ডেস্ক রিপোর্ট | নরসিংদী প্রতিদিন –
বুধবার,১৮ ডিসেম্বর ২০১৯:
আইনে না থাকলেও জীবন্ত গাছকে বিদ্যুতের খুঁটি হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে ময়মনসিংহ শহরে। খুঁটি ছাড়াই গাছের ওপর দিয়ে একতারে টানা হয়েছে বিদ্যুৎ লাইন। লো- ভোল্টেজে জ্বলেনা লাইট, ঘোরে না ফ্যান। নষ্ট হচ্ছে বাতি, বৈদ্যুতিক পাখা, ফ্রিজ, টিভি, পানির মটর। প্রতি নিয়ত ভোগান্তি পোহাচ্ছেন গ্রাহকরা। মাস শেষে বিদ্যুৎ বিল আসলেও সুবিধা বঞ্চিত হচ্ছেন সদর উপজেলার চুরখাই মধ্যপাড়া বাগানবাড়ী এলাকার শতাধিক পরিবার।
স্থানীয়রা জানান, কম ভোল্টেজের কারণে বৈদ্যুতিক সরঞ্জাম নষ্ট হচ্ছে। কোথাও কোথাও তার পুড়ে যাচ্ছে। এ সব কারণে প্রতিমাসে গুনতে হচ্ছে অতিরিক্ত পয়সা। বাড়ছে ইলেকট্রিশিয়ান মিস্ত্রি খরচও। দিনের বেলায় বিদ্যুৎ সরবরাহ যেনতেনভাবে চললেও রাতে কোন কাজই আসছে না এ বিদ্যুৎ লাইন। রাতের বেলায় শিক্ষার্থীরা হারিকেন, চার্জার লাইটের আলোয় পড়ালেখা করছে।
ভুক্তভোগী মনসুর বলেন, ‘আমি গত মাসে ১৮৫ টাকা বিদুৎ বিল দিয়েছি। আমার ঘরে দুটি ফ্যান ও দুটি লাইট আছে। কিন্তু লাইট, ফ্যান না চলেই এই বিল দিতে হচ্ছে। একই অভিযোগ করেন আলতাফ, সাত্তার আকন্দ। তারা আরও অভিযোগ করেন, দিনের বেলা ফ্রিজ চলে না, রাতে চলে। এরকম সমস্যা নিয়েই দীর্ঘ ৬ বছর যাবৎ আমরা মধ্যপাড়া বাগানবাড়ী এলাকার মানুষ দিন পার করছি।
একই গ্রামের সুরুজ আলী বলেন, এখানে বিদ্যুতের লাইন নিতে আমাদের টাকায় তার, খাম কিনা হয়েছে। লাইন প্রতি ৬-৭ হাজার টাকা করে নিয়েছে বিদ্যুত বিভাগের লোকজন। দিয়েছে একটি করে মিটার। বিদ্যুৎ ব্যবহার না করেও বিল দিতে হচ্ছে আমাদের।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে ময়মনসিংহ পিডিপি'র ডিভিশন-২ এর নির্বাহী প্রকৌশলী ইন্দ্রজিৎ বলেন, ‘আগামী বছরে ওই এলাকার বিদ্যুতের কোন সমস্যা থাকবে না। নতুন লাইনের জন্য একটি প্রজেক্ট ধরা হয়েছে। জানুয়ারি-ফেব্রুয়ারি মাসে কাজ শুরু করা হবে। তখন কোন লো-ভোল্টেজ থাকবে না বলে আশাবাদী বিদ্যুৎ বিভাগের এ কর্মকর্তা।