জহিরুল ইসলাম | নরসিংদী প্রতিদিন –
মঙ্গলবার, ২০১৯:
আজ ১০ ডিসেম্বর। প্রবাসী সাংবাদিক ও কলামিস্ট রাশিদুল ইসলাম জুয়েল এর শুভ জম্মদিন। ‘সুখ-দুখ, হাসি কান্না, জীবনের ভালোলাগা আর সকলের নিরন্তর ভালোবাসা দিয়ে আজ পদার্পণ করলেন আরেকটি নতুন বছরে ‘ শুভ জম্মদিন,। প্রতিটি দিন কাটুক ফু্লের শুভাষে, তারুণ্যের উচ্ছাসে। প্রতিষ্ঠিত হোক কর্মময় জীবন।
সাংবাদিক ও জাতীয় পত্রিকা ‘আমাদের বাংলাদেশ’ এর প্রধান সম্পাদক হিসেবে অন্যায় অনিয়মের বিরুদ্ধে সাহসি পথ চলা অব্যাহত থাকবে। তিনি আছেন এবং ভবিষ্যতেও থাকবেন শ্রদ্ধা ও ভালোবাসা নিয়ে। সবার ভালোবাসা, সম্মান আর শ্রদ্ধাবোধই তার জীবন চলার পথ আরো প্রসারিত হবে।
এদিকে জম্মদিন উপলক্ষে ‘আমাদের বাংলাদেশ’ পত্রিকার দেশের সকল জেলা ও উপজেলার প্রতিনিধি ও নরসিংদী জেলায় কর্মরত সাংবাদিকবৃন্দ, রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব, বিভিন্ন সংগঠন এবং বন্ধুমহলসহ সবার আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়েছেন।
জম্মদিন উপলক্ষে তিনি জানান, আমার জম্মদিনে শুভেচ্ছা জানানোর প্রয়োজন নেই। যাদের দ্বারা এই পৃথিবীতে শুভ কাজের সূচনা হয়েছে, প্রতিষ্ঠিত হয়েছে সুখ, শান্তি ও সম্মৃদ্ধি, ছড়িয়ে দিয়েছে শান্তির বাণী, দূর করেছে অন্যায়-অবিচার, পেয়েছি এই স্বাধীন ভুখন্ড তাদের জম্মের দিনগুলো মানবজাতির জন্য শুভ। আমি তো এর কিছুই করতে পারি নাই। হারিয়ে গেলো জীবন থেকে আরো একটি বছর। কবর আরো এক বছর নিকটে চলে আসলো। আমার কথায় কেউ কষ্ট পেয়ে থাকলে আমি আন্তরিকভাবে দুঃখিত। ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখার অনুরোধ রইল। সবাই ভালো থাকবেন। এর পরেও দেশ ও প্রবাসের অনেক বন্ধু ও সহকর্মীরা জম্মদিনের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন। সেজন্য তাদের সহ সবাইকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানাই। সবার দোয়া ও ভালোবাসা নিয়েই সামনে এগিয়ে যেতে চাই।
জানা যায়, রাশিদুল ইসলাম জুয়েল নরসিংদী জেলার রায়পুরা উপজেলার ডৌকারচর ইউনিয়নের নোয়াবাদ গ্রামে এক সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। পিতা আলহাজ্ব আব্দুস সালাম ও মাতা রাশিদা বেগম। পরিবারে দুই ভাই বোনের মধ্যে তিনিই বড় সন্তান।
ঐতিহ্যবাহী সরকারি আদিয়াবাদ ইসলামিয়া উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজ থেকে ২০১২ সালে বিজ্ঞান বিভাগে মাধ্যমিক পাশ করেন। ভর্তি হন নরসিংদী বিজ্ঞান কলেজে কিন্তু রাজনৈতিক কারণে লেখাপড়া শেষ না করেই ২০১৩ সালের ১২ই মার্চ জাহাজ নির্মান শিল্পে চাকরি নিয়ে পাড়ি জমান স্বপ্নের দেশ সিঙ্গাপুরে। প্রবাসে কাজের অবসরে নিবিড় সম্পর্ক গড়ে ওঠে দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ার একমাত্র বাংলা পত্রিকা বাংলার কন্ঠ’র সাথে। প্রবাস জীবনের অভিজ্ঞতা, স্বদেশের প্রতি অনুরাগ আর ভালবাসা