নীপতিকে ধরে আনা হয়, পরে জিজ্ঞাসাবাদে তার পরিচয় নিশ্চিত হয়ে শুক্রবার দুপুরে তাকে ছেড়ে দেয়া হয়।
এ বিষয়ে মাধবদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু তাহের দেওয়ান অবগতনন বলে বলে জানান।