নিউজ ডেস্ক | নরসিংদী প্রতিদিন –
শনিবার, ১৪ ডিসেম্বর ২০১৯ :
চরম বিতর্কিত নাগরিকত্ব সংশোধন বিল-সিএবি’ পাস হওয়ার দিন থেকেই ক্ষোভের আগুনে জ্বলছে গোটা ভারত। প্রথমে উত্তর-পূর্ব রাজ্য আসাম ও ত্রিপুরায় প্রতিবাদ হলেও এখন তা ছড়িয়ে গেছে অন্যান্য রাজ্যেও।
আসাম, ত্রিপুরা ও মেঘালয়ে কারফিউ ভেঙে মানুষ যখন রাস্তায় নেমে আসে তখন পশ্চিমবঙ্গেও সিএবি-এনআরসি প্রতিরোধের ডাক দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় । এরপর রাজধানী দিল্লিও প্রতিরোধের ডাক দেয়। এর পর একে একে পঞ্জাব, ছত্তীসগঢ়, কেরলের পরে আজ মধ্যপ্রদেশও একই ঘোষণা দিয়েছে।
এদিকে পশ্চিমবঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আগামী ১৬ ডিসেম্বর থেকে শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভের ডাকও দিলেও শনিবার (১৪ ডিসেম্বর) সকালেই ক্ষোপের আগুন জ্বালিয়ে দিয়েছে সাধারণ মানুষ।
শনিবার সকাল থেকেই নাগরিকত্ব সংশোধনী বিলের (সিএবি) প্রতিবাদে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে দফায় দফায় শুরু হয় বিক্ষোভ, রেল-সড়ক অবরোধ। কোথাও আবার বাস-গাড়িতে ভাঙচুর চালোনোর মতো ঘটনা ঘটছে। বিক্ষোভ ধীরে ধীরে গোটা রাজ্যে ছড়িয়ে পড়ছে।
সকাল থেকেই রাজ্যের ডোমজুড়ের সলপ মোড়ে ৬ নম্বর জাতীয় সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ চলছে। কোনা এক্সপ্রেসওয়েতে টায়ার জ্বালিয়ে প্রতিবাদ চলছে। বেশ কয়েকটি সরকারি বাসে ভাঙচুর চালানোর অভিযোগ উঠেছে বিক্ষোভকারীদের বিরুদ্ধে।
বিক্ষোভকারীদের হঠাতে গেলে পুলিশকে লক্ষ্য করে পাথর ছোড়া হয় বলে অভিযোগ। বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে পাল্টা লাঠিচার্জও করতে হয় পুলিশকে।
বিক্ষোভের জেরে শিয়ালদহ ডিভিশনের বারাসত-হাসনাবাদ, লক্ষ্মীকান্তপুর-নামখানা, মালদহ ডিভিশনের আজিমগঞ্জ, জঙ্গিপুর, মহিপালসহ বিভিন্ন স্টেশনে ট্রেন চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে। কিছু কিছু রেল লাইনে আগুন ধরিয়ে দেন বিক্ষোভকারীরা। বিভিন্ন স্টেশনে আটকে পড়েছে বহু ট্রেন। যাত্রীদের হয়রানির শিকার হতে হচ্ছে।