নিয়েই অব্যাহত থাকে তার লেখালেখি। ২০০৭ সালে তার লেখালেখির হাতেখড়ি বিদ্যালয়ের দেয়াল পত্রিকায় প্রকাশিত হয় প্রথম ছোট গল্প ও কবিতা। ২০১৫ সালে গড়ে তুলেন বাবার নামে ‘সালাম ওয়েলফেয়ার ফাউন্ডেশন’, যা আর্ত মানবতার সেবায় কাজ করে যাচ্ছে। প্রবাসে থেকেও সামাজিক উন্নয়নমূলক অনেক কাজের সাথে সম্পৃক্ত। দেশ-বিদেশের বিভিন্ন পত্রিকার রিপোর্টার হিসাবে কাজ করেন দীর্ঘদিন। ২০১৬ সালে ১০ই নভেম্বর আনুষ্ঠানিক ভাবে যাত্রা শুরু করেন জাতীয় দৈনিক আমাদের বাংলাদেশ নামে পত্রিকা। বর্তমানে তিনিই ‘আমাদের বাংলাদেশ’ পত্রিকার প্রধান সম্পাদক। ধূমপান, মাদক ও দুর্নীতি বিরোধী সংগঠন সারডা সোসাইটির বর্তমান পরিচালক তিনি।
২০১৬ সালে ১ থেকে ৭ নভেম্বর সপ্তাহব্যাপী সিঙ্গাপুর মেরিনা স্কয়ার সেন্ট্রাল অডিটরিয়ামে সিঙ্গাপুর ও মালয়েশিয়ার জাতীয় পর্যায়ে আয়োজিত ‘জুলি’স দ্যা বেষ্ট অফ ইউ’ প্রদর্শনী,যাতে বহু ভাষাভাষীর নিজস্ব লেখা ও বিচিত্র সব চিত্রকর্মের পাশাপাশি স্থান পেয়েছিল বাংলাভাষী কবি ও লেখক হিসাবে তার লেখা ‘প্রবাসে বদলে যাওয়ার গল্প’। প্রদর্শনীর ষষ্ঠ দিনে তিনি স্বরচিত কবিতা ‘প্রবাস অনুভূতি’ আবৃত্তি করেন। প্রবাস জীবনের সাফল্য, সুখময় স্মৃতি, অনুকরণীয় ব্যক্তিত্ব, জীবনের ইতিহাস পাল্টে দিতে সিঙ্গাপুরের অভিজ্ঞতা, দেশটির প্রতি ভাল লাগা, ভালবাসার কোন বিশেষ মুহূর্ত, কোন বিশেষ ব্যক্তি বা জায়গার প্রতি ভালো লাগাসহ জীবনের সেরা মুহূর্ত বা অভিজ্ঞতাগুলো নিয়ে লেখকের সেরা পারফর্মেন্স নিয়ে সাজানো হয়েছিল অনুষ্ঠানটি।
তিনি সিঙ্গাপুর বিনিয়্যাল ২০১৬তে অংশগ্রহণ করেন অভিবাসী বাংলাদেশি কবি হিসাবে। ভাস্কর্য শিল্পী রাথিন বর্মণের ভাস্কর্য ও ল্যান্ডস্কেপের এক সূতোয় বাঁধলেন সিঙ্গাপুরস্থ বাংলাদেশি অভিবাসীদের জীবনকে। ২৯শে অক্টোবর ২০১৬ সিঙ্গাপুর আর্ট মিউজিয়ামে উপস্থিত দর্শনার্থীদের বিমোহিত করে ভাস্কর্য শিল্পীর অপরূপ চিত্রকর্ম ও কবির কবিতা আবৃত্তি। প্রদর্শনীতে কবিতা আবৃত্তি নতুন মাত্রার শৈল্পিক উপস্থাপন উপস্থিত দর্শকদের মুগ্ধ করে। প্রদর্শনীতে কবির কবিতা আবৃতি দর্শক শ্রোতাদের মাঝে ব্যাপকভাবে সমাদৃত হয়।
সাহিত্যে অবদানের জন্য ২০১৭ সালের ১৭ মে সোনার বাংলা সাহিত্য পরিষদ থেকে সম্মাননা লাভ করেন। তিনি ভারত, মালয়েশিয়া, ইন্দোনেশিয়া, জাপান, চীন, ভিয়েতনাম, কম্বোডিয়া ও থাইল্যান্ড সফর করেন। তিনি ভ্রমণ পিপাসু মানুষ। তিনি একজন সফল উদ্যোক্তা| নিজ দেশের প্রতি গভীর দেশপ্রেম থাকায় বিদেশের অর্থে বন্ধু মেহেদী হাসান হাসানকে নিয়ে গড়ে তুলেছেন ওয়ার্কসফেয়ার গ্রুপ। তিনি বর্তমানে গ্রুপের ম্যানেজিং ডিরেক্টর। ওয়ার্কসফেয়ার গ্রুপের অন্যতম কয়েকটি প্রতিষ্ঠান হলো ওয়ার্কসফেয়ার ইন্টারন্যাশনাল লিমিটেড, ওয়ার্কসফেয়ার স্কিলস ডেভেলপমেন্ট ইনিস্টিউট, ওয়ার্কসফেয়ার ট্যুরস এন্ড ট্রাভেলস, ওয়ার্কসফেয়ার গ্লোবাল ফাউন্ডেশন ও দৈনিক আমাদের বাংলাদেশ।