নিজস্ব প্রতিবেদক | নরসিংদী প্রতিদিন –
সোমবার, ০২ ডিসেম্বর ২০১৯ : নরসিংদীর মনোহরদীতে প্রশাসনকে অবগত করালেও আবুল হাশেম (৭৫) নামের এক মুক্তিযোদ্ধাকে রাষ্ট্রীয় মর্যাদা ছাড়াই দাফন কাফন শেষে চিরবিদাই জানিয়েছেন সহকর্মি মুক্তিযোদ্ধা ও আত্মীয় স্বজনরা। ঘটনাটি ঘটেছে সোমবার (২ ডিসেম্বর) উপজেলার মধ্য চরমান্দালীয়া গ্রামে। প্রশাসনের এমন দায়িত্বজ্ঞানহীন কাজের জন্য মরহুম মুক্তিযোদ্ধার জানাজায় আগত মুসল্লিদের মাঝে বিরক্তি এবং সমালোচনা সৃষ্টি হয়। মরহুমের সহকর্মি বীর মুক্তিযোদ্ধারা এটা অত্যন্ত লজ্জাজনক এবং একজন বীর মুক্তিযোদ্ধাকে অপমান করার শামিল বলে মন্তব্য করেন। পরে সোমবার বেলা সাড়ে এগারটার পর সাধারণ মানুষদের মত নামাজের জানাজা শেষে স্থানীয় কবরস্থানে দাফন সম্পন্ন করা হয়। এই ঘটনার প্রেক্ষিতে এলাকা এবং সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বয়ছে নিন্দার ঝর।
চরমান্দালীয়া ইউনিয়নের মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার শহিদুল্লাহ জানান এবং এলাকাবাসীর সাথে কথা বলে জানাযায়, বিজয়ের মাসের প্রথমদিন গতকাল রোববার বিকাল সাড়ে তিনটায় মুক্তিযোদ্ধা আবুল হাশেম মারা যান। মারা যাওয়ার পর চরমান্দালীয়া ইউনিয়নের মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার শহিদুল্লাহ বিষয়টি মনোহরদী উপজেলার সাবেক মুাক্তযোদ্ধা কমান্ডার মতিউর রহমান তারাকে অবহিত করেন। পরে বিষয়টি মনোহরদীর প্রশাসনকে অবগত করেন। সোমবার সকাল দশ ঘটিকায় সময় মরহুমের নামাজের জানাজার সময় নির্ধারণ করা হয়। কিন্তু ওসি মিটিংয়ে ব্যস্ত রাষ্ট্রীয় মর্যাদা দেয়ার কোন আয়োজন করেত পারেনি পুলিশ।
তবে নির্ধারিত সময়ের পূর্বে উপজেলা নির্বাহী কর্মর্তার প্রতিনিধি জানাজায় উপস্থিত হয়। এসময় নিয়ম অনুসারে মরহুমের লাশ জাতীয় পতাকা দিয়ে ঢেকে দেওয়া হয়। নামজের জানাজার পূর্বে সাধারণ সকল আনুষ্টানিকতা শেষে নিয়ম অনুসারে পুলিশ কর্তৃক বিকল বাঁশি বাজানো,রাষ্ট্রিয় সালাম প্রদান এবং এক মিনিট নিরবতা পালন করার কথা। কিন্তু জানাজার নামাজের সময় হয়ে গেলে বিউগল বাঁশি ছাড়া দুই জন পুলিশ সদস্য এসে নামাজের জানাজার স্থলে হাজির হলেও তারা নিরব দর্শকের মত দাঁড়িয়ে ছিল।
এবিষয়ে মনোহরদী থানা অফিসার ইনচার্জ মনিরুজ্জামান ভূঁইয়ার সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি এখন মিটিংয়ে ব্যস্ত বলে ফোন কেটে দেয়।
তবে বিকেলে মনোরহদী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শাফিয়া আক্তার সিমু মরহুম মুক্তিযোদ্ধার বাড়ি পরিদর্শন করেছে। সেইসাথে রাষ্ট্রীয় মর্যাদা দিতে পুলিশ সদস্যের গাফলতি থাকার কথা নরসিংদী প্রতিদিনকে স্বীকার করেন তিনি। দুই পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে বলেও জানান তিনি।