স্পোর্টস ডেস্ক | নরসিংদী প্রতিদিন –
মঙ্গলবার,১৭ ডিসেম্বর ২০১৯:
মাত্র ৪ রানের জন্য সেঞ্চুরি মিস করলেন খুলনা টাইগার্সের অধিনায়ক মুশফিকুর রহিম। তার ৯৬ রানের ইনিংসে ভর করে জয় পেয়েছে সুন্দরবনের দলটি। ১৯০ রানের বড় টার্গেট দিয়েও খুলনার ব্যাটসম্যানদের পরীক্ষা নিতে পারেনি রাজশাহীর বোলাররা।
দুর্দান্ত সঙ্গ দিয়ে যাওয়া রাইলি রুশো ফিরে গেছেন ৪২ রান করে। তবে থেকে গেছেন মুশফিকুর রহিম। ফিফটির পরও তাণ্ডব চালাচ্ছেন তিনি। তাকে দারুণ সমর্থন দিচ্ছেন শামসুর রহমান শুভ। তাতে জয়ের স্বপ্ন দেখছে খুলনা টাইগার্স। ২৯ রান করে ফিরেছেন শুভও। মুশফিক ফিরেছেন ৯৬ রান করে। তখন জয় থেকে দূরে মাত্র ২ রান।
১৯০ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই হোঁচট খায় খুলনা টাইগার্স। দলীয় ১ রানে আন্দ্রে রাসেলের বলে সোজা বোল্ড হন নাজমুল হোসেন শান্ত। সেই জের না কাটতেই আফিফ হোসেনের স্পিন ফাঁদে পড়েন রহমানউল্লাহ গুরবাজ। দ্রুত ২ উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে দলটি। তবে রাইলি রুশো ও মুশফিকুর রহিমের ব্যাটে শুরুর ধাক্কা কাটিয়ে ওঠেছে তারা। সময় গড়ানোর সঙ্গে ত্রাস হয়ে ওঠেন এই জুটি। দুজনই স্ট্রোকের ফুলঝুরি ছোটাতে শুরু করেন।
তাতে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার ভিত পেয়ে যায় দক্ষিণের দলটি। কিন্তু আচমকা থেমে যান রুশো। কামরুল ইসলামের বলে প্যাভিলিয়নের পথ ধরেন তিনি। ফেরার আগে ৩৫ বলে ৫ চার ও ১ ছক্কায় নান্দনিক ৪২ রানের ইনিংস খেলেন এই প্রোটিয়া্।
মঙ্গলবার চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে টস জিতে প্রথমে বোলিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন খুলনা টাইগার্স অধিনায়ক মুশফিকুর রহিম। ফলে আগে ব্যাট করতে নামে আন্দ্রে রাসেলের রাজশাহী রয়্যালস। তবে বঙ্গবন্ধু বিপিএলে চট্টগ্রাম পর্বের প্রথম ম্যাচে শুরুটা শুভ হয়নি তাদের। সূচনালগ্নে মোহাম্মদ আমিরের শিকার হয়ে ফেরেন হযরতউল্লাহ জাজাই। সেই রেশ না কাটতেই রবি ফ্রাইলিঙ্কের বলে আউট হন লিটন দাস (১৯)। এতে রানের চাকা স্লো হয়ে যায়।
সেখান থেকে শোয়েব মালিককে নিয়ে খেলা ধরেন আফিফ হোসেন। ভালোই খেলছিলেন তারা। ফলে চাপ কাটিয়ে ওঠে রাজশাহী। কিন্তু হঠাৎ পথচ্যুত হন আফিফ (১৯)। শহিদুল ইসলামের বলে বিদায় নেন তিনি। পরে রবি বোপারাকে নিয়ে এগিয়ে যান শোয়েব। পথিমধ্যে ফিফটি তুলে নেন তিনি। পরক্ষণেই খোলস ছেড়ে বের হন পাকিস্তানি রিক্রুট। ধারণ করেন রূদ্রমূর্তি। সহযোদ্ধার কাছ থেকে যোগ্য সমর্থনও পান। একপর্যায়ে জমাট বেঁধে ওঠে তাদের জুটি। তাতে বড় সংগ্রহের পথে এগিয়ে যায় রাজশাহী।
এরপর শোয়েব-বোপারা দুজনই সমানতালে তাণ্ডব চালাতে থাকেন। উভয়ই দেখান বুড়ো হাড়ের ভেলকি। খুলনা বোলারদের তুলোধুনো করেন তারা। তাতে বড় সংগ্রহ পেয়ে যায় বরেন্দ্রভূমির দলটি। ফিফটি করে সেঞ্চুরির পথে এগিয়ে যান শোয়েব। শেষদিকে অতি আগ্রাসী হয়ে খেলতে গিয়ে আমিরের বলে প্যাভিলিয়নে ফেরেন তিনি। ফেরার আগে খেলেন ৮৭ রানের ঝড়ো ইনিংস। ৫০ বলে ৮ চার ও ৪ ছক্কায় ইনিংসটি সাজান পাকিস্তানি রিক্রুট। এটিই এবারের আসরে সর্বোচ্চ ব্যক্তিগত রানের ইনিংস।
নির্ধারিত ২০ ওভার শেষে ৪ উইকেট হারিয়ে ১৮৯ রান সংগ্রহ করে রাজশাহী। এটিই এবারের আসরে সর্বোচ্চ দলীয় রানের সংগ্রহ। বোপারা ২৬ বলে ২টি করে চার-ছক্কায় খেলেন হার না মানা ৪০ রানের টর্নেডো ইনিংস। অন্য প্রান্তে ৬ বলে ১টি করে চার-ছক্কায় ১৩ রান করে অপরাজিত থাকেন আন্দ্রে রাসেল। খুলনার হয়ে আমির নেন সর্বোচ্চ ২ উইকেট।