স্টাফ রিপোর্টার। নরসিংদী প্রতিদিন-
শুক্রবার ২৯ নভেম্বর ২০১৯:
নরসিংদীতে প্রয়াত মেয়র লোকমান হত্যা মামলা থেকে ১১ জনকে অব্যহতি দিয়েছে আদালত। আজ বিকেলে নরসিংদী প্রেস ক্লাবের কার্যালয়ে সাংবাদিক সম্মেলন করেছে হত্যা মামলা থেকে অব্যহতি পাওয়া আসামীরা।
সাংবাদিক সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন, বাংলাদেশ তাঁতী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম সম্পাদক মো. মোন্তাজ উদ্দিন ভূইয়া, কৃষকলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক মো. আমীরুল ইসলাম ভূইয়া, জেলা আওয়ামীলীগের সাবেক সদস্য মো. আসাদুজ্জামান খোকন, নরসিংদী কলেজের সাবেক ভিপি মিঞা মোহাম্মদ মঞ্জুর, নরসিংদী প্রেস ক্লাবের সভাপতি মাখন দাস, সাধারণ সম্পাদক মাজহারুল পারভেছ মন্টিসহ ইলেক্টনিক্স ও প্রিন্ট মিডিয়ার সাংবাদিকরা।
এসময় বাংলাদেশ তাঁতী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম সম্পাদক মো. মোন্তাজ উদ্দিন ভূইয়া লিখিত বক্তব্যে সাংবাদিকদেরকে বলেন, ২০১১ সালের ১লা নভেম্বর নরসিংদী জেলা আওয়ামীলীগের অস্থায়ী কার্য্যালয়ে আততায়িদের গুলিতে নরসিংদী পৌরসভার প্রয়াত মেয়র ও নরসিংদী মহর আওয়ামীলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক লোকমান হোসেন মৃত্যুবরণ করেন। এই হত্যাকান্ডের পর নরসিংদীর রাজনৈতিক অবস্থান কোথায় গিয়াছে আপনারা নিশ্চয় অবগত আছেন।
এসময় তিনি আরো বলেন, যখন লোকমান হোসেনকে হত্যা করা হয় তখন আমিও জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মতিন ভূঞা, হাবিবুর রহমান, তারেক আহাম্মদ, অহিভূষণ চক্রবর্তী, ফজলুল হক লিটন, আমিরুল ইসলাম ভূঞা, শ্যামল সাহা, আমানউল্লা আমান, আলাউদ্দিন, জুবায়ের আহাম্মদসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ মেয়র লোকমানের সাথে বসা ছিলাম। ওসময় মুখোশ পড়া একজন ব্যক্তি তাকে গুলি করে চলে যায়। এরপর তাকে নিয়ে আমিও সহকর্মীরা দ্রুত নরসিংদী সদর হাসপাতালে নিয়ে যাই। সদর হাসপাতালের কর্তব্যরত ডাক্তার তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পেরণ করেন। পরবর্তীতে খবর হয় লোকমান মৃত্যুবরণ করেছে। সকালে প্রয়াত নরসিংদী জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও আওয়ামীলীগের সভাপতি আসাদোজ্জামানসহ আমরা তার বাসায় গিয়ে পরিবারের সাথে সমবেদনা প্রকাশ করি। বিকেলে নরসিংদী ষ্টেডিয়ামে জানাযায় ও শোক সমাবেশে অংশ গ্রহন করি, পরে পৌর গোরস্থানে তাকে দাফন কাজ সম্পন্ন করে আমরা বাসায় চলে আসি। পরের দিন শুনতে পেলাম আমাদের নামে লোকমান হত্যার মামলা দাখিল করা হয়েছে। পরবর্তীতে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে পুলিশ, ডি.বি, সি.আই.ডি ও অন্যান্য এজেন্সির মাধ্যমে তদন্ত করে আমাদেও ১১ জনকে লোকমান হত্যার মামলা থেকে অব্যহতি দিয়ে চার্জশিট দাখিল করেন। সেসময় বাদী পরবর্তীতে জজ কোর্টে আবার নারাজি পিটিশন দাখিল করেন। চীফ জুডিশিয়াল আদালতে শুনানী শেষে আদালত বাদীর আবেদন না মঞ্জুর করে চার্জশিট দাখিল করেন জজকোর্টও বাদীর নারাজি আবেদন নামমঞ্জুর করে দেন। বাদী এবার হাইকোর্ট পরে সুপ্রিম কোর্ট শুনানী করে পুনরায় আবার জুডিশিয়াল তদন্ত করার সিদ্ধান্ত নিয়ে আসেন। গত ০৩/০৩/১৯ নরসিংদী চীফ জুডিশিয়াল আদালত জুডিশিয়াল তদন্ত কার্যক্রম শুরু হয়। দীর্ঘ ৮ মাস জুডিশিয়াল তদন্ত শেষে ৩১ অক্টোবর চীফ জুডিশিয়াল কোর্ট পুনরায় আমাদের ১১ জনকে লোকমান হত্যার ষড়যন্ত্রমূলক মামলা থেকে অব্যহতি প্রদান করে। মূল কেইস ষ্টার্ট করার জন্য জজকোর্ট প্রেরন করেন।